বাঁশখালীতে দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের মনকিচর এলাকায় জায়গা জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দোকানঘর ভাংচুর ও ২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পশ্চিম মনকিচর এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর পুত্র প্রভাবশালী মৌলভী আবু সৈয়দ একদল সন্ত্রাসীদের নিয়ে গণ্ডামারা ইউপিস্থ ২ নং ওয়ার্ডের সায়েব মিয়ার বাড়ির মৃত মৌলানা আমিলনুল হকের পুত্র মুহাম্মদ ইলিয়াসের দোকান ঘরটি ভাঙচুর করেছে বলে জানান দোকান ও জমির মালিক মোহাম্মদ ইলিয়াছ। এই সময় মালামাল লুটসহ অন্তত ২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছে বলেও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সূত্রে জানা যায়।
এ ঘটনায় ১৮ জুন(শুক্রবার) সকালে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে বাঁশখালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের মৃত আমিনুল হকের পুত্র মোহাম্মদ জাকারিয়া। খবর পেয়ে থানা পুলিশের এএসআই কামরুল ইসলাম দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,গন্ডামারা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড এলাকার মৃত আমিনুল হকের পুত্র মোহাম্মদ জাকারিয়া শীলকূপ ইউনিয়নের মনকিচর এলাকায় ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত এবং ক্রয়কৃত ২৩ শতক জমির ওপর ঘেরাবেড়া ও দোকানঘর নির্মাণ করে ভোগ দখল করে আসছিলেন।সম্প্রতি উক্ত জায়গার মালিকানা দাবি করায় শীলকূপ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পশ্চিম মনকিচর এলাকার হাজী মোহাম্মদ আলীর পুত্র মাওলানা আবু ছৈয়দ গংদের সঙ্গে মোহাম্মদ জাকারিয়ার বিরোধ দেখা দেয়।
এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে কতিপয় দুর্বৃত্তের দল ওই জায়গার উপর স্থিত মোহাম্মদ জাকারিয়ার মালিকানাধীন দোকানঘর ও ঘেরাবেড়া ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় দুর্বৃত্তরা বেশ কিছু লোহার রড, সিমেন্ট এবং দোকানের মালামাল লুট করে নিয়ে যায় বলে জানান ভুক্তভোগী মোহাম্মদ জাকারিয়া। শুধু তা নয় বরং তারা আমাদের দোকান ঘরটি সামনে তাদের বুুুঝানোর একটি রাজনৈতিক পরিচয়ের ব্যানারো টাঙ্গিয়ে দিয়েছে।তাই শান্তি রক্ষার্থে ন্যায় বিচারের স্বার্থে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।ভূক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে প্রশাসনের নিকট ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেছেন।এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার এএসআই কামরুল ইসলাম বলেন,মূলত জায়গা বিরোধের জের ধরে একপক্ষের লোকজন ওই জায়গায় ঘেরাবেড়া দিয়ে একটি সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেয়। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক উভয় পক্ষের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এমএসএম / এমএসএম