চিকিৎসা সেবায় এখনো পিছিয়ে চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের কিছু সেক্টরে উন্নতির দেখা মিললেও চিকিৎসা সেবায় এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছে চট্টগ্রাম। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এই অবস্থার উন্নতির জন্য চট্টগ্রামে আরো আধুনিক হাসপাতালের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বিশিষ্টজনেরা বলেছেন চট্টগ্রামবাসীর একমাত্র শেষ ভরসাস্থল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও জেনারেল হাসপাতাল। প্রয়োজনের তুলনায় সরকারি হাসপাতলের অভাব হওয়ায় নগরীকে চারটা জোনে ভাগ করে আরও তিনটি সরকারি হাসপাতাল করার জোড় দাবী জানান। একই সাথে চিকিৎসায় হয়রানি বন্ধে ও দেশের অর্থ দেশে রাখতে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার প্রবণতা বন্ধ করতে চট্টগ্রামে উন্নতমানের বিশেষায়িত আধুনিক হাসপাতাল জরুরী বলে মনে করছেন তারা।
বিশিষ্টজনেরা বলছেন একদিকে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের সংকট অন্যদিকে রোগের পরীক্ষা নিরীক্ষায় নেই ভালো কোন ল্যাব। নেই কোন উন্নত চিকিৎসার আধুনিক যন্ত্রপাতি। তাছাড়া ডাক্তারদেরও ব্যবসায়ীক মনমানসিকতার কারণে দেশের চিকিৎসা সেবায় নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে। যার ফলে দেশ ছেড়ে উন্নত চিকিৎসা সেবা পেতে বিদেশ পাড়ি জমাচ্ছে রোগীরা। চট্টগ্রামের চিকিৎসা সেবার উন্নয়ন ঘটাতে হলে নগরকে চারটি জোনে ভাগ করে আরো তিনটি সরকারি মেডিকেল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এছাড়া প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সরকারিভাবে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করলে জনগণ পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা পাবেন বলেও বিজ্ঞজনরা মতামত প্রকাশ করেছেন।বর্তমানে চট্টগ্রাম বিভাগে ৬টি সরকারি মেডিকল ও সিটি করপোরেশন নিয়ন্ত্রিতসহ বেসরকারিভাবে তিন শতকের মত চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।
চট্টগ্রামে প্রায় আড়াই কোটি লোকের চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ২৫০ সয্যার চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল। এ দুই হাসপাতালে রোগীর উপস্থিতি সিটের প্রায় চারগুণ রোগী প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসে যা চোখে পড়ার মতো।
অভাব বাড়ছে এমবিবিএস-বিডিএস ডিগ্রিধারীরাদের কর্মস্থল :
দেশে হাসপাতালের অভাবে স্নাতক-স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীদের মতোই এমবিবিএস-বিডিএস ডিগ্রিধারীরাদের অনেককেও বেকার থাকতে হচ্ছে। এর ফলে চিকিৎসকরা হয়ে ওঠছেন ব্যবসায়ী যার দরুণ কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সেবা প্রার্থীরা। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) এক গবেষণা প্রতিবেদন এমন তথ্যই জানাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, দেশে চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত চিকিৎসক তৈরি হচ্ছে। আর এই অতিরিক্ত চিকিৎসকই এক সময় স্বাস্থ্য খাতের বোঝায় পরিণত হবে। এমবিবিএস ও বিডিএস পাস করেও নিজ পেশায় কাজ মিলবে না। জীবিকার প্রয়োজনে তাদের অন্য পেশায় কাজ করতে হবে।
এ পরিস্থিতির জন্য চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা সরকারের পরিকল্পনার অভাব ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোকে দায়ী করেছেন। তাদের ভাষ্য- চিকিৎসকের সংখ্যা বৃদ্ধি এক সময় সুখবর মনে হলেও ভবিষ্যতে তা সংকটের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। যে পরিমাণ চিকিৎসক প্রতিবছর স্বাস্থ্য খাতে যুক্ত হচ্ছেন, সে তুলনায় কর্মক্ষেত্রের পরিধি বাড়ছে না। যে স্বল্পসংখ্যক চিকিৎসক সরকারি চাকরি থেকে অবসরে যাচ্ছেন, তারাও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। এতে নতুন চিকিৎসকদের কর্মক্ষেত্রে সুযোগ পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
বিআইডিএসের গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৬ সালেই দেশে চাহিদার তুলনায় ১১ হাজার ৫২৯ জন চিকিৎসক উদ্বৃত্ত ছিলেন। ওই বছর দেশে ১৬ কোটি মানুষের বিপরীতে চিকিৎসকের চাহিদা ছিল ৬৩ হাজার ৩৯৫ জন। জোগান ছিল ৭৪ হাজার ৯২৪।
