ঢাকা রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫

বিশ্বব্যবস্থায় ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব


রায়হান আহমেদ তপাদার  photo রায়হান আহমেদ তপাদার
প্রকাশিত: ১৩-৩-২০২২ দুপুর ১২:৩৪

আশঙ্কা ছিল, সত্যি হলো। ন্যাটোতে যোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার মধ্যে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন তিনি। এই সংকটের জন্য ন্যাটোকে দায়ী করেন পুতিন।জল, স্থল ও বায়ু, তিন দিক থেকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের সূচনা করে রাশিয়া। আর তাইতো বাতাসে বারুদের গন্ধ। বোমা হামলা ও রকেটের আঘাতে জর্জরিত ইউক্রেনের অনেক অঞ্চল ও শহর। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলার সূচনা, এরপর থেকে দফায় দফায় হামলা ও সাঁড়াশি অভিযান।এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকরাও দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। কেউ পাড়ি দিচ্ছে সীমান্ত। কেউবা আবার বিমানে দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি এতটাই ঘোলাটে যে, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইউক্রেনের আকাশসীমা। তবে বাকি রইল সীমান্ত পাড়ি দেওয়া। গণমাধ্যম সূত্র বলছে, ইউক্রেন থেকে অসংখ্য মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া, রোমানিয়া, বেলারুশ, রাশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পৌঁছেছে। রাশিয়ার অভিযানের শুরুর পর থেকে সীমান্তে নেমেছে মানুষের ঢল। প্রতিবেশী দেশগুলোও তাদের জন্য চালু করেছে ফ্রি ট্রানজিট ভিসা। তবে যারা সীমান্তে পৌঁছাতে পারেনি কিংবা বিমানে যাওয়ার পথ খুঁজছে, তারা দিনরাত পার করছে নানা শঙ্কা আর আতঙ্কে। ইউক্রেনিয়ান, আফ্রিকান, আরব, বাংলাদেশি অনেক নাগরিক আশ্রয় নিয়েছে প্রতিবেশী দেশগুলোয়। যুদ্ধ পরিস্থিতি দানা বাঁধার সময়ই ইউক্রেনে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস সে দেশে থাকা নাগরিকদের দেশে ফেরার নির্দেশ দিয়েছিল। তাতে ইউক্রেন ছাড়তে বাধ্য হন ইউক্রেনিসহ ১০ লাখ মানুষ। কেন এই যুদ্ধ? রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ করা হবে, দখল নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিবেশী দেশ দখলের এত বড় সিদ্ধান্ত শুধুই নিরাপত্তা ইস্যু জড়িত? নাকি নেপথ্যে আরও কারণ থাকতে পারে!

এদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার প্রতিবাদে ব্রাজিলের গ্রামাডো শহরের ড্রিমল্যান্ড ওয়াক্স মিউজিয়াম থেকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মোমের ভাষ্কর্য সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। কোনো কোনো সপ্তাহ আছে যাকে একেকটি যুগ বলে মনে হয়। চলতি সপ্তাহটা ঠিক সে ধরনের। ইউক্রেনে রাশিয়ার নগ্ন হামলায় ইউরোপে আবার যুদ্ধঘটিত বিয়োগান্ত দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। রাশিয়ার বাহিনী বসত ভবন,দালান কোঠা, স্কুল, হাসপাতালসহ বেসামরিক সব ধরনের স্থাপনায় বাছবিচার ছাড়াই বোমা বৃষ্টি চালিয়ে যাচ্ছে। এই অন্যায্য ও চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধকে ন্যায্য যুদ্ধ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ক্রেমলিনের প্রোপাগান্ডা যন্ত্র প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে আরও সহিংসতা নেমে আসার ভয়ে ইতিমধ্যেই ইউক্রেন ছেড়ে ১০ লাখ লোক পালিয়ে চলে গেছে। অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির নেতৃত্বে ইউক্রেনের সেনারা ও দেশটির সাধারণ মানুষ রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে নায়কোচিত প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান আক্রমণের মুখোমুখি হয়ে তারা তাদের জাতীয়তার পরিচয় ভুলে ঐক্যের পথে নেমেছে। ভ্লাদিমির পুতিন হয়তো ভেবেছিলেন, ইউক্রেনবাসীর একটি বড় অংশ যেহেতু রুশ বংশোদ্ভূত বা রুশ ভাষাভাষী,সেহেতু তাঁরা বৃহত্তর রাশিয়ার অংশ হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় পুতিনকে সমর্থন করবেন। কিন্তু তাঁদের প্রতিক্রিয়া দেখে বোঝা যাচ্ছে, তাঁরা তাঁদের দেশকে নিজেদের দেশ হিসেবেই দেখতে চান এবং তাঁরা তাঁদের ভবিষ্যৎকে ইউরোপের সঙ্গে যূথবদ্ধ হিসেবেই দেখতে আগ্রহী।ইউক্রেনের কিয়েভ প্রদেশের ইরপিন এলাকা ছেড়ে প্রাণভয়ে পালাচ্ছে মানুষ।ইউরোপীয় ইউনিয়নও কিন্তু অবিশ্বাস্য দ্রুততায় কাজ শুরু করে দিয়েছে। কেউ কেউ অবশ্য ভেবেছিল, আমরা বিভ্রান্ত করব, ইউক্রেনের সঙ্গে দ্বিমত করব এবং তাদের সহায়তা দিতে বিলম্ব করব। কিন্তু আমরা ইউক্রেনকে সমর্থন করার জন্য রেকর্ড গতিতে কাজ করেছি।

