রায়গঞ্জে নোটিস না দিয়ে খাল খনন, কৃষকের মাথায় হাত
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের ২নং সোনাখাড়া ইউনিয়নে নোটিস না দিয়ে খাল খননে কৃষকদের মাথায় হাত পড়েছে। কৃষকদের মাঝে উৎকণ্ঠা ও হাহাকারের চিত্র দেখা যাচ্ছে। উপজেলার পশ্চিম আটঘরিয়া থেকে ধলজান মৌজা পর্যন্ত প্রায় ৭০০ বিঘা জমিতে দোল খাচ্ছে কৃষদের সারাবছরের দৈনিন্দন আহার খাদ্যশস্য সবুজ ধান। এ ধান থেকেই মূলত এ অঞ্চলের মানুষের জীবিকা নির্বাহ করছে।
সরেজমিন দেখা যায়, কৃষকদের কোনোরকম নোটিস বা ভর্তুকি না দিয়েই হঠাৎই চলছে ফসল পিষে ফেলে খাল খননের কাজ। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কৃষকদের নিকট জানতে চাইলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তারা বলেন, আমারা আমাদের নিজেদের ক্রয়কৃত সরকারকে ট্যাক্স ও খাজনা খারিজ দিয়ে পূর্ব থেকেই চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করছি। বর্তমানে আমাদের জমিতে ধান লাগিয়েছি। আমাদের কোনো নোটিস বা আমাদের জমির বিনিময় মূল্য না দিয়েই দেখি চলছে খাল খননের কাজ। এখন আমাদের দাবি, আমাদের খাল খনন এই এলাকায় তেমন দরকার নেই। তবে স্থানীয় সরকার ও প্রশাসন যদি মনে করেন যে খাল খনন করা খুবই জরুরি তবে সরকার বা প্রশাসনের বিরুদ্ধে আমরা নই। আমাদের জমির ন্যায্যমূল্য পরিশোধ বা ভর্তুকি দিয়ে খাল খনন করতে হবে, এটা আমাদেও দাবি ও অধিকার।
এদিকে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে নদী সংস্কার ও খাল খনন কাজ বাস্তবায়ন, যার স্বরক নং বাসস-৬৪,সিরাজ৩/২০২০/২৭৭ এ উপজেলার সলঙ্গা থানাধীন ঝাউল নদীর ব্রিজ হতে বেতুয়া আমশড়া রজব আলী সরকারের বাড়ি ব্রিজ পর্যন্ত আনুমানিক ৬.৫০ কিলোমিটার এলাকার কৃষিকাজ ও মাছের চাহিদা পূরণে এই নদীটি সংস্কারের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয় ।কিন্তু বর্তমানে পশ্চিম আটঘরিয়া থেকে ধলজান পর্যন্ত কৃষকদের যে ক্ষতি করে, কৃষকদের পেটে লাথিমেরে খাল খনন করে যে, তাদের পথে নামার প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। তার কোনো নোটিস, প্রকল্প স্মারক, সরকার অনুমদিত কোনো ডকুমেন্ট দেখাতে পারছেন না প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মো. নোমান, হবিগঞ্জ সদর হবিগঞ্জের পক্ষে সাব-ঠিকাদার নেহারী কালাম।
তবে সাব-ঠিকাদান নিহারী কালামের কাছে বিষয়টি জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া জায়নি।
এ বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মর্তা বলেন, বিষয়টি আমি অবগতি আছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।
জামান / জামান