ধনী-গরিবের বৈষম্য একটি অশনিসংকেত
যেকোন দেশের সরকার মনে করতেই পারে দেশের সকল মানুষ সুখে আছে। ভালো আছে। এ কথা সত্য, সুখের নির্দিষ্ট কোনো মাপকাঠি নেই। কে যে কিভাবে সুখী হয়, তা বলা মুশকিল। সাধারণভাবে ধরে নেয়া হয়, কোনো মানুষ নিশ্চিন্তে তিন বেলা খেয়ে-পরে থাকতে পারলে, নিজেকে সুখী মনে করতে পারে। এটা একেবারে মৌলিক চাহিদার বেস লাইন। জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশন নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) সুখী দেশের তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় আমলে নেয়। এর মধ্যে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি), সামাজিক সহায়তার ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, দাতব্য সেবা এবং দুর্নীতিহীনতা। তাদের জরিপ অনুযায়ী, যেসব দেশে বৈষম্য বা ভেদাভেদ কম, সে দেশের মানুষ বেশি আনন্দে থাকে। বিশেষ করে যেসব দেশে সামাজিক সহায়তা বেশি, বিপদে সমাজ বা রাষ্ট্রের সহায়তা পাওয়া যায়, সেসব দেশের নাগরিকরাই বেশি সুখী। বাংলাদেশের মানুষকে শত শত বছর ধরে পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে নিপীড়ন-নির্যাতন সইতে হয়েছে। এই শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হতে অনেক সংগ্রাম ও রক্ত দিতে হয়েছে। অবশেষে সশস্ত্র সংগ্রাম করে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। ইতোমধ্যে স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেছে। তারপরও মানুষ সুখের সন্ধান পায়নি। দেশের সিংহভাগ সাধারণ মানুষ দুঃখের মধ্যেই আছে। তাদের সুখের জন্য যে ত্রিশ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছেন-তা সোনার হরিণ হয়েই রয়েছে। তাদের অর্থনৈতিক মুক্তি ঘটেনি। বাংলাদেশের দেশের মানুষ অল্পতেই তুষ্ট হয়। মোটা কাপড় আর মোটা চালের ভাত খেতে পারলে তাদের আর কিছু লাগে না। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদনে সাধারণ মানুষের আর্থিক ও জীবনযাপনের দৈন্যদশার চিত্র উঠে এসেছে। সাধারণ মানুষও অভিজ্ঞতা থেকে এর উত্তর পেয়ে যাচ্ছে।
সাধারণ মানুষের মধ্যে যদি হাহাকার না থাকত, তাহলে সরকারের এ ব্যবস্থা করার প্রয়োজন পড়ত না। সরকার কেবল স্থাপত্যগত উন্নয়ন এবং জিডিপি ও মাথাপিছু আয় বাড়িয়ে দিয়ে দেখাতে চাচ্ছে, আমরা উন্নতি করছি। উন্নতির আসল মাপকাঠি মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন, এদিকটি এড়িয়ে যাচ্ছে। কিছু মানুষের যে উন্নয়ন হচ্ছে না, তা নয়। তারা উন্নতির দিক থেকে উন্নত বিশ্বের নাগরিকদেরও হার মানিয়ে দিচ্ছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে কোটিপতির সংখ্যা এক লাখেরও বেশি। গত এক বছরে ৮ হাজারেরও বেশি মানুষ শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছে। আসলে দেশের মানুষ কতটা সুখী আর কতটা অসুখী তার পরিমাপ সরকার বা কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে করতে দেখা যায়নি। তবে মাঝে মাঝে জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা জরিপ করে বিশ্বের সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ করতে দেখা যায়। সেখান থেকে বাংলাদেশের মানুষ কতটা সুখী তার একটা পরিসংখ্যান পাওয়া যায়। সমস্যা হচ্ছে, এখন