রাশিয়ার যেসব অতি ধনী গোষ্ঠী ক্রেমলিনের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সংযুক্ত এবং এই যুদ্ধের জন্য যাঁরা দায়ী, তাদের সবার ওপর আমরা নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যেসব পদক্ষেপ নেওয়ার কথা দিন কয়েক আগেও চিন্তা করা যেত না, আমরা সেসব পদক্ষেপ নিয়েছি। আন্তর্জাতিক লেনদেন মাধ্যম সুইফট থেকে রাশিয়ার নেতৃস্থানীয় ব্যাংককে বাদ দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদ জব্দ করা হয়েছে।ইইউর যেসব সদস্য দেশ ইউক্রেনকে সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে সহযোগিতা করছে, ইইউ সেই সব দেশকে সহায়তা দিচ্ছে। ইউরোপিয়ান পিস ফ্যাসিলিটির আওতায় এসব ইইউ সদস্যকে ৫০ কোটি ডলার দেওয়া হচ্ছে। সর্বোচ্চ কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে আমরা অন্যান্য দেশকে সঙ্গে নিয়ে এসব পদক্ষেপ নিয়েছি। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সুইজারল্যান্ড, জাপান, সিঙ্গাপুর এবং অন্যান্য অনেক আর্থিক ও অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপে আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। এমনকি খেলাধুলার মাঠেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। একের পর এক আন্তর্জাতিক কোম্পানি রাশিয়ান বাজার ছেড়ে চলে যাচ্ছেএখনো ইউক্রেনের ময়দান থেকে ভয়ংকর সব খবর আসছে এবং কেউ জানে না কীভাবে এই যুদ্ধ শেষ হবে। পুতিন যথারীতি এসব ধ্বংসযজ্ঞকে পশ্চিমাদের সঙ্গে বাকি বিশ্বের মধ্যে চলা সংঘর্ষের একটি অনিবার্য উপজাত হিসাবে চিত্রিত করবেন। তিনি বলতে চাইবেন পশ্চিমাদের কারণেই এই রক্তপান এড়ানো তাঁর পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। এই খোঁড়া যুক্তির মাধ্যমে তিনি দায়মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করবেন। কিন্তু তাঁর সে দাবিকে প্রায় কেউই স্বীকার করবে না। একজন স্বৈরাচারী নেতা সামরিক অভিযানের মাধ্যমে যা ইচ্ছা তাই ছিনিয়ে নেবেন এটি বেশির ভাগ দেশ এবং জনগণ মেনে নেবে না। গত ২ মার্চ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ১৪১টি দেশ ইউক্রেনের সার্বভৌম অধিকারকে সমর্থন করে ভোট দিয়েছে। 