২০২১ সালে ৬৭ হাজার ২৬৫ চিকিৎসকের চাহিদার বিপরীতে চিকিৎসক ছিল ১ লাখ ২০ হাজার ৬৬৭ জন। এ হিসাবে ২০২১ সালেই চিকিৎসকের উদ্বৃত্ত সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৩ হাজার ৪০২ জন। ২০২৬ সালে ৭১ হাজার ৩৭০ জনের চাহিদার বিপরীতে চিকিৎসকের সংখ্যা দাঁড়াবে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৩৩৫। উদ্বৃত্ত চিকিৎসকের সংখ্যা দাঁড়াবে ১ লাখ ২২ হাজার ৯৬৫ জনে।
উন্নত চিকিৎসা পেতে দেশ ছেড়ে বাইরে কেন যাচ্ছে অধিকাংশ রোগী :
দ্য অ্যাপারেল নিউজের ২০১৮ সালের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবছর ৭ লাখ বাংলাদেশি চিকিৎসার জন্য বিদেশে গমন করে এবং এতে ব্যয় হয় ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর অধিকাংশই ভারতে গমন করে। এ ছাড়া অনেকে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় গমন করে। একটি ক্ষুদ্রাংশ ইউরোপ ও আমেরিকায় গমন করে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় চিকিৎসকদের ওপর আস্থার অভাব ও রোগ নির্ধারণে ব্যর্থতা এর অন্যতম কারণ।
বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের স্বাস্থ্য খাতে গড় বরাদ্দ ছিল জিডিপির প্রায় ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। বাংলাদেশের বরাদ্দ ছিল জিডিপির ২ দশমিক ৩৪ শতাংশ, যা গড় ব্যয়ের নিচে এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের মধ্যে সর্বনিম্ন। একই বছর মালদ্বীপ, আফগানিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভারত, ভুটান, পাকিস্তানে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ছিল যথাক্রমে জিডিপির ৯ দশমিক ৪১, ৯ দশমিক ৪, ৫ দশমিক ৮৪, ৩ দশমিক ৭৬, ৩ দশমিক ৫৪, ৩ দশমিক শূন্য ৬ ও ৩ দশমিক ২ শতাংশ।
চিকিৎসার সেবা প্রাপ্তির অপ্রতুলতা , পর্যাপ্ত সরকারি-বেসরকারি আধুনিক হাসপাতালের অভাবেই কি এমনটি হচ্ছে ? উন্নত চিকিৎসা সেবা নিতে বিদেশ পাড়ি জমানোর বিষয় নিয়ে বিজ্ঞজনরা কে কি বলছেন :
একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও গবেষক প্রফেসর ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া : সাবেক চেয়ারম্যান,পদার্থবিদ্যা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
চট্টগ্রামের জনবসতির চাহিদার তুলনায় সরকারি মেডিকেলের সংখ্যা কম। যতটুকু আছে তাতেও স্বাস্থ্য সেবা দিতে অভিজ্ঞ ডাক্তারসহ সেবায় নিয়োজিত লোকবল কম। তাছাড়া রোগীর সংখ্যার চেয়ে মেডিকেলে রোগীর আসনের সংখ্যাও কম। যার ফলে অতিরিক্ত রোগীদের ফ্লোরে শুয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এদিকে সরকারি ডাক্তাররা প্রাইভেট চিকিৎসা দেওয়ার মনমানসিকতা মাথায় রেখে হাসপাতালে রোগীদের তেমন সহযোগিতা করছেন না। তিনি আরও বলেন, চিকিৎসা সচেনতায় প্রত্যেক স্কুল কলেজে চিকিৎসা সম্পর্কে সরকারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য সচেতন সম্পর্কে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা দরকার।
দেশে উন্নত চিকিৎসার অভাব সম্পর্কে ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া বলেন, আমাদের দেশে সঠিক রোগ নির্ণয়ের জন্য ভালো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অভাব আছে। রোগ নির্ণয়ে ভালো ডায়াগনস্টিকের সাথে প্রয়োজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনবল। ভুল রিপোর্টের কারণে ডাক্তাররা সঠিক চিকিৎসা দিতে পারছেন না, আর এ ভুলের খেশারত দিতে হয় রোগীদের। ফলে নিরুপায় হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাড়ি জমায় রোগীরা। এতে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারায় সরকার। মোটা পয়সা ওয়ালারা টাকার বিনিময়ে দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে পারলেও গরীব মধ্যবিত্তসহ চট্টগ্রামের এই বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল সরকারি মেডিকেল। তাই চট্টগ্রামে আরও সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপন জরুরী বলে মনে করেন তিনি।
প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক ভিসি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