পরিসংখ্যানগত উন্নতিকে অনেকে বিশ্বাস করতে চায় না। পরিসংখ্যান যে নিরেট সত্য, তা বলা যায় না। এসব পরিসংখ্যান একটা ধারণা মাত্র। সাধারণভাবে উন্নয়ন বলতে বোঝায় কোনো অগ্রগতি বা অগ্রসরমান ব্যবস্থা বা কোনো কিছু বৃদ্ধি অথবা ব্যাপকতার ফলস্বরূপ প্রাপ্তি। এককথায় বলা যায়, উন্নয়ন হচ্ছে এক অবস্থা বা স্তর থেকে উন্নত বা কাঙ্ক্ষিত অবস্থায় উত্তরণ। কোনো জাতি যদি কোনো সময়ের জন্য উন্নত জীবনযাপন করে, তবে তাকে উন্নয়ন বলা যাবে না। অর্থনৈতিক দিক থেকে সমাজের একদম সর্বনিম্ন স্তরের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন না হয় তাহলে সেটাকে কোনোভাবেই উন্নয়ন বলে গণ্য করা যাবে না। দেশের উন্নয়নের সুফল জনগণ কতটুকু ভোগ করছে, তা প্রশ্নসাপেক্ষ। উন্নয়নের জন্য ব্যয় এবং উন্নয়ন থেকে প্রাপ্ত সুফল কতটুকু সর্বসাধারণ ভোগ করতে পারছে, তার যৌক্তিক দিক পর্যালোচনা করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সেরা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দেশ, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। উন্নয়নের নানা সূচকে বাংলাদেশ পৃথিবীর অনেক দেশের তুলনায় ভালো করছে। আরো দাবি করা হচ্ছে, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে অবস্থান করছে। সরকার শুধু প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির দিকে নজর দিচ্ছে। তবে দূরদর্শী নেতৃত্ব ও দক্ষ প্রশাসন ছাড়া আর্থসামাজিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। কোনো দেশ দুর্নীতি, অশান্তি লালন করে টেকসই উন্নয়ন আশা করতে পারে না। দেশে যে উন্নয়ন হচ্ছে, তার ভিত্তি বা শিকড় যদি দৃঢ় না হয়, তবে একটা সময় তা ধসে পড়তে পারে। এমনকি বৈষম্য দূরীকরণ, শান্তি ও ন্যায়বিচার, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা, কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার মতো বিষয়গুলোতে বাংলাদেশের এখনো কার্যকর অগ্রগতি হয়নি। তবে সবার জন্য শিক্ষা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে প্রাথমিকভাবে সাফল্য এসেছে। এসডিজি অর্জনে সফল হতে হলে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ ও রাষ্ট্রীয়ভাবে জবাবদিহি এবং সুশাসন নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা। তবে এটা অস্বীকার করা যাবে না বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে সত্যিই অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। তবে যে উন্নয়নের কথা বলা হচ্ছে, তার প্রভাব নিম্ন আয়ের মানুষের ওপরে পড়ছে না। পুঁজিবাদী রাষ্ট্র উন্নয়নের সুফল নির্দিষ্ট কিছুসংখ্যক মানুষ পাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান ওয়েলথ এক্সের প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে সবচেয়ে অতি ধনী বৃদ্ধির দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ধনী বৃদ্ধির দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-চীনকেও পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। একদিকে যেমন দেশের ধনীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, অন্যদিকে দরিদ্রতার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে দেশে এ রকম ধনী-গরিবের বৈষম্য প্রমাণ করে দেশের উন্নয়নের সুফল সমাজের নিম্নস্তরের মানুষের পাচ্ছে না।
