তাহিরপুরে মসজিদের জায়গা রক্ষা করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত ৪
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ৫নং বাদাঘাট ইউনিয়নের লোহাজুরি চরারপাড় জামে মসজিদের জায়গা জোরপূর্বক দখল করে নেয়ার সময় বাধা দিতে গেলে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ৪ জন মুসল্লি আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৩ জনকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং অন্যজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) জুমার নামাজ শেষে লোহাজুরি চরারপাড় জামে মসজিদের পাশে।
আহতরা হলেন- বাদাঘাট (উত্তর) ইউনিয়নের লোহাজুরি চরারপাড় গ্রামের বাসিন্দা মৃত কলা মিয়ার ছেলে ছমেদ মিয়া (৫৩), তার ছেলে রুবেল মিয়া (২৩), মৃত জুনাব আলীর ছেলে মো. সুরুজ মিয়া (২৮) এবং মৃত কলম উদ্দিনের ছেলে খালেক মিয়া (৬০)। আহতদের মধ্যে খালেক মিয়ার অবস্থাা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সিলেটে রেফার করা হয়েছে বাকিদের সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আহতরা জানান, মসজিদের পাশে এলাকার হাসান আলী গংদের বসতবাড়ি রয়েছে। কিন্তু বাড়িতে যাওয়ার কোনো রাস্তা নেই। মসজিদের জায়গার ওপর দিয়ে হাসান আলী গংরা যাতায়াত করেন। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে কয়েকবার মসজিদের মুসল্লি ও চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিনকে নিয়ে সালিশ-পাঞ্চায়েতও হয়েছে। পঞ্চায়েতের রায়ে হাসান আলী গংদের ৩ ফুট রাস্তা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পরে মসজিদের মুসল্লিরা মানবতা দেখিয়ে হাসান আলী গংদের চলাচলের জন্য ৫ ফুট রাস্তা দিতে চাইলে হাসান আলী গংরা জোরপূর্বক ৭ ফুট রাস্তা নিতে চাইলে মুসল্লিরা বাধা দেন। এ সময় তাদের ওপর ধারালো রামদা, ডেগার, সুলফি হাতে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায় হাসান আলী ও তার স্বজনরা। হামলায় ৪ জন মুসল্লি গুরুতর আহত হন।
হামলাকারীরা হলো- একই এলাকার বাসিন্দা মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে হাসান আলী, হাসান আলীর ছেলে কডু মিয়া, নবীউল মিয়া, খাইরুল মিয়া, খলিল মিয়া, মৃত রহমান মিয়ার ছেলে হাবি মিয়া, কামরুল্লা, আলাল মিয়া, এরশাদ মিয়া, মুর্শেদ মিয়া, সিদ্দু মিয়ার ছেলে সামছু মিয়া, গফুর মিয়ার ছেলে মনজুল হকসহ ৩০-৩৫ জন।
এ ব্যাপারে তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ তরফদার জানান, অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমএসএম / জামান