ঢাকা শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫

টাঙ্গাইলে দেড় হাজার একর কৃষিজমির জলাবদ্ধতা দূরীকরণে বিএডিসির খাল খনন


রাশেদ খান মেনন, টাঙ্গাইল photo রাশেদ খান মেনন, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ১৭-৫-২০২২ বিকাল ৫:৩৫

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার অরণখোলা, কুড়াগাছা ও আউশনারা ইউনিয়নের দেড় হাজার একর কৃষিজমি আবাদযোগ্য করতে ও অর্ধলক্ষ মানুষকে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা করতে খিরাই খাল ও গুজা খাল খনন করেছে বিএডিসি। সাড়ে ৯ কি.মি দীর্ঘ এ দুই খাল দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় এ বিপুল পরিমাণ কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হতো। খাল খননে এলাকাবাসী সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

মধুপুর বিএডিসি সূত্রে জানা যায়, খাল দুটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ভরাট হয়ে গিয়েছিলো। কোন কোন স্থানে দৃশ্যমানই ছিল না। যার ফলে এ খাল দুটি সংলগ্ন দেড় হাজার একর জমির পানি পাশের হাওদা বিলে নিষ্কাশিত হতে পারতো না। ফলে ভারী বর্ষণে এ সকল জমিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হত এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হতো। তাছাড়া জমিগুলো জলাবদ্ধ থাকার কারণে রোপা আমণ আবাদ করতে পারতো না। কৃষকদের দাবিতে দুর্ভোগ এড়াতে খাল খননের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)। চলতি অর্থবছরে বিএডিসির চলমান ‘ময়মনসিংহ বিভাগ ও ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ জেলার ক্ষুদ্রসেচ উন্নয়ন প্রকল্পে’-এর আওতায় ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সাড়ে তিন কি.মি দীর্ঘ  খিরাই খাল ও ৭০ লাখ টাকা ব্যায়ে ৬ কি. মি দীর্ঘ গুজা খাল পুনঃখনন করা হয়।

উপকারভোগী কৃষক আলী আকবর ও আব্দুস ছাত্তার আকন্দসহ অনেকেই জানান, খাল দুটি খনন করায় দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধাতা থেকে মুক্তি পেয়েছে এলাবাসী। এতে বিপুল পরিমাণ কৃষি জমি আবাদের আওতায় এলো।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মজিবুর রহমান বলেন, খাল খননের ফলে খালের গভীরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিস্তীর্ণ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের পাশাপাশি রোপা আমন ও বোরো মৌসুমে খালে পর্যাপ্ত পানি প্রবাহমান থাকবে। শুকনো মৌসুমে এ পানি এলাকার কৃষক সেচ কাজে ব্যবহার করতে পারবে। উৎপাদন খরচও কম হবে।

বিএডিসির (ক্ষুদ্র সেচ) প্রকল্পের টাঙ্গাইল জোনের সহকারী প্রকৌশলী আশিক জামান বলেন, খাল খননে বিস্তীর্ণ কৃষি জমির যোগাযোগ সহজ হয়েছে। খালের দুই পাড়ের জমির পানি নির্গমনের জন্য ইউপিভিসি পাইপ দিয়ে খালের প্রয়োজনীয় স্থানে আউটলেট নির্মাণ করা হয়েছে। এতে হাওদা বিলের অনেক দিনের জলাবদ্ধতা দূর হয়েছে এবং বোরো ধান কৃষক নির্বিঘ্নে ঘরে তুলতে পারবে। ফলে অনেক কৃষক উপকৃত হবে এবং বিপুল পরিমাণ কৃষিজমি দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পাবে।

বিএডিসির এরূপ বহুমুখী উদ্যোগের ফলে উপকারভোগী এই তিন ইউনিয়নের কৃষকরা বিএডিসির কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং মধুপুরে বিএডিসির উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এই প্রত্যাশা করেন।

বিএডিসির ময়মনসিংহ বিভাগ ও ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ জেলার ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মুহাম্মদ বদরুল আলম বলেন, কৃষিমন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে খিরাই খাল এবং গুজা খাল পুনঃখননের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। খাল দুৃটি পরিদর্শন করে পুনঃখননের উদ্যোগ নেয়া হয়। খাল পুনঃখননের ফলে খালপাড়ের জমির জলাবদ্ধতা আর থাকবে না এবং বোরো মৌসুমে খালের জমাকৃত পানি কৃষকরা সেচ কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।

এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খননে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মধুপুরে খিরাই ও গুজা খাল খননে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিএডিসিকে নির্দেশ দেয়া হয়। খননের ফলে খালের গভীরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ফসল আনা-নেয়া ও পারাপারের জন্য একটি ফুট ব্রিজ নির্মাণে দাবি করেছে এলাকাবাসী। ফুট ব্রিজ নির্মাণের কাজ দ্রুত করা হবে।

এমএসএম / জামান

কেশবপুরে ধানের শীষের প্রার্থী শ্রাবণের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

বাঘায় লকডাউন প্রতিহতে সংগ্রামী দলের মশাল মিছিল

মিরসরাইয়ে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপি উদ্যোগে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত

ত্রিশালে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত-১

জজের ছেলে তাওসিফ'র মৃত্যুর মূল কারণ-অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ

জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ভূঞাপুর ইউনিটের কমিটি ঘোষণা

বিরল রোগে আক্রান্ত মা ও ছেলে, অসহায়দের সাহায্যের আবেদন

নাচোলে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত

মানিকগঞ্জে স্কুল বাসে আগুন: দগ্ধ চালকের অবস্থা আশঙ্কাজনক

ধামরাইয়ে বিএনপি'র লিফলেট বিতরণ

সুবর্ণচরে রফিকুন-নবী ফাউন্ডেশন বৃত্তি অনুষ্টিত

মুকসুদপুরের কৃতি সন্তান আশেক হাসান সাগর যশোরের নতুন জেলা প্রশাসক

মধুখালীর ডুমাইনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাস্তার গাছের গুলাই বিক্রি