মির্জাগঞ্জ মাজারের ইয়াতিমখানার চাল বিক্রি করে অর্থ লুটের অভিযোগ
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের মরহুম হযরত ইয়ার উদ্দিন খলিফা ছাহেব (রহঃ) মাজার ওয়াকফ এস্টেটের পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি মৱ মন্নান হাওলাদার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ইয়াতিমখানা ও লিল্লাহ্ বোর্ডিংয়ের ৭ টন চাল গোপনে বিক্রি করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২২ জুন) বিকেলে এস্টেটের নিয়মিত দ্রব্যসামগ্রী ক্রেতা ও স্থানীয় ঠিকাদার মো. আল-আমিন মির্জাগঞ্জ মরহুম হযরত ইয়ার উদ্দিন খলিফা ছাহেব (রহঃ) মাজার ওয়াকফ এস্টেটের সভাপতি ও নির্বাহী অফিসারের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, ৭ টন চাল খোলা মাঠে বিক্রি করার জন্য গত ১৯ জুন মাইকিং করান এস্টেটের সহ-সভাপতি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা। খবর পেয়ে স্থানীয় ঠিকাদাররা চাল ক্রয়ের জন্য কেজিপ্রতি ৩০.৫০ টাকা দর দাখিল করেন। আরো বেশি দরে বিক্রি করতে পারবে বলে আবার খোলা মাঠে ডাক দেয়া হবে বলে তারা জানান। ঠিকাদাররা চাল ক্রয় করলে ব্যাংকের জমা রশিদ এস্টেটে জমা হয় তাই কোনো রকম ডাক না দিয়ে পরিমাণে কম দেখিয়ে গত ২১ জুন গোপনে ওই চাল বিক্রি করে অতিরিক্ত অর্থ ভাগাভাগি করে নেো হয়।
এ বিষয়ে ইয়ার উদ্দিন খলিফা ছাহেব (রহঃ) মাজার ওয়াকফ এস্টেটের পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি অভিযুক্ত মো. মন্নান হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি স্থানে নেই। চাল বিক্রি হয়েছে কি-না জানি না।
এ বিষয়ে ইয়ার উদ্দিন খলিফা ছাহেব (রহঃ) মাজার ওয়াকফ এস্টেটের প্রশাসনিক কর্মকর্তা অভিযুক্ত মো. হাবিবুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
মির্জাগঞ্জ ইয়ার উদ্দিন খলিফা ছাহেব (রহঃ) মাজার ওয়াকফ এস্টেটের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসা. তানিয়া ফেরদৌস বলেন, কতটুকু যুক্তি সঙ্গত তা দেখে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএসএম / জামান