কয়রায় খানাখন্দে ভরা রাস্তায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল, ভোগান্তি চরমে
দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় খুলনা কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের কাটকাটা থেকে দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ে যাওয়ার একমাত্র রাস্তার পাকা রাস্তার (ইটের সোলিং) বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে ।এতে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন উত্তর বেদকাশি আংশিক ও দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়েন মম মানুষ। রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষের ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে শত শত পথচারীদের। রাস্তার মাঝে বড় বড় গর্ত হয়ে পুকুরের মত দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া পুরো রাস্তায় ছোট বড় হাজারও গর্ত হয়েছে। এ রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে দিন দিন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এতে জনসাধারণের দুর্ভোগ চরমে পৌছেছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, দক্ষিণ বেদকাশি যাওয়ার ও উপজেলা সদরে আসার একমাত্র রাস্তা ইটের সলিং রাস্তা এটি। উঠে গিয়ে ছোট-বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে।রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি তো একেবারেই চলার অনুউপযোগী(চলে না) একমাত্র চলাচলের মাধ্যম মোটরসাইকেল তাও চালক ও আরোহীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।একের পর এক ঘটছে দুরঘটনা। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাগুলো চলাচলে একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, গোলখালী টু কাটকাটা ইট সোলিং রাস্তা দিয়ে দৈনিক শত শত বাইক, মোটর ভ্যান,নসিমন ঝুকি নিয়ে চলাচল করে থাকে। উক্ত রাস্তার প্রতিটা ইট মাথা উঁচু আছে। কোথাও কোথাও খানাখন্দ হয়ে আছে। এহেন অবস্থায় অফিসিয়াল কাজে কয়রা যাওয়া রীতিমত বিপদজনক। তাছাড়া দঃ বেদকাশী সহ উঃ বেদকাশীর কিছু অংশের ঘেরের, ফুলতলা কাটার বাগদা ও সাদা মাছ কয়রায় কাটায় নিয়ে যাওয়া ঝুকিপূর্ণ। কয়রা থেকে মালামাল জোড়শিং বাজার, ফুলতলা বাজার,ঘড়িলাল বাজারে আনানেওয়ার একমাত্র রাস্তা। এ রাস্তার দূর্দশা দেখলে যেকেউ হতবাক হতে বাধ্য। শুধু মহিলা লেবার দিয়ে সংস্কার যথাযথ নয়। তাই চলার উপযোগী করে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
দক্ষিণ বেদকাশী বাড়ি মটরসাইকেল চালক মইদুল।মটরসাইকেল চালিয়েই চলে তার সংসার। তিনি দুঃখ ও আক্ষেপ করে বলেন একদিন গাড়ি না চালালে সংসার চলে না বাধ্য হয়ে, ভাঙ্গা চোরা রাস্তায় গাড়ি চালাই। দুই দিন অন্তর গাড়ি খারাপ হয়। উপায় নেই গাড়ি না চালালে খাবো কি তাই বাধ্য হয়ে সিমাহীন ভোগান্তি হলেও কষ্ট করে গাড়ি চালায়।যদি রাস্তাটা ঠিক করা হয় তাহলে আমরা একটু শান্তি গাড়ি চালিয়ে খেয়ে পরে বাঁচতে পারবো।
স্থানীয় বাসিন্দা প্রিতীশ কুমার বলেন, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে। রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে সাধারণ মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির সংস্কার না করায় পুরো রাস্তা নষ্ট হয়ে গেছে।তিনি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান।
এ বিষয়ে দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল বলেন, ‘ভোগান্তির কথাটি আমরা জানি।আমি স্থানীয় এমপি মহাদয় ও সংশ্লিষ্ট সকলকে জানিয়েছি। এমপি মহাদয় কথা দিয়েছেন জনগণের ভোগান্তি লাঘবে দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তার সংস্কার ব্যবস্থা করবেন।ইতি মধ্যে ১৪ কোটি টাকা একটি অনুমোদন প্রক্রিয়াহীন আছে। তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে ইউনিয়ন পরিষদে কোনো বরাদ্দ না থাকায় রাস্তাটি ঠিক করতে পারছি না। তবে আমাদের মাথায় আছে এবারের নতুন বাজেটে কিছু একটা করার চেষ্টা করব।
কয়রা উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী আফজাল হোসেন বলেন, রাস্তার একপাশে নদী ও অন্য পাশে মাছ চাষ করার কারণে রাস্তাটি ভেঙ্গে যাচ্ছে। রাস্তার পাঁশে ঘেরের যদি পাড়ি থাকতো তা হলে আর রাস্তা ভাঙ্গতো না। তিনি বলেন, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলে আশা করা যায় দ্রুত কাজ শুরু হবে।
এমএসএম / জামান
ধামইরহাটে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিশুদেরকে কোরআনের ছবক প্রদান
আদমদীঘিতে নিখোঁজের ৩দিন পর ডোবার থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার
পাবনায় রেজিস্টারদের প্রাণনাশের হুমকি! সেই শাহীনসহ ৬ দলিল লেখকের সনদ বাতিল
হালদা নদী থেকে বালুভর্তি ড্রেজার জব্দ, চালককে জরিমানা
শাল্লার কুশিয়ারা নদীতে অবৈধ ড্রেজার মেশিনের তান্ডব,নদীভাঙনের মুখে শত শত ঘরবাড়ি
বগুড়ার শেরপুরে মটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই বন্ধু নিহত
গ্রাম আদালতকে আরও গতিশীল করতে চেয়ারম্যানদের নিয়ে ২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
এমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণের চেষ্টা চলবে-নেত্রকোনায় দেলাওয়ার হোসেন আজিজী
চট্টগ্রামের ৫টি আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূলে ক্ষোভ
কটিয়াদীতে পুকুরের পানিতে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু
কেশবপুরে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
কেশবপুরে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়