একই সঙ্গে তারা রাশিয়ার হামলাকে জাতিসংঘের সনদ এবং আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন হিসাবে নিন্দা করেছে। মাত্র চারটি দেশ রাশিয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে বাকি ৩৫টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল। রাশিয়ার নেতারা তাদের দেশকে বাইরের বিশ্ব থেকে কতটা বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে তা এই ঐতিহাসিক বৈশ্বিক ঐকমত্যে থেকে প্রমাণিত হয়। ইইউ জাতিসংঘে নতুন অর্জিত ঐকমত্যের সুফল অর্জনে কঠোর পরিশ্রম করেছে। আমরা জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের কথার প্রতিধ্বনি করে বলতে চাই, সহিংসতা থামিয়ে কূটনীতির দ্বার উন্মুক্ত করাই এখন সবচেয়ে বড় কাজ।রাশিয়ার আক্রমণের সপ্তাহে আমরা বিলম্বে হলেও একটি ভূ-রাজনৈতিক ইউরোপের জন্ম দেখতে পাচ্ছি। কীভাবে ইউরোপকে আরও শক্তিশালী ও নিরাপত্তা সচেতন করে তোলা যায়, তা নিয়ে বছরের পর বছর ধরে ইউরোপীয়রা বিতর্ক করে আসছে। বিশ্বমঞ্চে আমাদের রাজনৈতিক লক্ষ্যগুলো অর্জনে আমরা কীভাবে আরও ঐক্যবদ্ধ হতে পারি, তা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে আলোচনা করে যাচ্ছি। সেসব আলোচনায় অতীতে তেমন কোনো কাজ হয়নি। কিন্তু গত এক সপ্তাহে রাজনৈতিক ঐকমত্য অর্জনের ক্ষেত্রে আমরা নজিরবিহীন অগ্রগতি অর্জন করতে পেরেছি। আসলে গত এক দশকে যা আমরা পারিনি গত এক সপ্তাহে এই ক্ষেত্রে তার চেয়ে অনেক বেশি অগ্রগতি পেয়েছি।এটি একটি আশাবহ অগ্রগতি। তবে এখনো আরও অনেক কিছু করার আছে। প্রথমত, আমাদের অবশ্যই ইউক্রেন এবং দেশটির জনগণকে দীর্ঘ মেয়াদে সমর্থন করতে হবে। এই সমর্থন শুধু ইউক্রেনের স্বার্থে নয়, বরং এর পাশাপাশি আমাদের নিজেদের স্বার্থেও করতে হবে। আমাদের বুঝতে হবে, পুতিনকে জয়ী হতে দিলে কারও নিরাপত্তাই থাকবে না। আইন কানুন না থাকলে আমরা সবাই বিপদে পড়ব। এ জন্য ইউক্রেনের বেঁচে থাকাটা আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। সেই লক্ষ্যে, আমাদের অবশ্যই রাশিয়ার জন্য একটি যৌক্তিক অবস্থানে ফিরে যাওয়ার পথ খোলা রাখতে হবে যাতে পুনরায় শান্তি ফিরে আসতে পারে। 

ইউরোপীয় নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার স্বার্থে এই যুদ্ধের নিহিতার্থ ও গতিপ্রকৃতি আরও বিশদভাবে আমাদের বুঝতে হবে। জ্বালানি-শক্তির কথাই বিবেচনা করুন। এটি পরিষ্কার যে, আমাদের কৌশলগত কারণেই বাধ্যতামূলক ভাবে রাশিয়ার মতো কর্তৃত্ববাদী এবং আগ্রাসী শক্তির কাছ থেকে জ্বালানি আমদানি কমাতে হবে। আমরা আমাদের প্রতিপক্ষকে আক্ষরিক অর্থে অর্থায়ন করে তার যুদ্ধ করার ক্ষমতাকে বাড়িয়ে চলেছি।ইউক্রেনে রাশিয়ার এই আক্রমণ আমাদের সবুজ জ্বালানির উত্তরণ- গতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে আমাদের বিনিয়োগ করা প্রতিটি ইউরো আমাদের রাশিয়ার কাছে থেকে পাওয়া জ্বালানি নির্ভরতা কমাবে।এটি একদিকে আমাদের কৌশলগত দুর্বলতা হ্রাস করবে, অন্যদিকে তা বিপর্যয়কর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এড়াতে সহায়তা করবে।ক্ষমতার রাজনীতির জগতে আমাদের আত্মরক্ষার জন্য আরও বেশি সক্ষম করে তুলতে হবে। আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার অর্থ হলো রাশিয়ার আক্রমণাত্মক বিভ্রান্তিমূলক নেটওয়ার্কগুলোকে মোকাবিলা করা।ভূ-রাজনৈতিক ইউরোপ-এর আসল কাজটি একেবারে সোজাসাপ্টা সেটি হলো, যত দ্রুত সম্ভব একটি মুক্ত ইউক্রেন নিশ্চিত করতে হবে। এরপর আমাদের মহাদেশ জুড়ে শান্তি ও নিরাপত্তা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমাদের সর্বশেষ উপলব্ধিকে ব্যবহার করতে হবে। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের ছয় যুগ পর বিশ্ববাসীর জন্য ভয়াবহ বিপদ হয়ে আবির্ভূত হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এ যুদ্ধ কেন্দ্র করে যদি তৃতীয় মহাযুদ্ধ বেধে যায় তবে তাতে মানব জাতির অস্তিত্ব অকল্পনীয় হুমকির মুখে পড়বে। এ মুহূর্তে বিশ্বের অন্তত ১০টি দেশের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। কোনোভাবে তৃতীয় মহাযুদ্ধ বেধে গেলে তা পারমাণবিক যুদ্ধে রূপান্তরিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেবে।

