ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫

চোখধাঁধানো লাল রংয়ের অপরূপ সাজে শিমুল গাছ এখন বিলুপ্তপ্রায়


মজিবর রহমান, গাইবান্ধা photo মজিবর রহমান, গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ২৬-২-২০২২ দুপুর ৩:৫৯
গাছে গাছে জেগে উঠেছে সবুজ পাতা, মুকুল আর ফুল দেখে বোঝা যায় শীত বিদায় নিয়ে আবার এলো ফাগুন, এলো বসন্ত। ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে আবহমান গ্রাম বাংলার প্রকৃতিকে রাঙিয়ে ফুটেছে নয়নাভিরাম শিমুল ফুলের মেলা। কিন্তু কালের বিবর্তনে আগুনঝরা ফাগুনে চোখধাঁধানো গাঢ় লাল রংয়ের অপরূপ সাজে সজ্জিত শিমুল গাছ এখন বিলুপ্তপ্রায়। দিনে দিনে প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শিমুল ফুলের ঐতিহ্য।
 
বিগত এক যুগ আগেও বিভিন্ন গ্রামের অধিকাংশ বাড়ির আনাচে-কানাচে আর রাস্তার ধারে প্রচুর শিমুল গাছ দেখা যেত। এখন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে খুব বেশি একটা দেখা যায় না শিমুল গাছ। যা দেখা যায় তাও অপরিচর্যায় বেড়া ওঠা। প্রাকৃতিকভাবে তুলা আহরণের অন্যতম অবলম্বন শিমুল গাছ। এ গাছের সব অংশেরই রয়েছে ভেষজগুণ।
 
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা এখনো নানা রোগের চিকিৎসায় এ গাছের বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করে।শীতের শেষে পাতা ঝরে পড়ে।বসন্তের শুরুতেই গাছে ফুল ফোটে প্রতিটি গাছে গাছে প্রস্ফুটিত শিমুল ফুলই স্মরণ করিয়ে দিতো বসন্ত এসেছে দ্বারে। আর এ ফুল থেকেই হয় ফল। চৈত্র মাসের শেষের দিকে ফল পুষ্ট হয়। বৈশাখ মাসের দিকে ফলগুলো পেকে শুকিয়ে গিয়ে বাতাসে আপনা আপনিই ফল ফেটে প্রাকৃতিক ভাবে তুলার সাথে উড়ে উড়ে দ‍ূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে।
 
বীজ থেকেই এর জন্ম হয়। অন্যান্য গাছের মতো এই গাছ কেউ শখ করে লাগায় না। নেয়া হয় না কোনো যত্ন। অযত্ন ‍আর অনাদরে প্রাকৃতিকভাবেই এ গাছ বেড়ে ওঠে। বালিশ, লেপ ও তোষক তৈরিতে শিমুল তুলা যুগ যুগ ধরে ঐতিহ্য বহন করে আসছে। দিনে দিনে প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শিমুল ফুলের ঐতিহ্য। প্রাকৃতিকভাবে তুলা আহরণের অন্যতম অবলম্বন শিমুল গাছ। এ গাছের সব অংশেরই রয়েছে ভেষজগুণ। 
 
শিমুল গাছের বৈজ্ঞানিক নাম বোমবাক্স সাইবা লিন। শীতের শেষে পাতা ঝরে পড়ে। বসন্তের শুরুতেই গাছে ফুল ফোটে। আর এ ফুল থেকেই হয় ফল। চৈত্র মাসের শেষের দিকে ফল পুষ্ট হয়। বালিশ, লেপ ও তোষক তৈরিতে শিমুল তুলা যুগ যুগ ধরে ঐতিহ্য বাহন করে আসছে। অথচ মানুষ এ গাছকে তুচ্ছ মনে করে কারণে-অকারণে কেটে ফেলছে।
 
উপজেলার দক্ষিণ বুড়াইল গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি আঃ গণি, মন্টু মিয়া, করিম, আবুল কাশেম ভূঁইয়াসহ অনেকে বলেন, আগে গ্রামে প্রচুর শিমুল (তুলা) গাছ ছিল। এই শিমুল ঔষধি গাছ হিসেবেও পরিচিত। মানুষ বিষফোঁড়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে এ গাছের মূল ব্যবহার করত।
 
ফুলছড়ি উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মিন্টু মিয়া বলেন, বাণিজ্যিকভাবে এখন দেশের কোথাও এই শিমুলগাছ বা তুলা চাষ করা হয় না। এটি প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠে, সে কারণে শিমুল গাছ ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। এই তুলাটা খুবই ভালো। লেপ ও তোষক তৈরিতে শিমুল তুলার জুড়ি নেই।
 
কৃষি বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের শিমুল গাছের বংশবৃদ্ধির হার কিভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়ে একটু নজর দেবে, এমনটাই কামনা করেন সচেতন মহল।

এমএসএম / জামান

সাজিদা ট্রেডিংয়ের প্রোপাইটর মোঃ লিয়াকত হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে মামলা

শান্তিগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নাফনদীর মোহনায় ট্রলার ডুবি, ৭জেলে উদ্ধার

বালিয়াকান্দিতে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

বাউফলে চেয়ারম্যান পরিবহন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

আদমদীঘিতে সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির কার্যক্রম স্থগিতের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান

দৌলতপুরে মুখ বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার

কমিউনিটি পুলিশিং সভা ও উদ্ধারকৃত মোবাইল-অর্থ হস্তান্তর: মেহেরপুর জেলা পুলিশের জনবান্ধব উদ্যোগ

ভূরুঙ্গামারীতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নবজাতক শিশুদের জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করছে উপজেলা প্রশাসন

পাবনায় ট্রিপল মার্ডারের রায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড

গলাচিপা সরকারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে জামায়াতের এমপি পদ প্রার্থীর মত বিনিময় সভা

ত্রিশালে মসজিদে চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত