ঢাকা বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫

কোটিপতি মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রাম ‘সিঙ্গাপুর পাড়া’


শাহেদ ফেরদৌস হিরু, কক্সবাজার photo শাহেদ ফেরদৌস হিরু, কক্সবাজার
প্রকাশিত: ২০-৩-২০২২ দুপুর ১:৩২

মাদকের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত টেকনাফে মাদকে ব্যবসার টাকায় এক গ্রামেই ২০ কোটিপতির সন্ধান পাওয়া গেছে। কোটিপতির সংখ্যায় স্থানীয় মেম্বারসহ জেলফেরত আত্মসমর্পণকারীরাও আছে বলে জানান স্থানীয়রা। মাদকের ছোয়ায় টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড এলাকার প্রতিটি বাড়ি সিঙ্গাপুরের আদলে তৈরী করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা এই এলাকার নাম দিয়েছে সিঙ্গাপুর পাড়া।

মাদকের ভয়াবহতা রোধে ২০১৮ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের সমন্বয়ে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান শুরু হয়। অভিযানে টেকনাফের অনেক মাদক ব্যবসায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে নিহত হন। সে সময় ভয়ে গা ঢাকা দেন বড় বড় মাদক ব্যবসায়ীরা। টেকনাফে ১৪৮ গ্রাম থেকে প্রথম ধাপে ১০২জন ইয়াবা গড়ফাদার আত্মসমর্পণ করেন। তার মধ্যে এই গ্রামের রয়েছে ১১ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী। অভিযানে ব্যাপক সাড়া জাগলেও সাবেক ওসি প্রদীপ আটক হওয়ার পর ১৩৪৭ জন পুলিশ বদলী করা হয়। সম্প্রতি পুলিশের কোন অভিযান চোখে না পড়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আবারও সক্রিয় হয়েছে গা ঢাকা দেওয়া এবং জেল থেকে বের হওয়া আত্মসমর্পণকারী ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। আত্মীয়-স্বজন ও সিন্ডিকেটের সবাইকে নিয়ে আবার সারাদেশে শুরু করেছে ইয়াবা ব্যবসা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হ্নীলা লেদা পূর্ব পাড়ার মৃত লাল মিয়ার ছেলে জাফর আলম একসময় বন বিভাগের গাছ চুরি করত। সে সময় বন বিভাগের কর্মকর্তারা তার নামে একাধিক মামলাও করেন। পরে ঢাকা থেকে জন্মনিয়ন্ত্রণের সুখী ট্যাবলেট এনে মায়ানমারে পাচার করতেন। বিনিময়ে সেখান থেকে অবৈধ চোরাই মাল আনতেন। ব্যবসার এক পর্যায়ে শুরু করেন ইয়াবার ব্যবসা। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। গ্রামে রাজকীয় বাড়ি নির্মাণ করেন তিনি। কিনেছেন একাধিক দামী গাড়ি। কিনেছেন ১৬ একর জমি। লেদা টাওয়ার সংলগ্ন থ্রি স্টার ভাই ভাই নামের ইটের ভাটা কিনেছেন জমিসহ। চট্টগ্রামের ফয়সলেকের পাশে করেছেন ৫তলা বিশিষ্ট বাড়ি। সিলেটে ইয়াবা ব্যবসা জমিয়ে সেখানে কিনেছেন তিন কোটি টাকায় বাড়ি আর দুইটি গাড়ি। সিলেটে ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য দুইজন কর্মচারী রেখে পরিচালনা করে সেখানকার ব্যবসা। ঢাকায় দ্বিতীয় বিয়ে করে স্ত্রীকে দিয়ে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন নিজস্ব ফ্ল্যাটে। তার নামে রয়েছে একাধিক মাদক মামলা।

