ঢাকা মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫

রক্তে ভেজা একুশ


মশিউর আনন্দ photo মশিউর আনন্দ
প্রকাশিত: ২৪-২-২০২২ দুপুর ৪:৪৭

রক্তে ভেজা একুশ
  গুলশান আরা রুবী

রক্তে ভেজা একুশ তুমি 
লাল সবুজের দেশ তোমার উপর মাথা রেখে
আছি অনেক বেশ তুমি আমার প্রিয় বাংলাদেশ ।

এই দিনে লাল সূর্যের জ্যোতির আলোয় পড়েছিলো 
সবুজের বুকে দিয়েছিলো কিরণ আলো উদ্ভাস!

সারাদেশে বহে ছিলো বিশুদ্ধ কোমল মৃদু বাতাস 
অনেক দিনপর ফিরে আসিলো শান্তির আবার নিঃশ্বাস।

কত যে কেটেছে কষ্টে দিন রাত 
পুকুরের কচুরিপানার নীচে অথবা না হয় মাটির গর্তে 
কিংবা কোন ময়লা আবর্জনায় লুকিয়ে ছিলো সেই বীর সন্তানেরা ।

তিলে তিলে ধ্বংস হয়েছিলো বাংলার মৃত্তিকার 
মা বোনদের জীবন বারংবার ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে অমানুষ হায়নাদের অত্যাচার অঙ্গন ।

কত পুষেছিল বহুরূপি মানুষ 
তবে তারা মানুষ রূপে ছিলো জানোয়ার
তাই তো হাসি মুখে বর্ণমালা জয়ের গান গাই 
দেখো সবাই আজ ওই আকাশে 
বাংলার লাল সবুজে সূর্য হাসে ।

তাই আজ একুশ মানেই গর্জে উঠা বীর বাঙালির অহংকার
রক্তে সিঁড়ি বেয়ে ছিনিয়ে আনা মোদের বাংলা ভাষা! 

একুশ মানেই কন্ঠে উঠা হাজার মায়ের ভুলি 
একুশ মানেই শহীদ ভাইয়ের আত্মত্যাগের যুলি।

একুশ হল দীপ্তিমান চিত্রের লাল সবুজের পতাকা!
একুশ হল বীরশ্রেষ্ঠ শহীদের রক্তে চুষা বর্ণমালার শপথ রাখা।

একুশ মানে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীন ভাবে বাঁচার অধিকার 
একুশ মানেই আঁধার রাতের আলো ফিরে পাওয়া।

একুশ মানেই মায়ের চোখের নোনা জ্বল ঝরে পরা  
একুশ মানে রক্ত দিয়ে লাল সবুজ ছিনিয়ে আনা ।

একুশ মানেই বোনের সম্ভ্রম হারা একুশ মানেই ভাইয়ের রক্ত ঝরা।

একুশ মানে রক্তে ভাসা নদী লাল হয়ে টকবক করা  
একুশ মানে ভাইয়ের রক্তে দিয়ে বোনের চোখের পানি মুছা । 

একুশ হল ভালোবাসা দ্বীপ সাজিয়ে রাখা 
সে একুশ হল ভোরের আলোর স্নিগ্ধ   শিশির ভেজা। 
একুশ হল ভোর বেলার শীতল হাওয়া ।

এমএসএম / এমএসএম