জন্মই যেন আজন্ম পাপ আবদুল মালেকের

একটি দুর্ঘটনা সারাজীবনের কান্না। তবে এরমধ্যেই দেখা যায় ব্যতিক্রম কিছু মানুষ। যাদের আত্মসম্মান ও আত্মবিশ্বাস এনে দেয় নতুন এক শক্তি। তেমনি একজন আবদুল মালেক। এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ডান পা। এ অবস্থায়ও ভিক্ষাবৃত্তি না করে স্বাভাবিক মানুষের মতো কাজ করে জীবন চালিয়ে নিচ্ছেন।
ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, জন্মগতভাবে প্রতিবন্ধী না হয়েও এখন সে পঙ্গু। ওই দুর্ঘটনায় তার ডান পায়ের হাঁটুর নিচ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কিন্তু তারপরও মনোবল হারাননি । এক পায়ের ওপর ভর করে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কোনাবাড়ী আনসার বিল্ডিংয়ের সামনে ডিজিটাল ওজন মাপার মেশিন নিয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকেন রাস্তার পাশে। সারাদিন কাজ করে রোজগার ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, যা দিয়েই কোনোমতে চলে তার সংসার।
আবদুল মালেকের বাড়ি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার দুম্বার পাড়া এলাকার সিমলা গ্রামে। ৬ ভাই ৩ বোনের মধ্যে মালেক ছিলেন সবার ছোট। চাকুরী করতেন ঢাকা কারওয়ান বাজার বিএসসিসি ভবনে এনটিভি অফিসে অফিস সহকারী হিসেবে। হঠাৎ মানসিক সমস্যার কারনে ২০১১ সালে চাকরি ছেড়ে চলে যায় গ্রামের বাড়ি।
মানসিক সমস্যার অযুহাতে ২০১২ সালে একমাত্র সন্তান রেখে চলে যান স্ত্রী। একসময় তিনি হয়ে পড়েন পরিবারের বোঝা। দিশেহারা হয়ে হাটতে হাটতে চলে যায় পাশের দেশ ভারতে। সেখানে পাগলের বেশ ধরে কাটিয়ে দেন ৩ বছর। এরপর জীবনে নেমে আসে কালো অধ্যায়। ১ এপ্রিল ২০১৫ সালে ট্রেন দুর্ঘটনায় ডান পায়ের হাঁটুর নিচ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর মানুষের সহযোগিতায় কিছুটা সুস্থ হয়ে ফিরে আসেন গ্রামে।
বাড়িতে ফিরে আসলেও বাবা মৃত থাকায় পরিবার থেকে পায়নি তেমন সহযোগিতা। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছেও মেলেনি প্রতিবন্ধী কার্ড। পরে গ্রামের কয়েকজন মানুষের সহযোগিতায় কিনেন ওজন মাপার ডিজিটাল মেশিন। তবে গ্রাম এলাকায় ওজন মাপার মেশিন দিয়ে যা আয় হতো, তাতে দু'বেলা দুমুঠো ভাত খেতে পারতেন না। তাই বাধ্য হয়ে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি চলে আসেন গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে। টাকার অভাবে বাসা ভাড়া নিতে পারছেনা। সারাদিন রাস্তার ধারে ওজন মাপে রাতে ঘুমিয়ে থাকে কোনাবাড়ী কাঁচা বাজার আঁড়তে।
আবদুল মালেক বলেন, কষ্ট করে হলেও কাজ করে খেতে চাই। তবে ভালো একটি কর্মসংস্থান পেলে আমার ১১ বছরের ছেলেটিকে মানুষের মতো মানুষ করতে পারতাম।পথচারী আরিফ সরদার বলেন, সত্যি বলতে তাকে দেখে মুগ্ধ হয়েছি। বর্তমান সমাজে অনেকে অসুস্থতার অভিনয় করে ভিক্ষা করে বেড়ায়। কিন্তু তার একটি পা নেই তবুও পরিশ্রম করছে। সরকার ও সমাজের বিত্তশালী মানুষের উচিত আবদুল মালেকের মতো মানুষের পাশে দাঁড়ানো।
এমএসএম / জামান

বাউফলে জেলে ও মান্তা সম্প্রদায়কে চাল বিতরণ

রায়গঞ্জে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালিত

ঢাকা-সিলেট যানজট-ভোগান্তি শেষ হবে কবে?

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নয় মাসে ১২৮টি ভ্রাম্যমাণ অভিযান: জরিমানা আদায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা

ফুলছড়িতে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উদযাপন

টাঙ্গাইলে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে বিভাগীয় ক্যাডেট এসআইদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত

রাজশাহীতে ১২ অক্টোবর থেকে টায়ফয়েড টিকাদান শুরু

সাংবাদিক মাসুদ রেজা হাই’ র মৃত্যুতে ‘দৈনিক সকালের সময়’ সম্পাদকের শোক

জামাই-শাশুড়ির অবৈধ সম্পর্কে কপাল পুড়লো মেয়ের

তানোরে দি পদ্মা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু, থানায় অভিযোগ

বাসের ধাক্কায় হেফাজত নেতার মৃত্যু, চট্টগ্রামে মহাসড়ক অবরোধ

কুয়াকাটায় পরিচ্ছন্নতা ও পর্যটকবান্ধব সেবা নিশ্চিতকরণে রেস্তোরাঁ কর্মীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

রামুর বাঁকখালী নদীতে ভাসলো ঐতিহ্যবাহী কল্পজাহাজ
Link Copied