এবং এটি হবে এমন এক যুদ্ধ যাতে যারা জয়ী হবে তারা নিঃশেষ হয়ে যাওয়া প্রতিপক্ষের জন্য ঈর্ষা করতে বাধ্য হবে। কারণ পারমাণবিক যুদ্ধের পর পৃথিবীতে যারা বেঁচে থাকবে তাদের পক্ষে হয়তো স্বাভাবিক জীবনযাপন করাও কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে। পারমাণবিক যুদ্ধের ভয় থাকায় গত ছয় যুগে বিশ্বে ভয়াবহ ধরনের কোনো যুদ্ধ হয়নি। রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের পর পশ্চিমা দেশগুলো মিত্র দেশের পক্ষে দাঁড়ায়নি পারমাণবিক যুদ্ধ এড়াতে।বলা যায়, রুশ শ্বেত ভল্লুকরা বিশ্ববাসীর যুদ্ধ এড়ানোর নীতি অবস্থানকে ব্ল্যাকমেলিংয়ের হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে। প্রতিবেশী একটি শান্তিকামী দেশের স্বাধীনতা হরণ করার যে ষড়যন্ত্র তারা এঁটেছে তা দুর্ভাগ্যজনক। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার পর ইউক্রেন ছিল বিশ্বের তৃতীয় পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী। তারা নিজেরা নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্র ধ্বংস করেছে প্রতিবেশী বৃহৎ দেশ রাশিয়া ও বিশ্বপরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে।দুই দেশের পক্ষ থেকে সে সময় ইউক্রেনের নিরাপত্তা সম্পর্কে আশ্বস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু মস্কোর সিংহাসনে অধিষ্ঠিত নব্য জারদের অহংবোধের নির্মম শিকার এখন ইউক্রেনবাসী। রাশিয়া ও ইউক্রেন দুটিই আমাদের বন্ধু দেশ। বিশ্বের সব শান্তিকামী মানুষের মতো বাংলাদেশের মানুষও নিজেদের স্বার্থেই রাশিয়া-ইউক্রেনের অপরিণামদর্শী সংঘাতের অবসান কামনা করে। পারমাণবিক যুদ্ধ এড়ানোর এই-ই প্রকৃষ্ট উপায়। যাইহোক সবকিছুর পরেও মানুষ চায় ক্ষমতাদর্পী শাসকদের মধ্যে সুমতি ফিরে আসুক এবং পৃথিবীতে শান্তি ও নিরাপত্তা বিরাজ করুক। 

লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট 

এমএসএম / এমএসএম

বাংলাদেশ সংবিধানের আলোচিত ৭০ অনুচ্ছেদ প্রেক্ষিতঃ রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত

শতাব্দির সেরা মাটির সৈনিক কৃষক যোদ্ধা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট ও জনগণের প্রত্যাশা

ট্রাম্প-সালমান কথোপকথনে বিশ্ব কী বার্তা পেল

এফবিসিসিআইর ডিজিটাল রূপান্তর : ব্যবসায়িক নেতাদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল সেবা

জাতীয় ঐকমত্য কঠিন হলেও উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

রাজনৈতিক অঙ্গনে এক অনন্য উচ্চতায় তারেক জিয়া

কেমিক্যাল আতঙ্ক নয়, চাই বিজ্ঞানসম্মত আমচাষ ও প্রশাসনিক সচেতনতা

শুভ অক্ষয় তৃতীয়া: দানে ধ্যানে অনন্তকালের পূণ্যলাভ

শিক্ষা উপকরণের ব্যবহার ও গুরুত্ব, বাংলাদেশ প্রেক্ষিত

ইসরায়েলের বর্বরোচিত যুদ্ধের অবসান হোক

চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে তিস্তা পাড় বাসীর প্রত্যাশা

বিশ্ববাণিজ্যে বড় চ্যালেঞ্জ ট্রাম্পের শুল্কনীতি