ঢাকা সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫

নতুন ফায়ার স্টেশনের উদ্বোধনের প্রহর গুনছেন কয়রাবাসী


সম্রাট, কয়রা photo সম্রাট, কয়রা
প্রকাশিত: ৮-৫-২০২২ দুপুর ৪:৪৫

খুলনার কয়রায় উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সকল নির্মাণকাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। শিগগিরই এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে। উপজেলার জনগণের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সংসদ আক্তারুজ্জামান বাবু'র ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় উপজেলা সদরে থানা সংলগ্ন  এলাকায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের উদ্যোগ নেয় বর্তমান সরকার।

এই উপজেলায় এতদিন ধরে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায় অন্য উপজেলা বা জেলা শহরের সাহায্য নিতে হতো। ফলে আগুন লাগার স্থানে উদ্ধারকারী দল আসার আগেই পুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতো। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি দোকানে আগুন লেগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বর্তমানে ফায়ার স্টেশন নির্মাণের ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। উপজেলাবাসী নতুন ফায়ার স্টেশন উদ্বোধনের প্রহর গুনছেন।

নতুন ফায়ার স্টেশন হওয়ায় খুশি সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা। তারা বলছেন, আগে আগুন লাগলে নিজেরাই নির্বাপণ করতেন। ফায়ার স্টেশন অনেক দুরে হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসতে অনেকটা সময় লেগে যেত। আর এতে আগুনে প্রাণহানি ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হতো। নতুন ফায়ার স্টেশন হওয়ায় এই আশঙ্কা মন থেকে দূর হয়েছে উপজেলাবাসীর। তাদের মনে এখন একটাই ভরসা, শুধু অগ্নিকাণ্ডে নয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ যে কোনো দুর্ঘটনায় অল্প সময়ে ও খুব সহজে সেবা মিলবে ফায়ার সার্ভিসের।

নবনির্মিত ফায়ার স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, ফায়ার স্টেশনটি সুসজ্জিত করে রাখা হয়েছে। নতুন এ স্টেশনের রং দূর থেকেই দৃষ্টি কাড়ে। অনেক উৎসুক জনতা ছবি ও সেলফি তুলছেন। গতি, সেবা ও ত্যাগ নিয়ে এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষায় ফায়ার স্টেশনটি।

উপজেলার সদরে একটি মটর সাইকেল গ্যারেজ ও বাগালী ইউনিয়ন পরিষদ এর সামনে একটি মুদি দোকানে এলাকায় সর্বশেষ কয়েক দিন আগে আগুন লেগে দোকান পুড়ে একেবারে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য কলেজ শিক্ষার্থী ফাতেমা উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণের খবরে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন। তিনি বলেন, আমাদের বাসা ও দোকানে আগুন লাগার পর পাশের  ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অনেক দূরে হওয়ায় খবর দেয়া সম্ভব হয়নি দিলেও কাজ হতো না তার আগে পুড়ে শেষ হতো। তবে শুনে ভালো লাগছে যে, এখন কয়রাতে একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন হয়েছে। এতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক কমবে। 

কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম বলেন,কয়রাতে প্রায়ই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায়  বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যায়। এখন আমাদের উপজেলায় ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন নির্মিত হওয়ায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। আমরা উদ্বোধনের অপেক্ষার প্রহর গুনছি।তিনি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন হওয়ার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সংসদ আক্তারুজ্জামান বাবু কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। 

খুলনা ফায়ার স্টেশন অফিস সূত্রে জানা যায়,কয়রা ফায়ার স্টেশনটি গণপূর্ত বিভাগ খুলনা  বাস্তবায়ন করেছে। এরই মধ্যে প্রায় সব কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অল্প যেসব কাজ বাকি রয়েছে তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। ইতোমধ্যে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ফায়ার স্টেশনটি পরিদর্শন করে গেছেন। আশা করছি অতিদ্রুত এটি উদ্বোধন করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস  বলেন, এ উপজেলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন না থাকায় অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যায়। এখানকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের, যা বাস্তবে রূপ দিয়েছে সরকার। অত্যন্ত আনন্দের বিষয়, শিগগিরই কয়রাবাসী আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত ফায়ার সার্ভিস স্টেশন পেতে যাচ্ছে।

জামান / জামান

ধামইরহাটে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিশুদেরকে কোরআনের ছবক প্রদান

আদমদীঘিতে নিখোঁজের ৩দিন পর ডোবার থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার

পাবনায় রেজিস্টারদের প্রাণনাশের হুমকি! সেই শাহীনসহ ৬ দলিল লেখকের সনদ বাতিল

হালদা নদী থেকে বালুভর্তি ড্রেজার জব্দ, চালককে জরিমানা

‎শাল্লার কুশিয়ারা নদীতে অবৈধ ড্রেজার মেশিনের তান্ডব,নদীভাঙনের মুখে শত শত ঘরবাড়ি

বগুড়ার শেরপুরে মটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই বন্ধু নিহত

গ্রাম আদালতকে আরও গতিশীল করতে চেয়ারম্যানদের নিয়ে ২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

এমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণের চেষ্টা চলবে-নেত্রকোনায় দেলাওয়ার হোসেন আজিজী

চট্টগ্রামের ৫টি আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূলে ক্ষোভ

কটিয়াদীতে পুকুরের পানিতে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু

কেশবপুরে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

কেশবপুরে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

নওগাঁয় মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ পৌরবাসী