ইবিতে বঙ্গবন্ধু পরিষদের এক পক্ষকে প্রতিহতের ঘোষণা অপর পক্ষের
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের শিক্ষকদের দুই কমিটির বভক্তিকে ঘিরে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি পরিষদের শিক্ষক ইউনিটের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধী দাবি করে কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে সংগঠনটির কেন্দ্র ঘোষিত কমিটি। এছাড়া পরবর্তীতে শিক্ষক ইউনিট কোন কর্মসূচি ঘোষণা করলে তাদেরকে প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্র ঘোষিত কমিটির নেতারা।
তথ্যমতে, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের নামে তিনটি কমিটির কার্যক্রম রয়েছে। ২০১৯ সালের ৬ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কমিটি ঘোষণা করে বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগের প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমানকে সভাপতি ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রফেসর ড. মাহবুবুল আরফিনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। পরে ড. মাহবুবুর রহমান প্রো-ভিসি হিসেবে নিয়োগ পেলে তার স্থানে প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব নেন।
এদিকে ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্র ঘোষিত কমিটির বাইরে শিক্ষক ইউনিট নামে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ১১ মার্চ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি হিসেবে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফেসর ড. রুহুল কেএম সালেহ সভাপতি ও বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যপক ড. আবু হেনা মোস্তফা জামাল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরে একই সংগঠনে দুই কমিটি হওয়ায় শিক্ষক ইউনিটকে তার কার্যক্রম বন্ধের অনুরোধ করে কেন্দ্রীয় কমিটি। এছাড়া একই বছরের ১৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু পরিষদ অফিসার’স ইউনিট নামে আরো একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা হয়। এতে উপ রেজিস্ট্রার আ. হান্নানকে সভাপতি ও সহকারী রেজিস্ট্রার শাহানুর আলমকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
সর্বশেষ গত ৬ মার্চ আবারো শিক্ষক ইউনিটের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি হিসেবে হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের প্রফেসর ড. কাজী আখতার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আইসিটি বিভাগের প্রফেসর ড. তপন কুমার জোদ্দার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এ কমিটিকে বঙ্গবন্ধু পরিষদের গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী দাবি করে উক্ত কমিটিকে অবঞ্ছিত ঘোষণা করেন কেন্দ্র ঘোষিত কমিটির নেতাকর্মীরা। গত ৮ মার্চ দলীয় সাধারণ সভায় তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মাহবুবুল আরফিন। এছাড়া পরবর্তীতে ক্যাম্পসে তারা কোন কর্মসূচি পালন করলে তাদের প্রতিহত করবেন বলে ঘোষণা দেন তারা।
কেন্দ্র ঘোষিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ড. মাহবুবুল আরফিন বলেন, শিক্ষক ইউনিট নামে বঙ্গবন্ধু পরিষদের কোন শাখার অনুমোদন দেয়নি কেন্দ্রীয় কমিটি। এর কার্যক্রম সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধী। বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভাবমূর্তি নষ্ঠ করতে একটি অংশ অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে তাদের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিলেও তারা তা ভ্রুক্ষেপ করছেনা। পরবর্তীতে শিক্ষক ইউনিট নামে কোন কর্মসূচি ঘোষণা করলে তাদের প্রতিহত করা হবে।
শিক্ষক ইউনিটের নবনির্বাচিত সভাপতি প্রফেসর ড. কাজী আখতার হোসেন বলেন, এখনো দায়িত্ব গ্রহণ করিনি। সামনের সাধারণ সভায় দায়িত্ব গ্রহণ করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবো। সংগঠনের বিভক্তির কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এতো কিছু জানিনা, পূর্বে যে সভাপতি, সেক্রেটারি ছিলো তারা হয়তো বলতে পারবে।
জামান / জামান