ফুলছড়ির বাজারগুলোতে কমেনি কোনো পণ্যের দাম

গাইবান্ধার ফুলছড়িতে হু হু করে বাড়ছে ভোগ্যপণ্যের দাম। লাগামহীন দাম বৃদ্ধিতে বেকায়দায় পড়েছেন মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষ। ফুলছড়ির কালির বাজারে কোনো পণ্যের দামই কমেনি। বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল, ডাল, আটা, চিনি, মুরগি, ডিম ও বেশিরভাগ সবজি।
বৃহস্পতিবার ফুলছড়ি উপজেলার কালির বাজারে প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেল ১৭০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা যায়। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এক লিটার বোতলজাত তেল ১৬৮/১৭০ এবং ৫ লিটার তেল ৭৭০/৭৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। চিনি প্রতি কেজি ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই বাজারে মসুরের ডাল প্রতি কেজি মানভেদে ৯০/১২০ এবং খেসারি ডাল মানভেদে ৬০/৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা আটা প্রতি কেজি ৩২ টাকা, প্যাকেট আটা ৩৮ এবং ময়দা ৫০ টাকা কেজি প্যাকেট হিসেবে বিক্রি হতে দেখা যায়।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ। এছাড়াও প্রতি কেজি রঞ্জিত চাল ৪৩/৪৪ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৫৩ বিআর-৪৯ চাল ৪৭, কাটারিভোগ ৬২/৬৫ এবং মিনিকেট চাল প্রতি কেজি ৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে চালের দাম বাড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ। সপ্তাহের ব্যবধানে কমেনি পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
এছাড়াও কাঁচামরিচ ও বেগুনের কেজিও ৫০ টাকা। আলু মানভেদে ১৫/২০ টাকা, ছিম ৪০/৫০, কপি,মিষ্টিকুমড়া,টমেটো ও গাজর ৩০, শশা ৬০ এবং আদা ও রসুনের কেজি ৭০ টাকা। শহরের এই বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৪৫, পাকিস্তানি মুরগি ২৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। দেশি মুরগির কেজি ৪২০ টাকা। এছাড়াও প্রতি হালি ডিম ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের কেজি ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।খাসির মাংস প্রতি কেজি ৮০০/৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দাম কিছুটা কমেছে। দেশি মাগুর মাছের কেজি ৬০০,টেংরা আকারভেদে ২৬০/৪০০,পাবদা মাছ ২৬০/৩৫০ এবং দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের রুই মাছ দাম কমে ২৬০ এবং তিন থেকে সাড়ে তিন কেজি কাতল মাছ ৩২০/৩৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
কালির বাজারে, বাজার নিতে আশা একাধিক ক্রেতা বলেন। বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা চালু থাকলেও উপজেলা পর্যায়ে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা নাই বললেই চলে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের জীবনযাপনে প্রচণ্ড আঘাত হানতে শুরু করেছে। অধিক দামে পণ্যসামগ্রী কেনা ভুক্তভোগিদের বোবা কান্না যেনো দেখার কেউ নেই। অস্থির এই বাজার নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের সঠিক তদারকি না থাকলে সাধারণ মানুষ আরও বেকায়দায় পড়তে পারে বলে একাধিক সুত্রে জানা গেছে।
কালির বাজার বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যবসায়ী আঃ সাত্তার মিয়া জানান, গত মাসের ব্যবধানে সজিনা, করলা ও চাল-ডাল-তেল মসলাসহ সব ধরনের জিনিপত্রের দাম বেড়েছে। এতে করে ক্রেতা সাধারণের মধ্যে ক্ষুব্ধতা দেখা দিয়েছে।
গাইবান্ধার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণে তদারকি অব্যাহত রয়েছে। যারা কৃত্রিম সংকট বা অতিরিক্ত দামে খাদ্যপণ্য বিক্রি করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অ. দা.) মোহাম্মদ আলাউদ্দিন জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখার লক্ষ্যে টিসিবির উপকারভোগী বাছাই ও পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম সংক্রান্ত উপজেলা মনিটরিং কমিটির সভা করা হয়েছে। জনপ্রতিনিধিরা উপকারভোগীদের তালিকা প্রস্তুত করছেন। আগামী সপ্তাহে নাগাত উপকারভোগীরা টিসিবির পণ্য পাবে।
এমএসএম / জামান

সাজিদা ট্রেডিংয়ের প্রোপাইটর মোঃ লিয়াকত হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে মামলা

শান্তিগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নাফনদীর মোহনায় ট্রলার ডুবি, ৭জেলে উদ্ধার

বালিয়াকান্দিতে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

বাউফলে চেয়ারম্যান পরিবহন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

আদমদীঘিতে সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির কার্যক্রম স্থগিতের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান

দৌলতপুরে মুখ বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার

কমিউনিটি পুলিশিং সভা ও উদ্ধারকৃত মোবাইল-অর্থ হস্তান্তর: মেহেরপুর জেলা পুলিশের জনবান্ধব উদ্যোগ

ভূরুঙ্গামারীতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নবজাতক শিশুদের জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করছে উপজেলা প্রশাসন

পাবনায় ট্রিপল মার্ডারের রায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড

গলাচিপা সরকারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে জামায়াতের এমপি পদ প্রার্থীর মত বিনিময় সভা

ত্রিশালে মসজিদে চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত
Link Copied