একই গ্রামের পশ্চিম লেদার মৃত জালাল আহমদের ছেলে হেলাল উদ্দিন ইয়াবা ব্যবসায় বনে গেছেন কোটিপতি। গ্রামে করেছে অত্যাধুনিক বাড়ি। গত তিন বছরে গ্রামে কিনেছেন ২৫ একর জমি। চট্টগ্রামে শহরে করেছেন দুইটি বাড়ি। বৈধ আয়ের উৎস খুঁজে না পাওয়ায় চট্টগ্রামের একটি বাড়ির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা চলমান রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে একাধিক মাদক মামলা। টেকনাফে মাদক বিরোধী অভিযান চলার সময় ক্রসফায়ার থেকে জেলে ঢুকে পড়েন তিনি। সাবেক ওসি প্রদীপ আটকের পর আবার সক্রিয় হয়ে উঠেন এই মাদক ব্যবসায়ী।

পূর্ব লেদা জালাল আহমদের ছেলে আবু তাহের ইয়াবার ছোয়ায় গ্রামে করেছে আধুনিক বাড়ি। কক্সবাজার তারাবনিয়ার ছড়ায় করেছে দুইটি বাড়ি। নামে বেনামে কিনেছেন জমি। রয়েছে তিনটি ট্রাক। তিনি ১০২ জন আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে অন্যতম। সম্প্রতি জেল থেকে বের আবার গড়ে তুলেছে ইয়াবা সিন্ডিকেট। বর্তমানে সে পুরোদমে ইয়াবা কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। বিগত ১ মার্চ তার বড় ভাই আবু বক্কর ২০ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়।

একই এলাকার সাবেক মেম্বার নুরুল ইসলামের ছেলে বোরহান উদ্দিন তিনিও মাদক ব্যাবসায় করেছেন রাজপ্রাসাদের মত বাড়ি। লেদায় করেছেন দুইতলা বিশিষ্ট মার্কেটসহ বাড়ি। রয়েছে ব্যবহারের জন্য দুইটি ব্যক্তিগত গাড়ি। তিনি ছিলেন বন্ধুকযুদ্ধে নিহত সাইফুল করিমের ব্যবসায়িক পার্টনার। তার সাথে লেনদেন থাকায় সাইফুল করিমের মৃত্যুর পর তার জমি করে নিয়েছেন নিজের নামে। এছাড়াও স্বাভাবিক জীবনে ফেরার লক্ষ্যে আত্মসমর্পণ করার পর জেল থেকে বের হয়ে আবার শুরু করেছেন ইয়াবার কারবার। সম্প্রতি জেল থেকে বের হয়ে নিজের বোনের কাছ থেকে ক্রয় করেছেন বাউন্ডারিসহ বিশাল বাড়ি। তার বিরুদ্ধেও রয়েছে একাধিক মামলা।

হ্নীলা ৮নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য নুরুল হুদা স্বাভাবিক জীবনে ফেরার জন্য আত্মসমর্পণ করলেও জেল থেকে বের হয়ে আবার গড়ে তুলেছে ইয়াবা সিন্ডিকেট। তার রয়েছে দুইতলা বাড়ি। লেদা পুসুইঙ্গা পাড়ায় দ্বিতলা বিশিষ্ট নির্মিতব্য ভবন। এর পাশে জমি ক্রয় করে করেছেন মুরগীর খামার। আলী খালীতে তার ভাইসহ করেছে ইটের ভাটা। লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রয়েছে দশটি দোকান। রয়েছে অবৈধ একটি স’মিল। বনবিভাগের পাহাড় দখল করে খামার বানিয়ে তৈরী করছে ইয়াবার আস্তানা। সেখান থেকে দুই ভাই ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন। ব্যবহার করেন দামী গাড়ি। দুই ভাইয়ের রয়েছে মাদক মামলা থেকে শুরু করে একাধিক খুনের মামলা।

৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল হুদার ছোট ভাই নুরুল কবিরেরও রয়েছে একাধিক মামলা। বড় ভাই মেম্বারের সাথে রয়েছে ব্রিকফিল্ডে শেয়ার। রয়েছে ব্যক্তিগত গাড়ি। আত্মসমর্পণের পর জেল থেকে বের আবার শুরু করেছে ইয়াবা ব্যবসা। গড়ে তুলেছে একাধিক সিন্ডিকেট।লেদা পূর্ব পাড়ার মৃত লাল মিয়ার ছেলে ইয়াবা ডন জাফর আলমের ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আলম ইয়াবার টাকায় গ্রামে করেছে অত্যাধুনিক বাড়ি। ইয়াবা পাচারের জন্য রয়েছে একাধিক মোটরসাইকেল। লেদা টাওয়ার সংলগ্ন দুইটি মোবাইলের দোকান। কিনেছেন ২০ একর জমি। প্রশাসনের নজর এড়াতে সেই জমিতে পিতার নামে স্টেডিয়াম করেছেন তিনি। আত্মসমর্পণকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ীর মধ্যে অন্যতম তিনি। বিজিবির কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার মামলাসহ রয়েছে একাধিক মাদক মামলা।ইয়াবা ডন জাফর ও জাহাঙ্গীর আলমের ভাই রবিউল আলম মাদকের টাকায় তিনিও করছেন আলীশান বাড়ি। তারও রয়েছে একাধিক ইয়াবা বহনকারী মোটরসাইকেল ও দুইটি ট্রাক। কিনেছেন ৫ একর লবণের মাঠ। তারও রয়েছে মাদকের একাধিক মামলা।

পশ্চিম লেদা অলি আহমদের ছেলে বশির আহমদের রয়েছে বিলাসবহুল বাড়ি। মাদকের টাকায় নিজ নামে ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের নামে কিনেছেন প্রচুর জমি। রয়েছে লবণ বহনের জন্য ১০টি ট্রাক। যা মাদক পাচারের জন্য ব্যবহার করে থাকে। একাধিকবার মাদকসহ আটক হয়েছিলো তার ট্রাক। তার বিরুদ্ধেও রয়েছে একাধিক মাদকের মামলা।

পশ্চিম লেদার মোস্তাক আহমদের ছেলে মো. শরীফ প্রদীপের বিশেষ অভিযানের সময় পালিয়ে যান সৌদি আরব। মাদকের টাকায় সেখানে কিনেছেন সুপারশপ। ওসি প্রদীপ আটকের পর দেশে ফিরে এসে আবার শুরু করেছে ইয়াবা ব্যবসা।  মাদকের টাকায় করছেন অত্যাধুনিক তিন তলা বাড়ি। কক্সবাজার সরকারী কলেজের সামনে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন বাড়ি। কক্সবাজার সাবমেরিন ক্যাবল স্টেশনের পাশে করেছেন তিনতলা ভবন। কিনেছেন একাধিক গাড়ি। 
শরীফের বড় ভাই মো. আলী মাদকের টাকায় হ্নীলা ষ্টেশনে ২০১৭ সালে দেড় কোটি টাকায় জমি কিনে করেছে বাড়িসহ মার্কেট। কক্সবাজারে করেছে সেকেন্ড হোম। টেকনাফে মাদক ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ধড়-পাকড়ের সময় পাড়ি জমিয়েছিলেন দুবাই। প্রদীপ আটকের পর দেশে ফিরে আবার শুরু করেন পুরনো ব্যবসা। ইয়াবা ডন শরীফ ও মো. আলীর পিতা মোস্তাক আহমদ বুড়ো বয়সেও চালিয়ে যাচ্ছেন ইয়াবা ব্যবসা। সেই টাকায় করেছেন দ্বিতলা ভবন। লেদায় রয়েছে দ্বিতলা মার্কেটে ২৪টি দোকান। কিছুদিন আগেও ইয়াবার মামলায় জেল থেকে বের হয়েছেন তিনি।

