উত্তরাঞ্চলের শস্যভাণ্ডর খ্যাত মহাদেবপুরে বোরো রোপণে ব্যস্ত কৃষক
উত্তরাঞ্চলের শস্যভাণ্ডার খ্যাত নওগাঁর মহাদেবপুরে বোরো ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। মাঘের প্রচণ্ড শীত ও হিমেল হাওয়া উপেক্ষা করে মাঠে নেমে পড়ছেন তারা। নদীর পাড়ে, খালের ধারে, রাস্তার পাশের জমিতে এবং ফসলের মাঠে ধানের কচি চারার সবুজ গালিচা। কোথাও গভীর নলকূপ দিয়ে চলছে সেচ, আবার কোথাও কোথাও ট্রাক্টর ও পাওয়ার টিলার দিয়ে চলছে জমি চাষ। ধান রোপণের জন্য বীজতলা থেকে তোলা হচ্ছে চারা। চারা তোলা আর রোপণের ব্যস্ততায় কৃষকের গায়ে শীত যেন স্পর্শ করছে না।
বিগত মৌসুমে কৃষকরা ধানের ভালো দাম পাওয়ায় এবার লক্ষ্যমাত্রার অধিক জমিতে বোরো চাষ হবে বলে আশা করছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২০২২ বোরো মৌসুমে ২৮ হাজার ৪০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) ও হাইব্রিড জাতের বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। এ পরিমাণ জমিতে বোরো চাষ করতে এক হাজার ৮৫৫ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করেছে চাষিরা। গত ২২ জানুয়ারি শনিবার পযন্ত এক হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে চারা রোপন সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।
উপজেলার সিদ্দিকপুর গ্রামের লিয়াকত আলী, লোকমান হাকিম ও বাজিতপুর গ্রামের আব্দুর রহমানসহ ২০ থেকে ২৫ জন বোরো চাষি জানান, ধান রোপণে তারা ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রচন্ড শীতের কারণে কৃষি শ্রমিকরা কাজ করতে পারছে না। ফলে শ্রমিক সংকটের পাশাপাশি তাদের অতিরিক্ত মজুরি দিতে হচ্ছে।
কৃষকদের মতে, প্রতি বিঘা জমিতে বোরো চাষ শেষ করতে কমপক্ষে চার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা খরচ করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ দেখা দিলে খরচের পরিমান আরো বেড়ে যাবে।
মহাদেবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অরুন চন্দ্র রায় বলেন, উপজেলার ৩০টি ব্লকে বোরো চাষিদের সার্বিক পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। বাজারে সার ও তেলের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় ভরা মৌসুমে কোনো সঙ্কটের আশঙ্কা নেই।
শাফিন / জামান