নোবিপ্রবি আঙিনায় শিক্ষার্থীদের ভিন্ন আয়োজনে রমজান পালন

১০১ একরের স্বপ্নভূমি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৭ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। তাদের মধ্যে অধিকাংশ শিক্ষার্থী এসেছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে। অধিকাংশ শিক্ষার্থীকেই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সময়টা পরিবার-পরিজন ছাড়াই অতিবাহিত করতে হয়। আর এভাবেই সময়ের আবর্তে নানা অভিজ্ঞতার সঞ্চার ঘটে তাদের মধ্যে। তেমনি একটি অভিজ্ঞতা হলো মাহে রমজানের দিনগুলোয় ক্যাম্পাসে রোজা রাখা, ইফতার করা। এর মাধ্যমে সবার সাথে সুন্দর মধুর সম্পর্ক তৈরি হয়।
আত্মশুদ্ধির এই পবিত্র মাসে ইফতার নিয়ে ভিন্ন এক চিত্র খুঁজে পাওয়া যায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে। গ্রীষ্মের খরতাপে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা বিকেল হলেই সবুজ আচ্ছাদিত এই স্থলে ভিড় জমান। এক সময়ে হয়তো হাসি-ঠাট্টা. আড্ডা-গানে ও খেলাধুলায় সময় কাটত কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে। কিন্তু বর্তমান সময়ের পালাক্রমে এখন শিক্ষার্থীরা মাঠে ঠিকই ভিড় জমান, তবে সেটা আড্ডা, গানের কিংবা খেলাধুলার জন্য নয়, ইবাদতের লক্ষ্যে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিক মধ্যখানে মুখর বিশাল সবুজ কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ। মাঠে গোল হয়ে বসে আছেন তরুণ- তরুণীরা । ছোট ছোট দলে ভরে গেছে পুরো মাঠ। বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক নানা সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পাশাপাশি একসঙ্গে বন্ধুরা, বিভাগের সিনিয়র-জুনিয়র মিলেও নিয়মিত আয়োজন করেছে ছোট পরিসরে ইফতার মাহফিল, যেখানে অংশ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান থেকে সাবেক সব শিক্ষার্থী। সবার সমাগমে এক বিশাল মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে খেলার মাঠ।
আসরের নামাজ শেষ হওয়ার পর হরেক রকমের ইফতারসামগ্রী নিয়ে শিক্ষার্থীরা ছুটে আসেন কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে। অধিকাংশের ইফতার মেন্যুতে থাকে খিচুড়ি, তেহারি, বিরিয়ানি, ছোলা, মুড়ি, পাকোড়া, পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, খেজুর, জিলাপি এবং বাহারি শরবত। এর পাশাপাশি থাকে হরেক রকমের ফল। এখানে ইফতার করতে আসা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ব্যাচের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী।
আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে সারাদিন উপোস থেকে সবাই যেন এক মহা অন্তিম মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করছেন। মাঠজুড়ে তাই এক ক্লান্তির ছায়া ও নিরবতা বিরাজ করছে। সবাই অধীর আগ্রহে কর্ণপাত করে আছেন মুয়াজ্জিনের কণ্ঠে উচ্চারিত সেই ধ্বনি শোনার জন্য।
অবশেষে মসজিদের মিনার থেকে উচ্চারিত হচ্ছে আযানের ধ্বনি। আযানের ধ্বনি কানে বাজতেই সবাই একযোগে সারাদিনের রোজার ইতি টেনে শরবত ও খেজুর দিয়ে শুরু করেছেন ইফতার।
শুধু খেলার মাঠ নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, অফিসরুম, অডিটোরিয়ামে জমে উঠে ইফতার আয়োজনে। বিগত ২ বছরে মাহে রমজান মাসে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বন্ধ থাকলেও এবছর করোনাকালীন ক্ষতি পোষাতে শিক্ষাকার্যক্রম চালু রয়েছে। এজন্য শিক্ষার্থীরাও ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন। রমজান মাসের প্রথম রোজায় দিনভর সিয়াম সাধনা শেষে শিক্ষার্থীরা একসাথে ইফতারের লক্ষ্যে।
এসময় ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী কাউসার আহমেদ হিমেল উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘ ২ বছর করোনাকালীন পরিস্থিতির কারণে প্রথমবারের মতো আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বন্ধু বান্ধবরা মিলে একসাথে ইফতার করলাম। সবমিলিয়ে বেশ এক নতুন ধরনের অভিজ্ঞতার সাক্ষী হলাম।
অনার্স ২য় বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী সানজিদা আক্তার বলেন, প্রতিবার বাড়িতে ইফতার করি। এবছর বিশ্ববিদ্যালয় চালু থাকায় বাড়িতে যেতে পারিনি। রোজা রেখে ক্লাস করছি। কষ্ট হলেও রোজা রেখেছি। বন্ধুদের নিয়ে একসাথে ইফতার করতে পেরে বেশ ভালো লাগছে। পাশাপাশি বিভাগের সিনিয়র- জুনিয়র ব্যাচের ইফতারের আয়োজনও করেছি।এভাবে আমাদের সবার সাথে এক সুন্দর মধুর সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
এমএসএম / জামান

কুতুবদিয়ায় আল্লামা দেলোয়ার হোছাইন সাঈদী (রহঃ) স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

অখণ্ড বিজয়নগর রক্ষার দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ

সংবাদ প্রকাশের জেরে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে সাংবাদিককে হুমকি

ভূরুঙ্গামারীতে বসতভিটা দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন

রায়গঞ্জে ৬ লাখ টাকাসহ বিকাশ কর্মী নিখোঁজ: বাগান থেকে মটর সাইকেল উদ্ধার

সাংবাদিক জগতের নক্ষত্র ছিলেন প্রয়াত সাংবাদিক সাঈদুর রহমান রিমনঃ সিআরএ

কাপ্তাইয়ে ১৪ হাজার ৭শত ৪২ জন শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে

কসবায় বিদেশি মদসহ নারী আটক

লালমাইতে বিয়ে করতে এসে ১৫ লক্ষ টাকা জরিমানা দিলো বর

কুতুবদিয়ায় এনসিপি নেতা হেলালিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা

লায়ন নুর ইসলামের নির্বাচনী এলাকা নড়াইল ২ এ ভি,পি নূরকে ফুলের শুভেচ্ছা

বোদায় যৌথবাহিনীর অভিযানে জরিমানা ও হাসপাতাল সিলগালা