সরকারি ভাবে চিকিৎসা সেবা অপ্রতুল। সরকারি অধিকাংশ ডাক্তার বানিজ্যিক মন মানসিকতা নিয়ে চিকিৎসা সেবা দিতে প্রাইভেট হাসপাতাল খুলছে। বর্তমানে যে লোকবল নিয়োগ দিয়েছে বাস্তবপক্ষে এটা এখন অকার্যকর। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে না করে অন্যত্রে করলে মেডিকেলের জায়গার সংকুলন কমতো। এখন একসাথে কলেজ এবং মেডিকেল হওয়াতে পর্যাপ্ত জায়গার অভাব দেখা যাচ্ছে। কলেজ অন্যত্রে সরিয়ে যখন ডাক্তারদের ইন্টার্নি হবে তখন মেডিকেলে এসে প্রেকটিস করতে পারতো। চট্টগ্রাম নগরীকে চারটা জোনে ভাগ করে প্রতি জোনে একটি করে সরকারি মেডিকেল স্থাপন করলে বর্তমান মেডিকেলে রোগীর চাপ কমতো। এজন্য চট্টগ্রামে আরো তিনটা সরকারি মেডিকেলের প্রয়োজন রয়েছে। সরকার যদি এক্ষণি করতে না চায় বা না পারে সেক্ষেত্রে প্রাইভেট হাসপাতাল করার অনুমতি দিতে পারে।
এছাড়া চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠিত যেসব মেডিকেল আছে তাদের শর্ত দিতে পারে যে ২০ শতাংশ রোগীর চিকিৎসা সরকারি মেডিকেলের ন্যায় দিতে হবে। এজন্য এসব বেসরকারি মেডিকেলগুলোতে আলাদাভাবে কেয়ার সেন্টার করার পরামর্শ দেন তিনি। তিনি আরও বলেন, যারা দেশের বাইরে বিশেষ করে সিঙ্গাপুর ভারত মালয়েশিয়ার মতো উন্নত দেশগুলোতে যাচ্ছে তারা সবাই ধনী লোক। কিন্তু তাদের টাকার উৎস সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট করতে হবে। সরকারের কাছে এসবের জবাবদিহিতা নাই বিধায় প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন দেশের সকল জনগণের জন্য স্বাস্থ্য ইন্সুইরেন্স অবশ্যই দরকার। এতে গরীব জনগন সরকারি সুযোগ সুবিধা চিকিৎসা সেবা পাবে। তিনি বলেন, প্রত্যেক ডাক্তারের ফি কত তা নির্ধারণ করতে হবে। যাতে কোন গরীব অসহায় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়।
ডাঃ আলহাজ্ব মো. জামাল আহমেদ :
ডাক্তার আলহাজ্ব মো. জামাল আহমেদ বলেন, দেশে সুনির্দিষ্ট চিকিৎসার অভাব রয়েছে। রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ডাক্তারদের উদাসীনতা, রয়েছে কর্মাশিয়াল মনোভাব। সরকারি মেডিকেলগুলোতে রোগীর তুলনায় পর্যাপ্ত সিটের অভাব, নার্স’র অভাব। এছাড়া ডাক্তার ভিজিট নিয়েও রয়েছে বৈষম্যতা। পাঁচশ থেকে শুরু করে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত ভিজিট নিয়ে থাকেন ডাক্তাররা। এতে ক্ষান্ত নয় ডাক্তারগণ, রোগ নির্ণয়ের রিপোর্ট দেখাতে গেলেও রোগীকে গুনতে হয় ডাক্তার ভিজিটের টাকা। তার ওপর রয়েছে রোগ নির্ণয়ের অতিরিক্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা ও কমিশন বাণিজ্য। অসহায় দরিদ্র একটা রোগীর পক্ষে এই খরচগুলো মেটাতে হিমশিম খেতে হয়। এছাড়াও একমাস আগে ডাক্তার দেখার সিরিয়ালতো আছেই। এসব স্বস্থ্য সেবার অনিয়ম সরকারকে উত্তোরন করতে হবে। পর্যাপ্ত মেডিকেলে জনগণকে সুবিধা দিতে চট্টগ্রামে আরও আধুনিক মেডিকেল কলেজের পাশাপাশি হোমিওপ্যথীক হাসপাতাল স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মনে করেন ডাক্তার জামাল আহমেদ।
এমএসএম / এমএসএম
থামছেই না ছড়াও, দখল করে ভবন নির্মাণ কাজ
বাঁশখালীতে রিক্সা চালক শ্রমিক কল্যাণ ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটির বার্ষিক সাধারণ সভা
নোয়াখালীতে যৌন-প্রজনন স্বাস্থ্য ও লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ সভা
চাঁপাইনবাবগঞ্জ -২ এ,ধানের শীষের কান্ডারী ইঞ্জি: মাসুদ'কে চায় সাধারণ মানুষ ও বিএনপি'র নেতাকর্মীরা
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে শ্রমিক দলের আহ্বায়ক জুয়েলের বিরুদ্ধে কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ
কাউনিয়ায় মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টায় পিতা পুলিশের হাতে
বাঁশখালীতে জমি বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত, গ্রেপ্তার-৩
নন্দীগ্রামে সিএনজি চালককে অপহরণ ও মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ
সুবর্ণচরে আশার আলো সমাজ কল্যাণ সংগঠনের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি
সহকারী এটর্নি জেনারেল হলেন পেকুয়ার কেএম সাইফুল ইসলাম
৭ই নভেম্বর উদযাপন ও খন্দকার নাসিরের মনোনয়ন এর দাবিতে মধুখালী বিএনপির জরুরী সভা
ভোলা-১ আসনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করবে বিজেপি, নির্বাচনি প্রচার ও র্যালী অনুষ্ঠিত