আয়া দিয়ে চলছে রায়গঞ্জ টিঅ্যান্ডটি অফিস!
আয়া দিয়ে চলছে রায়গঞ্জ টিঅ্যান্ডটি অফিস। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন রায়গঞ্জ উপজেলার টিঅ্যান্ডটি ও নেট গ্রাহকরা। সরেজমিনে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, সপ্তাহে ৭ দিনে ২ দিন সরকারি ছুটির দিন বাদে বেলা ১১টার পর ঝোলে টিঅ্যান্ডটি অফিসে তালা। পাওয়া যায় না কোকো কর্মকর্তাকেও ।
তবে অফিস চলাকালীন অফিসে চোখে পড়ে শুধু আয়া পদে থাকা গলেজা বেগমকে। অফিসের কর্মকর্তার কথা জানতে চাইলে আয়া পদে থাকা গোলেজা বেগম দিলেন অবাক করা তথ্য। রায়গঞ্জ উপজেলা টিঅ্যান্ডটি অফিসে বর্তমানে রয়েছে ২ জন কর্মকর্তা আয়া বাদে। ইসমাইল হোসেন, আহসানুল হাবিব, ওয়ারম্যান এবং লাইনম্যানের এই দুই পদে দায়িত্বে রয়েছেন তারা। দুজনেই অফিস করেন সকাল ১০টা হতে বেলা ১১টা পর্যন্ত মোট ১ ঘণ্টা।
এরপর কাজের বাহানা দিয়ে দুজনেই আরাম-আয়েশে কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পদ আয়া গলেজা বেগমের কাছে ফেলে রেখে চলে যান নিজ বাসা সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর এলাকায় অন্যজন ধানগড়ায়। রায়গঞ্জ উপজেলার পাশে বাসা না নিয়ে জেলার কাজিপুর উপজেলায় থাকেন এই কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, আমি গত ৫ দিন ধরে এই টিঅ্যান্ডটি অফিসে কথা বলার জন্য বারবার আসছি কিন্তু প্রতিদিনই আমি অফিসে ১১টার পর তালা ঝুলতে দেখি।
ভুক্তভোগীর অভিযোগের সূত্র ধরে গণমাধ্যমকর্মীরা রায়গঞ্জ উপজেলা টিঅ্যান্ডটি অফিসের দুই কর্মকর্তার সাথে অফিসে দেখা করতে গেলে তারাও একই ধরনের চিত্র দেখতে পান। গণমাধ্যমকর্মীরা ৩ দিন চেষ্টা করার পর অবশেষে এই দুই কর্মকর্তা সাংবাদিদের মুঠোফোনে বলেন, আপনারা বসেন আমি আমার বাড়িতে কাজিপুর আছি। ১ ঘণ্টা পর অফিসে আসব। এর পর অফিস সময় বাদে বিকেল ৫টায় অফিসে এসে গণমাধ্যমকর্মীদের অফিস ফাঁকি ও যথাসময়ে অফিসে না থেকে বাড়িতে থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, অফিসে লোবল কম তাই বাইরে থাকতে হয়।
সরকারের হাজার হাজার টাকা বেতন নিয়ে এমন কোটি কোটি টাকার সম্পাদ ফেলে রাখা ও অফিস ফাঁকি দেয়ার বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা টিঅ্যান্ডটি অফিসের তদারকির দায়িত্বে থাকা কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক মনিরুল ইসলাম বলেন, যথাসময়ে অফিসে না থাকা ও গ্রাহকদের শতভাগ সেবা নিশ্চিত না করার বিষয়টি খুবই দঃখজনক। আমি মোট ৪টি স্টেশনের দায়িত্বে রয়েছি। তাই আমাকে প্রায় সময় ব্যস্ত থাকতে হয়। আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। ঘটনাটি খতিয়ে দেখব।
এমএসএম / জামান