নির্দিষ্ট কিছুসংখ্যক মানুষ এই উন্নয়নের সুফলে নিজেদের কোটিপতি বানিয়ে নিচ্ছেন। অন্যদিকে গরিবরা আরো গরিবে পরিণত হচ্ছে। বর্তমান সরকার দেশের এই ক্রমবর্ধমান ধনী-গরিবের বৈষম্য চিত্রের প্রতি অবহেলা করলে একসময় তা যে ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে। করোনাকালীন দেশের অনেক মানুষ তাদের কর্মক্ষেত্র থেকে চাকরিচ্যুত হয়েছে। অনেকেই বাসা ভাড়া না দিতে পেরে বাধ্য হয়ে রাজধানী ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে পাড়ি জমিয়েছে। ধনী-গরিবের বৈষম্য বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশে ভ্রাম্যমাণ মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই দেশে এ রকম ধনী-গরিবের বৈষম্য একটি অশনিসংকেত।যেকোন দেশের তৃণমূল জনসাধারণের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ছাড়া কখনো একটি দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এমনকি দেশের সার্বিক উন্নয়ন করতে হলে শুধু রাজধানী ভিত্তিক উন্নয়ন করলেই হবে না, একেবারে গ্রামের মানুষ, তৃণমূলের মানুষদের উন্নতি করতে হবে। দেশের উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই হলো বর্তমান সরকারের মুখ্য উদ্দেশ্য। এ কারণে সারাদেশে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত করা হচ্ছে। শহর ও গ্রামের মানুষকে সমান সুযোগ তৈরি করে দিতে সরকার কাজ করছে ঠিকই কিন্ত বাস্তবতা কি প্রমাণ দিচ্ছে সেদিকেও নজর দেয়াটা বাঞ্ছনীয় নয় কী?প্রধানমন্ত্রী সরল মনে দেশ ও জাতির উন্নয়নে কাজ করার আদেশ উপদেশ দিচ্ছেন কিন্ত এসব বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা কর্মকর্তাদের। ওনাদের মনে রাখা দরকার (তা হোক যেকোন দপ্তর) শেখ হাসিনার আদেশ উপদেশ সঠিকভাবে পালন করা। অন্যতায় দেশ ও জাতি কোনোভাবেই উন্নতির শিকরে উঠতে পারবেনা। কিন্ত আমরা বড়ই দুর্ভাগা জাতি দেশের সরকার ও দেশের জনগণের কথা চিন্তা না করে নিজের স্বার্থটাকেই বড় করে দেখি (তবে সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)। এবং নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। আর এতে করে দেশ ও জাতির উন্নয়ন যেমন বাধাগ্রস্ত হয়, তেমনই সরকারও ব্যর্থতার গ্লানিতে পড়েন।
সুতরাং শেখ হাসিনার সরকারের হাতকে শক্তিশালী করতে এবং দেশ ও জাতির উন্নয়নে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে এবং দেশ ও দেশের মানুষকে ভালবাসতে হবে। উন্নয়নের জোয়ারে বাংলাদেশ। কিন্ত প্রশ্নটি হলো, উন্নয়নের জন্য ব্যয় এবং উন্নয়ন থেকে প্রাপ্ত সুফল কতটুকু সর্বসাধারণ ভোগ করতে পারছে, তার যৌক্তিক দিক পর্যালোচনা করা জরুরি। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সেরা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দেশ, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে, মাথাপিছু আয় এক হাজার ডলার ছাড়িয়ে গেছে। উন্নয়নের নানা সূচকে বাংলাদেশ পৃথিবীর অনেক দেশের তুলনায় ভালো করছে ইত্যাদি কথা বলে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে গেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। আরও দাবি করা