চন্দনাইশে বাঁশের সেতু দিয়ে পৌরবাসীর চলাচল
চট্টগ্রামের চন্দনাইশে পৌরসভায় মওলানা মনিরুজ্জমান ইসলামাবাদী সড়ক ভেঙে যাওয়ায় মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। চন্দনাইশ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ হারলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বরুমতি খালসংলগ্ন বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রহমানীর বাড়ির সামনে মাওলানা ইসলামাবাদী সড়কের সাদিক্যা পুকুরপাড় এলাকায় সড়কটি ভেঙে পড়েছে। ফলে চলাচলের জন্য চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
সরেজমিন দেখা যায়, দীর্ঘ সাড়ে ৫ কিলোমিটারের এই সড়কে কার্পেটিং করা হলেও বর্তমানে সংস্কারের অভাবে অবহেলিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। চন্দনাইশ পৌর এলাকাধীন হলেও ইসলামাবাদী সড়কটি এলজিইডির থাকায় দায়সারা অবস্থায় রয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা আশরাফ আলী ছিদ্দিকী।
তিনি আরো জানান, সড়কটি দিয়ে বরমা, বৈলতলী ও বরকল ইউনিয়ন হয়ে চট্টগ্রাম শহরে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। এছাড়া প্রতিদিন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থী এবং দৈনন্দিন হাট-বাজারসহ উপজেলা পরিযদ, থানা, হাসপাতালে যাতায়ত করতে হয় সড়কটি দিয়ে। বর্ষা মৌসুমে পাহাড় থেকে নেমে আসা পানির ঢলে বরুমতি খালের এ অংশে বিগত সময় নিয়ে এ যাবৎ তিনবার ভাঙলেও এলজিইডির কোনো ধরনের কার্যক্রম নজরে পড়ছে না।
ওর্য়াড কাউন্সিলর শাহ আলম বলেন, সড়কটি পৌরসভার না হলেও জনপ্রতিনিধি হিসাবে এলাকার মানুষের চলাচলের স্বার্থে মেয়রের সহযোগিতায় দুই দুইবার সড়কটির মাটি ভরাট করে সাধারণের চলাচলের উপযোগী করা হয়। কিন্তু ২০২০ সালের শেষদিকে বরুমতি খালের উপরিভাগ খনন করা হলেও নিম্নস্থান বরমা ইউনিয়নের মাইগাতা নামক স্থানে খালটি খনন না করার ফলে পানি নিষ্কাশনে বাধাগ্রস্ত হওয়ায় সড়কটি ভেঙে যাচ্ছে।
পৌর মেয়র মাহাববুল আলম খোকার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিগত বছর বিআরডিবি সেচ প্রকল্পের অধীনে বরুমতি খালের উপরিভাগ খননে ক্রুটির কারণে ইসলামাবাদী সড়কটি ভেঙে যাচ্ছে। পৌরবাসীর স্বার্থে এ যাবৎ পৌরসভার অর্থায়নে দুবার ভাঙাটি মেরামত করা হয়। এবারো গত কয়েক দিন আগে টানা ২-৩ দিনের ভারি বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলে সাদিক্যা পুকুরপাড় এলাকা ভেঙে পড়লে মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে বাঁশের সাঁকোর ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
মেয়র আরো বলেন, ভাঙা স্থানটির ব্যাপারে উপজেলা এলজিইডি ইঞ্জিনিয়ারকে বলেছি। তিনি শিগগিরই ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।
এমএসএম / জামান