চট্টগ্রামের ৫টি আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূলে ক্ষোভ
চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ১০টি আসনে বিএনপির প্রাথমিক পর্যায়ে প্রার্থী ঘোষণা করার পর ৫টি আসনে মনোনয়নবঞ্চিতদের অনুসারীরা প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে ক্ষোভ ও বিক্ষোভ করেন। এর মধ্যে সীতাকুন্ডে কাজী সালাহউদ্দীন, ফটিকছড়ীতে সরওয়ার আলমগীর, বাঁশখালীতে মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা এবং মিরসরাইয়ে নুরুল আমিন চেয়ারম্যানকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হলে শুরুতে ব্যাপক বিক্ষোভ, প্রতিবাদ ও অবরোধ দেখা গেলেও এখন এসব এলাকায় কিছুটা শীতলতা ফিরে এসেছে।
কিন্তু চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা–কর্ণফুলী) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য সরওয়ার জামাল নিজামকে পরিবর্তন না করা পর্যন্ত তৃণমূল নেতাকর্মীরা বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন।
তৃণমূল নেতাকর্মীদের অভিযোগ, সরওয়ার জামাল নিজাম বিএনপির পদ-পদবি ব্যবহার করে তিনবার এমপি নির্বাচিত হলেও গত ১৭ বছরের কোনো দলীয় কর্মসূচিতে ছিলেন না। কর্মীরা জেল-জুলুম-নির্যাতনের শিকার হলেও তিনি একদিনের জন্যও খোঁজখবর নেননি। এমনকি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গ্রেফতারের প্রতিবাদেও মাঠে না থেকে বিদেশে চলে যান এবং দেশে থাকলেও আত্মগোপনে ছিলেন বলে নেতাকর্মীরা জানান।
জনবিচ্ছিন্ন সরওয়ার জামাল নিজামকে ফের মনোনয়ন দেওয়ায় এলাকায় চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। যে কোনো সময় ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় এলাকাবাসী ও নেতাকর্মীরা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে প্রার্থী পরিবর্তন করে কর্মীবান্ধব কোনো নেতাকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি দাবি জানান।
এ দাবির প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দীন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব আলী আব্বাস এবং কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক এস. এম. মামুন মিয়া ১৭ নভেম্বর চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে লিখিত আবেদন করেন। লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সরওয়ার জামাল নিজাম তিনবার নির্বাচিত এমপি হলেও ২০০৮ সালের পর থেকে বিএনপির দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। দলীয় কর্মসূচি ঘোষণা করা হলে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে বিদেশে চলে যেতেন এবং একদিনের জন্যও মাঠে ছিলেন না।
২০১৩ সালের আন্দোলন চলাকালে তিনি ১৯ জানুয়ারি থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করেন। পরে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে মনোনয়ন নিতেই দেশে ফেরেন। একইভাবে ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে দেশ ফিরে মনোনয়ন পাওয়ার পর আর এলাকায় আসেননি। নির্বাচনে কোনো এজেন্টও দেননি।
২০২৩ সালের আন্দোলন ও ‘ডামি নির্বাচন’ নিয়েও অভিযোগ রয়েছে। আবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির নয়াপল্টন সমাবেশের আগে তিনি ১৮ অক্টোবর দেশ ত্যাগ করেন এবং ফেরেন ২৩ জানুয়ারি ২০২৪। আবেদনকারীদের দাবি, “দলীয় আন্দোলনের কঠিন সময়ে দেশে ছিলেন না, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় কোনো কর্মসূচিতেও অংশ নেননি।”
এ ছাড়া আবেদনপত্রে সরওয়ার জামাল নিজামের অতীত আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টতার কথাও উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, ১৯৯১ সালের নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন।
সরওয়ার জামাল নিজামকে প্রার্থী ঘোষণা করার পর থেকে আনোয়ারা–কর্ণফুলীতে প্রতিদিন লাগাতার প্রতিবাদ সভা, মানববন্ধন, কাফনের কাপড় পরে মিছিলসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এসব কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে মো. রফিক, আবুল কাসেম, মোন্তাক আহমদ, জামাল হোসেন, জয়নাল আবেদীন, মুজিবুর রহমান, আবুল কালাম, সৈয়দ আহমদ, এরফানুর রহমান, মহিউদ্দিন, সাইফুদ্দিন দস্তগীর, শফিউল আলম ও মো. এরশাদসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, শ্রমিকদল, কৃষকদল এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে।
এমএসএম / এমএসএম
মির্জা ফখরুলকে নিয়ে কন্যার হৃদয়স্পর্শী পোস্ট
পিরোজপুর-২ আসনে বিএনপির মনোনয়নের বিরুদ্ধে তৃণমূলের তীব্র ক্ষোভে উত্তাল নেছারাবাদ উপজেলা
কুমিল্লায় মনিরুল হক চৌধুরীর সমর্থনে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ
ধামইরহাটে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিশুদেরকে কোরআনের ছবক প্রদান
আদমদীঘিতে নিখোঁজের ৩দিন পর ডোবার থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার
পাবনায় রেজিস্টারদের প্রাণনাশের হুমকি! সেই শাহীনসহ ৬ দলিল লেখকের সনদ বাতিল
হালদা নদী থেকে বালুভর্তি ড্রেজার জব্দ, চালককে জরিমানা
শাল্লার কুশিয়ারা নদীতে অবৈধ ড্রেজার মেশিনের তান্ডব,নদীভাঙনের মুখে শত শত ঘরবাড়ি
বগুড়ার শেরপুরে মটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই বন্ধু নিহত
গ্রাম আদালতকে আরও গতিশীল করতে চেয়ারম্যানদের নিয়ে ২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
এমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণের চেষ্টা চলবে-নেত্রকোনায় দেলাওয়ার হোসেন আজিজী
চট্টগ্রামের ৫টি আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূলে ক্ষোভ