চোখধাঁধানো লাল রংয়ের অপরূপ সাজে শিমুল গাছ এখন বিলুপ্তপ্রায়

গাছে গাছে জেগে উঠেছে সবুজ পাতা, মুকুল আর ফুল দেখে বোঝা যায় শীত বিদায় নিয়ে আবার এলো ফাগুন, এলো বসন্ত। ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে আবহমান গ্রাম বাংলার প্রকৃতিকে রাঙিয়ে ফুটেছে নয়নাভিরাম শিমুল ফুলের মেলা। কিন্তু কালের বিবর্তনে আগুনঝরা ফাগুনে চোখধাঁধানো গাঢ় লাল রংয়ের অপরূপ সাজে সজ্জিত শিমুল গাছ এখন বিলুপ্তপ্রায়। দিনে দিনে প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শিমুল ফুলের ঐতিহ্য।
বিগত এক যুগ আগেও বিভিন্ন গ্রামের অধিকাংশ বাড়ির আনাচে-কানাচে আর রাস্তার ধারে প্রচুর শিমুল গাছ দেখা যেত। এখন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে খুব বেশি একটা দেখা যায় না শিমুল গাছ। যা দেখা যায় তাও অপরিচর্যায় বেড়া ওঠা। প্রাকৃতিকভাবে তুলা আহরণের অন্যতম অবলম্বন শিমুল গাছ। এ গাছের সব অংশেরই রয়েছে ভেষজগুণ।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা এখনো নানা রোগের চিকিৎসায় এ গাছের বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করে।শীতের শেষে পাতা ঝরে পড়ে।বসন্তের শুরুতেই গাছে ফুল ফোটে প্রতিটি গাছে গাছে প্রস্ফুটিত শিমুল ফুলই স্মরণ করিয়ে দিতো বসন্ত এসেছে দ্বারে। আর এ ফুল থেকেই হয় ফল। চৈত্র মাসের শেষের দিকে ফল পুষ্ট হয়। বৈশাখ মাসের দিকে ফলগুলো পেকে শুকিয়ে গিয়ে বাতাসে আপনা আপনিই ফল ফেটে প্রাকৃতিক ভাবে তুলার সাথে উড়ে উড়ে দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে।
বীজ থেকেই এর জন্ম হয়। অন্যান্য গাছের মতো এই গাছ কেউ শখ করে লাগায় না। নেয়া হয় না কোনো যত্ন। অযত্ন আর অনাদরে প্রাকৃতিকভাবেই এ গাছ বেড়ে ওঠে। বালিশ, লেপ ও তোষক তৈরিতে শিমুল তুলা যুগ যুগ ধরে ঐতিহ্য বহন করে আসছে। দিনে দিনে প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শিমুল ফুলের ঐতিহ্য। প্রাকৃতিকভাবে তুলা আহরণের অন্যতম অবলম্বন শিমুল গাছ। এ গাছের সব অংশেরই রয়েছে ভেষজগুণ।
শিমুল গাছের বৈজ্ঞানিক নাম বোমবাক্স সাইবা লিন। শীতের শেষে পাতা ঝরে পড়ে। বসন্তের শুরুতেই গাছে ফুল ফোটে। আর এ ফুল থেকেই হয় ফল। চৈত্র মাসের শেষের দিকে ফল পুষ্ট হয়। বালিশ, লেপ ও তোষক তৈরিতে শিমুল তুলা যুগ যুগ ধরে ঐতিহ্য বাহন করে আসছে। অথচ মানুষ এ গাছকে তুচ্ছ মনে করে কারণে-অকারণে কেটে ফেলছে।
উপজেলার দক্ষিণ বুড়াইল গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি আঃ গণি, মন্টু মিয়া, করিম, আবুল কাশেম ভূঁইয়াসহ অনেকে বলেন, আগে গ্রামে প্রচুর শিমুল (তুলা) গাছ ছিল। এই শিমুল ঔষধি গাছ হিসেবেও পরিচিত। মানুষ বিষফোঁড়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে এ গাছের মূল ব্যবহার করত।
ফুলছড়ি উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মিন্টু মিয়া বলেন, বাণিজ্যিকভাবে এখন দেশের কোথাও এই শিমুলগাছ বা তুলা চাষ করা হয় না। এটি প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠে, সে কারণে শিমুল গাছ ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। এই তুলাটা খুবই ভালো। লেপ ও তোষক তৈরিতে শিমুল তুলার জুড়ি নেই।
কৃষি বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের শিমুল গাছের বংশবৃদ্ধির হার কিভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়ে একটু নজর দেবে, এমনটাই কামনা করেন সচেতন মহল।
এমএসএম / জামান

গোপালগঞ্জে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করলেন ডিসি মুহম্মদ কামরুজ্জামান

চাঁদাবাজির অভিযোগ নিয়ে অস্ত্র শাখার দায়িত্বে আরএনবির আনোয়ার

ত্রিশালে বিএনপিনেতার মৃত্যুতে স্বরণসভা ও দোয়া মাহফিল

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় দাখিল মাদ্রাসার কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগে অভিভাবকদের ক্ষোভ

কুমিল্লায় জামায়াতের জুলাই সনদ ও পিআরসহ ৫দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

হাসিনাকে 'মা' ডাকা আশুলিয়ার আঃলীগ নেত্রী গাজী নাছরিন আক্তার নাজ এখনো মামলাহীন ধরাছোঁয়ার বাইরে

আ'লীগ- বিএনপি মিলেমিশে রায়পুরে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনে বেপরোয়া

মাগুরায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫ এর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন ঘোষণা

বাঘায় টাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন

নোয়াখালী বিভাগের দাবিতে চট্টগ্রামে মানববন্ধন

ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে বাস চলাচল বন্ধ, বিপাকে ৫ জেলার যাত্রী

নরসিংদীতে ১৪ দল ও জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াত বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান

তানোর গোদাগাড়ীতে ধানের শীষের মনোনয়নের শীর্ষে ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন
Link Copied