ঢাকা শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৫

তানোরে ব্রিজে ব্লক দেয়ার নামে ফের ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ


সোহানুল হক পারভেজ, তানোর photo সোহানুল হক পারভেজ, তানোর
প্রকাশিত: ১৭-২-২০২২ বিকাল ৫:১৯

রাজশাহীর তানোরে শিব নদে বা বিল কুমারী বিলে ব্রিজের চারপাশে ব্লক দেয়ার নামে ফের ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কিন্তু ব্লক দেয়ার জন্যব্রিরীজের নিচ থেকেই মাটি খনন করা হচ্ছে। এতে ব্রিজের পূর্ব দিকের দুপাশ ধসে পড়েছে। দীর্ঘ এত বছরেও ব্রিজের রাস্তার এমন বেহাল দশার সৃষ্টি হলেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। সংশ্লিষ্টরা ব্রিজের দুপাশ সংস্কার বা মেরামতের নামে দফায় দফায় বরাদ্দের নামে সরকারি অর্থ লুটপাট করা হচ্ছে। এতে ক্ষুব্ধ এলাকার সচেতন মহল।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কতবার ব্লকে মাটি দেয়া হয়েছে, তার কোনো হিসাব নেই। এত লুটপাটের পরও কেন সঠিক হিসাব নেই তা জানতে চেয়েছেন স্থানীয়রা। আর কেন এভাবে একের পর এক ৩৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর থেকে অল্প বরাদ্দে দেশের বড় বড় ব্রিজ হয়ে যাচ্ছে। আর এই ব্রিজ কি এক অদৃশ্য জাদুতে চলতেই আছে কাজ। আর কত বছর চলবে বোঝাও যাচ্ছে না। কখনো ব্লক আবার কখনো মাটি কাটা, সেই সঙ্গে প্রটেকশন ওয়াল, বারো মাস রাস্তা মেরামত; এভাবে কত কোটি গেছে একমাত্র সংশ্লিষ্ট বাবুরাই জানেন। এত বরাদ্দ হলেও রহস্যজনক কারণে ব্রিজের কোনোকিছুই ঠিক হচ্ছে না কেন?

সম্প্রতি ব্রিজে গিয়ে দেখা যায়, ব্লকের কাজ করছেন বেশকিছু মিস্ত্রিসহ ঠিকাদার আব্দুর রশিদের সহকারী। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় কী কাজ চলছে? তিনি জানান, ব্রিজের চারপাশে ব্লক দেয়া হচ্ছে। কাজ করছেন ঠিকাদার আব্দুর রশিদ। কত টাকার কাজ জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, ৩ কোটি টাকার উপরে।

জানা গেছে, তানোর ও মোহনপুর উপজেলার জনসাধারণের চলাচলের জন্য ২০০৬ সালে পৌর সদরের গোল্লাপাড়া বাজারসহ খাদ্যগুদামের পূর্ব দিকে ব্রিজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এরপর নানা কারণে কাজ বন্ধ থাকে। তবে ফারুক চৌধুরী অত্র এলাকার এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর পুরোদমে শুরু হয় কাজ। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের গড়িমসি ও নানা অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে এত বছরেও ব্রিজের চারপাশ ও সংযোগ সড়কের কাজ কোনোভাবেই শেষ হচ্ছে না। বিশেষ করে ব্রিজের পূর্ব দিকের রাস্তার চরম বেহাল অবস্থা। প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। সামান্য বাইক নিয়ে চলাও কঠিন। এমনকি ব্রিজের পূর্ব পাশের দুপাশের মাটি ধসে পড়ে ব্যাপক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, জেলার দুই উপজেলার জনসাধারণের চলাচল থেকে শুরু করে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতেই নির্মিত হয়েছে ব্রিজটি। এই ব্রিজ ও সংযোগ সড়ক হওয়ার কারণে বিনোদনমুখী স্থান হয়ে পড়েছে ব্রিজটি। কিন্তু জানি না কী কারণে এত বছর অতিবাহিত হলেও কাজ শেষ হচ্ছে না। মনে হয় যে টাকা খরচ হয়েছে, তাতে আরেকটি নতুন ব্রিজ করা যেত। মাঝে মাঝে মনে হয় ইচ্ছ‍া করেই কাজ শেষ করা হয় না। শেষ হলে বরাদ্দ মিলবে না, এমনটাই মনে হয়। তাছাড়া দেশের বড় বড় সেতু ও ব্রিজ নির্মাণের কাজ শেষ হলেও এই ব্রিজ কী এমন যে, কাজ শেষই হয় না।

কথায় আছে- সরকারি মাল দরিয়া মে ঢাল। এই ব্রিজের অবস্থা ঠিক তাই মনে হচ্ছে। আর কত বরাদ্দ হলে কাজ সম্পন্ন হবে তা কেউ জানেন না। আবার ব্লকের বরাদ্দ কর্তৃপক্ষ বলছে ৩ কোটি ২১ লাখ টাকা। ঠিকাদারের সহকারী জানালেন সাড়ে তিন কোটি টাকা। কিছুই বলার নেই। তাও কাজ শেষ হোক, এমনটাই আশা দুই উপজেলাবাসীর।

তবে আশার কথা শুনিয়েছেন সদ্য তানোর উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দেয়া সাইদুর রহমান। তিনি সকালের সময়কে জানান, অল্প সময়ের মধ্যেই ব্রিজের সকল ধরনের কাজ শেষ করা হবে।

শাফিন / জামান

জাঁকজমক ও আনন্দঘন পরিবেশে পাবনা জেলার ১৯৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

নওগাঁয় হারিয়েছে প্যাডেল চালিত রিকশাঃ ভরসা এখন ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা

বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ন মিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

রাজস্থলীতে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে বাস খাদে, আহত ১

আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী জিহাদ হোসেন এইচএসসিতে জিপিএ-৫ অর্জন

আদমদীঘিতে বিএনপির কর্মিসভা অনুষ্ঠিত

বাউফলের জেলেদের চাল বিতরণে অনিয়ম: ইউপি সচিবকে শোকজ

লাকসাম ও মনোহরগঞ্জে কোন বৈষম্য রাখবো নাঃ আবুল কালাম

হাটহাজারীতে সরকারি পথে সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে প্রতিবন্ধকতা, চরম দুর্ভোগে কয়েক হাজার মানুষ

বালিয়াকান্দিতে ৩১ দফা বাস্তবায়নে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ছুটির দিনেও চড়া মোহনগঞ্জে সবজির বাজার

রায়গঞ্জে ব্যারিস্টার বাতেন : ‘৩১ দফাই শান্তি ও সমৃদ্ধির রূপরেখা’

নরসিংদীতে সবজির বাজারে অস্থিরতা