ইয়াবা ডন আবু তাহেরের ছোট ভাই মো. হাসান মাদকের টাকায় এলাকায় ও শ^শুর বাড়িতে করেছে দুইটি বাড়ি। কক্সবাজার তারাবনিয়ার ছড়ায় করেছে তিন তলা বাড়ি। ওসি প্রদীপ থাকাকালীন পালিয়ে যায় দুবাই। প্রদীপ আটকের পর দেশে ফিরে আবার গড়ে তুলেছেন মাদকের সম্রাজ্য।ইয়াবা সম্রাজ্যের ডন আবু তাহের ও মো. হাসানের ভাই আবু বক্কর লেদা বন বিটের সামনে মাদকের টাকায় করেছেন তিনতলা বাড়ি। কিছুদিন আগে কক্সবাজার ভাইয়ের বাসা থেকে ৬০ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেফতার হন তিনি। সেই মামলায় জেল খেটে বের হয়ে আবার মাদকের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তাকে গত ১ মার্চ ২০ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে র‌্যাব। এর আগে গত বছর ৬০ হাজার ইয়াবাসহ তারাবনিয়ারছড়া নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার হন তিনি।

পূর্ব লেদার মৃত কামাল হোসাইনের ছেলে মো. ইসমাইল ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযানের সময় পালিয়ে যান দুবাই। মাদকের টাকায় সেখানে গড়ে তুলেছেন একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। কক্সবাজার তারাবনিয়ার ছড়ায় করেছেন বাড়ি। শহরের বাজারঘাটায় রয়েছে ইলেকট্রনিক দোকান। বর্তমানে তার ব্যবসা ও বাড়িঘর দেখাশোনা করে তার শ্যালক।লেদা মৌলভী পাড়ার কাদির হোসেনের ছেলে জহুর আলম। তার বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও হত্যাসহ রয়েছে একাধিক মামলা। বন বিভাগের জমি দখল করে নির্মাণ করেছে বাড়ি। আত্মসমর্পণের পর জেল থেকে বের হয়ে ইয়াবা ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বে খুন করেন তার সহকর্মীকে। বর্তমানে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

পশ্চিম লেদার হাজী নুর আলীর ছেলে মো. হোছন ছিলেন কৃষক। কয়েকবছর আগেও ছিলো না কিছুই। বর্তমানে মাদক ব্যবসায় করেছেন নিজস্ব বাড়ি। লেদা বিজিবি ক্যাম্পের পাশে বাড়ি নির্মাণ করে এনজিওকে ভাড়া দেন তিনি। এছাড়াও হাশেম মেম্বারের ব্রিকফিল্ডে রয়েছে শেয়ার। সরকারী বনভূমি নিজ দখলে রাখার জন্য খেলার স্টেডিয়ামও বানান তিনি।

পশ্চিম লেদার মীর কাসেমের ছেলর জাহাঙ্গীর সওদাগর মুদির দোকানের আড়ালে ইয়াবা ব্যবসায় কোটি কোটি টাকা জমিয়েছেন তিনি। করেছেন আধুনিক দুইটি বাড়ি। একটি বাড়ি এনজিওকে ভাড়া দিয়েছেন অন্যটিতে নিজেরা থাকেন। আরেকটি জমি কিনে করেছেন তিনতলা মার্কেট। মাদকের টাকায় বিভিন্ন নেতা কর্মীর সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে তাদের ছত্রছায়ায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। 
ইয়াবা ডন জাফর ও জাহাঙ্গীরের ভাই মো. আলম ইয়াবার টাকায় দুবাই জমিয়েছেন একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বছরে তিন চার মাস দুবাই থাকেন তিনি। গ্রামে রয়েছে আকর্ষণীয় বাড়ি। চট্টগ্রাম শহরে করেছেন নিজস্ব বাড়ি। চোখে পড়ার মত কোন ব্যবসা না থাকলেও গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। সম্প্রতি মেম্বার পদপ্রার্থী হওয়ার জন্য নিজ ওয়ার্ডে নিয়মিত দানও করেন তিনি।

