কাঁঠালের সুগন্ধি চন্দনাইশের প্রতিটি ঘরে ঘরে
চট্টগ্রাম চন্দনাইশের পাহাড়ে পাহাড়ে কাঁঠালের আশাব্যঞ্জক ফলন হয়েছে। দামও ভালো থাকায় বাগানের মালিকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে এ কাঁঠাল। চন্দনাইশে ইতিমধ্যে বেশকিছু বাগান মালিক কয়েক দফায় কাঁঠাল বিক্রির টাকাও হাতে পেয়েছে। উপজেলার পাহাড়ী এলাকা ধোপাছড়ি, লর্ট এলাহাবাদ, কাঞ্চননগর, হাশিমপুর, রায়জোয়ারা, লালুটিয়া, ছৈয়দাবাদ, জামিজুরী এসব এলাকায় প্রচুর কাঁঠাল হয়। তাছাড়া চন্দনাইশের সমতল এলাকায় গৃহস্থের বাড়ী-ভিটায়ও কাঁঠাল গাছে এবারে প্রচুর ফলন হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে কাঁঠালের ফলন আশাব্যঞ্জক কারণ হিসেবে বাগান মালিকেরা জানান, কালবৈশাখী না হওয়ায় কাঁঠালের ফলন ভাল হয়েছে। তাদের মতে অন্যান্য বছরে কালবৈশাখীর তান্ডবে বাগানের ছোট কাঁঠাল নষ্ট হত। ধোপাছড়ির বিভিন্ন পাহাড়ের টিলায় প্রচুর কাঁঠাল গাছ রয়েছে। এসব গাছে প্রচুর ফলন হয়েছে। কাঞ্চননগর ও লর্ট এলাহাবাদ সহ বিভিন্ন পাহাড়ী এলাকায় কাঁঠালের বাগান গুলিতে থোকায় থোকায় কাঁঠাল ধরেছে। পাহাড়ী এলাকায় উৎপাদিত এসব কাঁঠাল নৌকায় শ্রমিকদের কাঁদে করে দোহাজারী, রওশনহাট, খানহাট, বাদামতল এলাকার বাজারে এনে বিক্রি করা হচ্ছে। এসব এলাকা থেকে পাইকারী ব্যবসায়ীরা কাঁঠাল কিনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে বিক্রয় করছে। কাঁঠালের চাহিদা মেটাচ্ছে চন্দনাইশের এ পাহাড়ী এলাকা। বর্তমানে চন্দনাইশের পাহাড়ী এলাকার মধুফল কাঁঠাল ও আনারসের বাজারে সয়লাব রয়েছে। বাগান মালিক ও ক্রেতা উভয়ে মহা খুশিতে দিন অতিবাহিত করছে। সামান্য বৃষ্টি হলে কাঁঠালের প্রচুর চাহিদা থাকে বাজারে। দামও ভালো পাওয়া যায় বলে জানালেন বাগান মালিকেরা। এখন চন্দনাইশের প্রতিটি হাট-বাজারে কাঁঠাল ও আনারস বাজারে ভিড় পরিলক্ষিত দেখা যাচ্ছে। জাতীয় ফল হিসেবে কাঁঠাল শরীরের চাহিদা পূরণে সক্ষম হয়ে মানুষের রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক কাজ করছে বলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের অভিমত। দেশীয় ফল হিসেবে এ মৌসুমে কাঁঠাল খেলে শরীরের গঠন এবং ত্বকে গ্লিস বাড়বে বলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তাই কাঁঠাল খাওয়ার প্রতি ঝুকে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
এমএসএম / এমএসএম