কল্যাণপুর দরবারের মূল্যবান সম্পদ চুরি টোকেন বাহিনীর

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কল্যানপুর দরবার শরীফে আবারো লুটপাট চালিয়েছে টোকেন মন্ডেলের নেতৃত্বে তার সন্ত্রাসী বাহীনি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ও শুক্রবার সকালে টোকেন মন্ডলের সন্ত্রাসী জাকির, রাজা, রেজু, বজু, স্বপন, শাহিন সহ অজ্ঞাত ৫০ থেকে ৬০ জনের সন্ত্রাসী বাহীনি দরবারের পাহারারত পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে দরবারের মুল্যবান সম্পদ চুরি করে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এর আগেও কয়েকবার দৌলতপুরের কিল্যারখ্যাত সন্ত্রাসী প্রকাশ্য দিবা লোকে মানুষ হত্যার দায়ে দেশ ত্যাগকারী টোকেন মন্ডল (চৌধুরী) তার সন্ত্রাসী বাহীনি দিয়ে গত মাসে দরবারে ব্যাপক লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর চালায়। এই হামলার প্রেক্ষিতে কুষ্টিয়ার সুযোগ্য পুলিশ সুপার ও দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এর উদ্যোগে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে চরদিয়া পাক দরবার শরীফে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়।
পুলিশের উপস্থিতে টোকেন ও তার ভাই সেলিম মন্ডলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা দরবারে আবারো লুটপাট চালায়। এ সময় দরবারে মুল্যবান সম্পদ চুরি করতে গেলে পুলিশি বাধার মুখে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এঘটনায় কোন পুলিশ আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। হামলার সংবাদে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ অতিরিক্ত ফোর্সসহ উপস্থিত হলে সন্ত্রাসীরা দ্রæত পালিয়ে যায়। হামলাকালে সন্ত্রাসীরা দরবারের জেনারেটর, লোহারগেট, টিনের চালা, সিমেন্টের খুটি চুরি করে পালিয়ে যায়। দরবার এর পক্ষ থেকে এব্যাপারে টোকেন মন্ডলসহ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে দরবার কর্তৃপক্ষ।
দৌলতপুর থানা সূত্রে জানা যায়, এব্যাপারে কাউকে আটক করা হয়নি। মামলামাল উদ্ধারে পুলিশের অভিযান চলছে। উল্লেখ্য টোকেন মন্ডল ও তার ভাই সেলিম মন্ডল ওরফে চেীধুরী চরপাকদিয়া দরবার শরীফের জায়গা দখলে নিয়ে রিসোর্ট বানাতে মড়িয়া হয়ে উঠেছে। দরবার শরীফের প্রায় ৫০ বিঘা জমির উপর টোকেন মন্ডল ও সেলিম মন্ডলের লোলুপ দৃষ্টি পড়েছে বছর খানেক আগে। টোকেন মন্ডল বার্ষিক ওরশ মোবারকে জাকেরান ভক্ত সমর্থকদের খেদমত থেকে ৩০ পার্সেন্ট চাঁদাদাবি করে দরবার শরীফের পীর সৈয়দ তাসের আহম্মেদ এর নিকট থেকে। কিন্তু দরবার শরীফের পীর সাহেব টোকেন মন্ডল ও তার ভাই সেলিম মন্ডলকে সরাসরি চাঁদাদিতে অস্বীকৃতি জানায়। এখান থেকে ক্ষিপ্ত হয়ে টোকেন মন্ডল প্রথমে দরবার শরীফে আগত জাকের ভক্তদের উপর হামলা শুরু করে তার সন্ত্রাসী বাহীনির প্রধান জাকির, রাজা, রেজু, বজুসহ অজ্ঞাত নামা সন্ত্রাসীদের দিয়ে। হামলা করে মারাত্বক ভাবে জাকেরদের আহত করে আবার দৌলতপুর থানায় তাদের নামেই মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করতে থাকে। আর এসব কিছুই করে তার বড় ভাই আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী সাবেক এমপি রেজাউল হক এর ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে।
দৌলতপুরে আওয়ামীলীগের প্রার্থী আফাজ উদ্দিনের সাথে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে এমপি নির্বাচিত হন রেজাউল হক মন্ডল (চৌধুরী) আওয়ামীলীগ এর পদপদবী ব্যবহার করে আবার আওয়ামীলীগের এমপি”র বিরুদ্ধে নির্বাচন করে জয়লাভ করার পর থেকে দৌলতপুরের সকল সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান হাট ঘাট, সাব রেজিষ্ট্রি অফিস, খাদ্য গুদাম, স্কুল কলেজ এর শিক্ষক নিয়োগ বানিজ্য একহাতে করতে সন্ত্রাসের রাম রাজত্ব কায়েম করে টোকেন মন্ডল (চৌধুরী) বাহীনি।
এদিকে টোকেন মন্ডল ও দরবার শরীফের অবস্থান একই ইউনিয়ন হোগলবাড়িয়ার মধ্যে হওয়ায় এবং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তার ভাই সেলিম মন্ডল হওয়ায় দরবার শরীফে তাদের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। তারা বার্ষিক ওরশ শরীফের খেদমত থেকে ৩০% পার্সেন্ট চাঁদা দাবি করে। চাঁদাদিতে অস্বীকৃতি জানানোয় তাদের উপর শুরু হয় হামলা মামলা হয়রানী। মূলত সেখান থেকেই টোকেন মন্ডল ও তার ভাই সেলিম মন্ডল দরবার উচ্ছেদ করে সেখানে রিসোর্ট বানানোর পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে টোকেন মন্ডল এর সন্ত্রাসী বাহীনি দরবারের খাদেম রাশেদ কে হত্যা করে দরবারের মধ্যে ফেলে রেখে যায়।
এ ঘটনায় দরবারের জাকের ভক্ত খাদেম ও পীর সাহেব এর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে দরবার উচ্ছেদ এর নীল নকশা বাস্তবায়নে অনেকটা এগিয়ে যায় টোকেন মন্ডল ও তার পরিবার। হত্যা মামলাটি সু পরিকল্পিপিত তা মামলার স্বাক্ষীদের নামের তালিকা দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যায়। রাশেদ হত্যায় যারা স্বাক্ষী তারাই আবার রাশেদের নামে কুষ্টিয়া বিজ্ঞ আদালতে চলমান দুইটি মামলার বাদী।
হত্যা মামলা চলমান থাকায় পীর সাহেব ও জাকের ভক্তদের দরবারে প্রবেশ না থাকার সুবাধে টোকেন মন্ডল তার বাহীনি দিয়ে একের পর এক হামলা লুপপাট অগ্নি সংযোগ, ভাংচুর চালিয়ে যাচ্ছে। বার বার হামলা ভাংচুর হলেও টোকেন মন্ডল ও তার ভাই এর নামে কোন মামলা হয়নি এপর্যন্ত। বর্তমানে দরবারে পুলিশ ক্যাম্প থাকায় এ হামলার প্রত্যক্ষ সাক্ষী হিসেবে পুলিশ সদস্যরা থাকলেও উল্লেখযোগ্য কোনো ভূমিকা নেয়া হয়নি। সঠিক বিচার পেতে দরবার শরীফের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার ও আইজিপি মহোদয়ের নিকট অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার এর দাবি জানিয়েছে।
এমএসএম / জামান

গোপালগঞ্জে দিনব্যাপী পালিত কর্মসূচিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস

শ্রীমঙ্গলে গণঅভ্যুত্থান দিবসের বিজয় র্যালিতে মানুষের ঢল

গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বারহাট্টায় বিএনপির বিজয় মিছিল

ঢাকা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ৮২ শহিদ পরিবার এবং ১৪৮৩ জন জুলাই যোদ্ধাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়

ফ্যাসিবাদের পতন ও ছাত্র জনতার বিজয়ের বর্ষপতি উপলক্ষে নাগরপুরে বিএনপি’র বিজয় র্যালি

নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে গণঅভ্যুত্থান দিবস পালন

জুলাই গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষে খোকসা'তে বিজয় মিছিল ও আলোচনা সভা

সিংগাইরে বিএনপির দুই গ্রুপের বিজয় র্যালি

শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী করে রাজনীতি সম্ভব নয় -বিজয় র্যালিতে এম.এ. মতিন

পটুয়াখালীতে নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস

গণঅভ্যুত্থান দিবসে সাটুরিয়ায় বিজয় র্যালী ও আলোচনা সভা

পাটগ্রামে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ১ জনের কারাদণ্ড