লেদা লামার পাড়ার আবুল কাসেমের ছেলে মুজিব মিয়া মাদকের টাকায় নিজ এলাকায় ক্রয় করেছেন জমিসহ নির্মাণাধীন বাড়ি। মাদক পাচারের জন্য রয়েছে একাধিক মোটরসাইকেল। প্রশাসনের নজর এড়াতে আত্মগোপনে থাকেন সবসময়।আবারো সক্রিয় এসব ইয়াবা ব্যবসায়ী সম্পর্কে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে জানতে চাইলে তাদের মাদকের ব্যবসার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কিছু নাম বাদ পড়েছে। ইয়াবা ব্যবসায়ীদের নামের তালিকা না করে বরং ইয়াবা ব্যবসায়ী নাই এমন তালিকা করে প্রকাশ করেন। কারন এত পরিমাণ ইয়াবা ব্যবসায়ী এলাকায় আছে তালিকা করে শেষ করতে পারবেন না। কোন বৈধ ব্যবসা-বাণিজ্য ছাড়া কিভাবে বহুতল ভবন মার্কেট নির্মাণ করে তা সত্যি অকল্পনীয়। তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।এ বিষয়ে জানতে টেকনাফ থানার ওসি ও কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপারের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে টেকনাফ বিজিবির লে. কর্ণেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার জানান, এদের ব্যাপারে আমাদের জানা ছিল না, এখন যেহেতু জেনেছি তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
আত্মসমর্পণকারী ইয়াবা ব্যবসায়ীরা আবারো তাদের সিন্ডিকেট নিয়ে কিভাবে সক্রিয় হয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছে জানতে চাইলে কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল খাইরুল আলম বলেন, আমাদের টিম তালিকা অনুসারে কাজ করতেছে। আমরা অনেক যাচাই করে কাজ করি আপনাদের তালিকার সাথে মিলে যায় তাহলে তদন্ত করে আমরা অভিযান পরিচালনা করব।

 

এমএসএম / জামান

কোন লুটেরা, চাঁদাবাজ ও বল প্রয়োগকারীকে ভোট দেবেন না; গণসংযোগে রাশেদ খান

খানসামা টিটিসিতে ধর্মীয় বৈষম্য–নির্যাতনের অভিযোগ: জেলা প্রশাসকের দৃষ্টিতে তদন্ত আবেদন

কেরুজ ভোটের দাবীতে আন্দোলনের শুরুর দিনেই দুপক্ষের মারামারি

নওগাঁয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ধলু’র উদ্যোগে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল

কালিগঞ্জ থেকে ভেটখালী পর্যন্ত রাস্তা ৩৪ ফুট প্রশস্ত করার দাবিতে মানববন্ধন

নৈয়াইর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় নিয়োগ অনিয়মের অভিযোগ প্রত্যাহার

রামগঞ্জে যুবদল কর্মীর ছুরিকাঘাতে বিএনপি কর্মী খুন

ঠাকুরগাঁওয়ের ফকিরপাড়া থেকে মটরসাইকেল চুরি : মামলা

কলাবাড়িয়া ইউনিয়নে দিনব্যাপী গণসংযোগে সরব জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা ওবায়দুল্লাহ কায়সার

কর্ণফুলী'তে হত্যা'সহ একাধিক মামলার এজাহার ভূক্ত আসামি সাজু হাসান গ্রেপ্তার

শীতের আগমনে লেপ তোষকের ব্যস্ততা; পলাশবাড়ীতে জমে উঠেছে ধুনকরদের শীতের বাজার

কাপ্তাই ১০ আর ই ব্যাটালিয়ন কর্তৃক বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান

আত্রাইয়ে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে সেনা সদস্য নিহত