হচ্ছে, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে অবস্থান করছে। উন্নয়ন প্রকল্পের অকল্পনীয় অর্থ বরাদ্দেই প্রমাণ করে, বড়লোক দেশ, বড়লোক সরকার। অন্যদিকে সোনার চামচ মুখে গোঁজা সরকারি চাকরি আর জনগণের কষ্টের টাকা বিনা বাধায় হাতের নাগালে! বাংলাদেশে উন্নয়নের পথপরিক্রমায় অনর্থক অপচয় ও অপব্যয় নতুন কিছু নয়। উন্নয়ন প্রকল্পসংক্রান্ত অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের নামে আমলাদের বিদেশ সফর, বারবার বিভিন্ন সড়কের আইল্যান্ড ও ফুটপাত ভাঙা এবং তা পুনর্নির্মাণ করা, হাসপাতালগুলোর জন্য চড়া দামে যন্ত্রপাতি ক্রয় এবং তা ব্যবহার করতে না পারা। প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা খরচ করে রাস্তা মেরামত, বাঁধ, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ। কয়েক মাস না যেতেই সেগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়া। বাঁধগুলো আগাম বর্ষার এক ধাক্কায় উবে যাওয়া। এসব অপচয় ও অপব্যয় এড়ানো গেলে দেশ আরও অনেক বেশি উন্নয়ন অর্জন করতে পারত।কিন্তু সর্বগ্রাসী দুর্নীতি সব উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। প্রবৃদ্ধি বাড়ার ওপর সরকার জোর দিচ্ছে। কিন্তু দূরদর্শী নেতৃত্ব ও দক্ষ প্রশাসন ছাড়া আর্থসামাজিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।
কোনো দেশ দুর্নীতি, অশান্তি লালন করে টেকসই উন্নয়ন আশা করতে পারে না। এটা সত্য, বৈশ্বিক অনেক সূচকেই বাংলাদেশ এগিয়েছে। তবে পরিবেশদূষণ, যানজট, দুর্নীতি সমস্যার সমাধানে সরকার কাজ করলেও আমরা এগুলোতে বেশ পিছিয়েই আছি। দেশে যে উন্নয়ন হচ্ছে, তার ভিত্তি বা শিকড় যদি দৃঢ় না হয়, তবে একটা সময় তা ধসে পড়তে পারে। এ শঙ্কার কথা আবারও ব্যক্ত করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টারফরপলিসি ডায়ালগের (সিপিডি)। আসলে কে কতটা সুখী, তা যারা জরিপ করে তাদের পক্ষে বোঝা মুশকিল। যারা জরিপ করে তাদের কাছে যা সুখের, অন্যের কাছে তা সুখের না-ও হতে পারে। সুখের বিষয়টি আপেক্ষিক। তবে একটি দেশের উন্নতির ধারা এবং মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন থেকে কিছুটা হলেও বাহ্যিক সুখের ধারণা পাওয়া যায়। বর্তমান অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতার যুগে সুখের মূল উৎস হয়ে উঠেছে অর্থ। যে দেশ আর্থিকভাবে যত বেশি উন্নত বা অর্থনৈতিক উন্নতি করছে, সে দেশের মানুষকে সুখী হিসেবে ধরা হয়। বাংলাদেশের মানুষের সুখ-দুঃখের কথা বলার মতো কোনো প্ল্যাটফর্মও নেই। তাদের সুখের কথা বলে দিচ্ছে জাতিসংঘ বা অন্য কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠান। তারা আমাদের দেশে এসে হাজার খানেক মানুষের মতামত নিয়েই সুখ-দুঃখের কথা বলে দিচ্ছে।এখন হাজার খানেক মানুষের সুখ-দুঃখের উপর ভিত্তি করে সতের-আঠার কোটি মানুষের সুখ-দুঃখের বিচার করা কতটা যৌক্তিক, তা পাঠকরাই ভাল বলতে পারবেন। হতে পারে কিছু মাপকাঠির উপর ভিত্তি করে এ জরিপ করা হয়। তবে তা যে সঠিক হবে, এটা নিশ্চিত করে বলা যায় না। এই সময়ে যদি বাংলাদেশের মানুষের সুখ-দুঃখের হিসাব করা হয়, তবে অনেকেই একমত হবেন, তারা ভাল নেই।
লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট
raihan567@yahoo.com
এমএসএম / এমএসএম