বগুড়ার শেরপুরে অসময়ের বৃষ্টিতে আলুর ক্ষতির আশংকা কৃষকদের

অসময়ের বৃষ্টিতে বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আলুর জমিতে পানি জমে গেছে। নিচু জমির শাকসবজি ও শীতকালীন সবজির ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
জানা যায়, শেরপুর উপজেলার কুসুম্বী, গাড়ীদহ, শাহ বন্দেগী, খামারকান্দি, ভবানীপুর, সীমাবাড়ি, বিশালপুর ও মর্জাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় আলুর ভালো ফলন হয়। এসব এলাকার কৃষকেরা সবসময় আগাম আলুসহ শীতকালীন অন্যান্য শাকসবজি চাষ করেন। গত দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে নিচু এলাকার আলুক্ষেতে পানি জমেছে। পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় প্রায় ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির আলুতে পচন ধরার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। অনেককে আগাম জাতের আলু পানির মধ্য থেকে তুলতে দেখা গেছে।
কুসুম্বি গ্রামের বর্গাচাষি মনিরুজ্জামান বলেন, তিনি এ বছর স্থানীয় সমিতি থেকে এক লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ৫ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছিলেন। অসময়ের বৃষ্টিতে যদি তাঁর জমির সব আলু পচে যায় তাহলে তাকে পথে বসতে হবে। বৃষ্টির পানি সরে গেলে আলু তুলে এসব জমিতে নতুন করে ধানের আবাদ করবেন তিনি।
এদিকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফাল্গুন মাসের মধ্য ভাগ নাগাদ আলু তোলা শেষ হবে কিন্তু মাঘের মাঝামাঝিতে এমন অপ্রত্যাশিত বৃষ্টির কারনে আলু পচে যেতে পারে। অন্তত ৯৫ শতাংশ কৃষক এখনো ফসল ঘরে তুলতে পারেননি। হঠাৎ বৃষ্টির কারণে অনেক কৃষকই বড় ধরনের ক্ষতির আশংকা করছেন।
অনেক এলাকায় আগাম আলু তোলা শুরু হয়েছিল। বৃষ্টির কারণে তোলা সম্পন্ন হওয়ায় বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। সবজির মধ্যে নিচু জমিতে চাষ করা বাঁধাকপি ও আলুর ক্ষতি হয়েছে। পানি জমে থাকলে বাঁধাকপি গাছের গোড়ায় পচন দেখা দিবে। কিছুটা দেরিতে বোনা আলুর ক্ষেত্রেও বৃষ্টি যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে।
উপজেলার রামনগর গ্রামের কৃষক রইস উদ্দিন বলেন, তার মাত্র ২০ শতাংশ জমিতে বাঁধাকপি চাষ হলেও তা তুলতে পারবেন কি-না আশংকা করছেন। বিক্রির উপযোগী না হওয়ায় সেগুলো জমিতেই রেখে দিতে হয়েছে।
রফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি তিন বিঘা জমিতে আলু বুনেছিলেন, কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় ফসলে পচনের আশঙ্কায় আছেন। অন্য একটি জমিতে বাঁধাকপি চাষ করেছিলেন তিনি। জমিটি অপেক্ষাকৃত নিচু হওয়ায় পানি জমে গেছে।
গাড়ীদহ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান তবিবর রহমান বলেন, অসময়ের বৃষ্টিতে এ বছর আমার ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম, বিশেষ করে রামনগর, বোংগা ও কালসীমাটি গ্রামের কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এ বছর ২ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃষ্টিতে যে কৃষকদের জমিতে জমে যাওয়া পানি সেচে বের করে দিতে না পারলে ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল হাসান বলেন, বৃষ্টি হলেও ভারি বর্ষণ হয়নি। তাই রবিশস্য ও অন্যান্য ফসলের খুব বেশি ক্ষতি হওয়ার কথা নয়।
শাফিন / জামান

গাজীপুরে অন্তহীন অভিযোগে অভিভাবকদের তোপের মুখে প্রধান শিক্ষক!

ভূঞাপুরে টাইফয়েড টিকাদান বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন সভা

রাণীশংকৈলে পুলিশের ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত

সবুজে ঢেকে যাক কালকিনি: পরিবেশ রক্ষায় আনসার-ভিডিপি’র অঙ্গীকার

অভয়নগরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা

শ্রীমঙ্গলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত -১

তানোরে ব্যাক ডেট ও জালিয়াতি নিয়োগের তদন্তে হাজির হননি ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষ

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে স্কুল শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন

চট্টগ্রামে নেক্সাস ফেস্ট-২০২৫ সম্পন্ন

পিআর পদ্ধতিতে ভোট হলে মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ হবে: জামায়াতের অধ্যাপক মজিবুর রহমান

শ্রীপুরে পরিবেশ বিপর্যয় রোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা

অনার্সের খাতা দেখেন কলেজ হোস্টেলের গার্ড !
