ঢাকা সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

শাহজাদপুরে দেদার তালের শাঁস বিক্রি : হুমকিতে তালগাছের বংশবৃদ্ধি


মাহফুজুর রহমান মিলন, শাহজাদপুর photo মাহফুজুর রহমান মিলন, শাহজাদপুর
প্রকাশিত: ৪-৬-২০২২ দুপুর ৩:৩৬

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বাজারে আসতে শুরু করেছে তালশাঁস। এই গরমে দেদার তালের শাঁস বিক্রি হচ্ছে। স্বল্পমূল্যের অত্যন্ত সুস্বাদু ও হাতের নাগালে পাওয়ায় সব বয়সী  লোক এই তালের শাঁস খান। গাছের মালিকরা ভালো দাম পাওয়ায় পাকার আগেই গাছ থেকে তাল বিক্রি করে দিচ্ছেন। ফলে পাকা তালের অভাবে বীজ সংকটে পড়ে তাল গাছের বংশবৃদ্ধি ব্যাহত হওয়ার আশংকা করছেন বৃক্ষপ্রেমীরা।

শাহজাদপুর শহরের মনিরামপুর বাজার বিসিক ও দিলরুবা বাসস্ট্যান্ড এলাকাসহ পৌর শহরের  বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ তালের দোকান নিয়ে বসছেন ব্যবসায়ীরা। পৌর শহর ছারাও  গ্রামঞ্চলেও এই মৌসুমের তালশাঁস বিক্রির হিড়িক পরেছে। উপজেলার নগড়ডালা, ডায়া জামিরতা, পোরজনা, তালগাছি, পোতাজিয়া রতনকান্দি, খুকনীর বিভিন্ন বাজার ও জনসমাগম হয় মোড়গুলোতে চলছে তালের শাঁস বিক্রির মহোৎসব। মৌসুমভিত্তিক ব্যবসয়ীরা সাধারণ তালশাঁস বিক্রি করে জীবন ও জীবিকা নির্বাহ করছেন।

শাহজাদপুর দিলরুবা বাসস্ট্যান্ডে তালের শাঁস ব্যবসায়ী আ. আলিমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এর আগে তরমুজ বিক্রি করতাম। এখন তালের শাঁস বিক্রি করি। পাবনা ও নাটোরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাল এনে শাঁস বিক্রি করি। প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার টাকার তালশাঁস বিক্রি হয় বলে জানান এই ব্যবসায়ী।

আরেক ব্যবসায়ী জানান, প্রতিটি তাল ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি তালে তিনটি করে শাঁস থাকে, সে হিসাবে প্রতি তালশাঁসের মূল্য ৫টাকা। প্রতিদিন তিন হাজার টাকার তালশাঁস বিক্রি করে থাকি।

শাহজাদপুরের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিন প্রায় লাখ টাকার তালশাঁস বিক্রি হয়।

পাকা তাল অত্যন্ত পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ। এছাড়া এ গাছ প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহনশীল। কিন্তু অধিকহারে তালের শাঁস বিক্রির জোয়ারে পাকা তালের অভাবে দেখা দিচ্ছে তালের বিজ সংকট। এতে ব্যাহত হচ্ছে তালের বংশ বিস্তার। এক সময় শাহজাদপুরের সর্বত্রই বড় বড় তাল গাছ ছিল। এসব গাছে বাস করত চিল, বাজ, বাবুইসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। এ গাছ না থাকায় পাখিগুলো হারিয়ে গেছে। বিভিন্ন প্রয়োজনে তালগাছ কাটা হলেও বীজের অভাবে রোপণ করা হচ্ছে না। গ্রামঞ্চলের মানুষ তালগাছের গুরুত্ব না বুঝে তালগাছ কেটে ফেলছে।

এ গাছে বছরে একবার ফলন হয়, লাভ কম হয়। ফলে এ গাছ কেটে অন্য ফল বা অন্যকিছুর আবাদ করছেন অনেকে। তালগাছে লাভ কম হলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশেষ করে বজ্রপাত থেকে মানুষকে রক্ষা করে। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আব্দুল সালাম বলেন, তালগাছ সংরক্ষণে সরকারি কোনো উদ্যোগ না থাকলেও প্রতি বছর আমরা বিভিন্ন এলাকা থেকে তাল বীজ এনে উপজেলার বিভিন্ন রাস্তার ধারে রোপণ করে থাকি। কৃষকরা তালের শাঁস অথবা তাল পাকিয়ে যে কোনো উপায়ে বিক্রি করতে পারেন। এখন এককালীন নগদ টাকা পাওয়ার জন্য হয়তো কৃষক তালের শাঁস বিক্রি করছেন। আমরা সব সময় অধিক লাভের জন্য কৃষককে পাকা তাল বিক্রির পরামর্শ দিয়ে থাকি। এতে তালের বীজ থেকে তাল গাছের বংশ বিস্তার হবে।

সচেতন মহলের ধারণা, যে হারে তালের শাঁস দেশব্যাপী বিক্রি হচ্ছে, তাতে একটা সময় তালের বীজের অভাবে তালগাছের অস্তিত্ব সংকট দেখা দিতে পারে। তালগাছের বংশবৃদ্ধিতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি।

এমএসএম / জামান

স্বাধীনতার পরে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বিএনপির জন্ম: ডা. মাজহার

বকশীগঞ্জে কৃষকের ৬১ শতক জমি ধান নষ্ট করে দিলো প্রভাবশালীরা

রায়গঞ্জে লাখো মানুষের ভরসা দড়িটানা নৌকা : জনপ্রতিনিধিদের কেউ কথা রাখেনি

দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশের রাজনৈতিক আকাশে মেঘ ধরেছে: মো.শাহজাহান

ধামইরহাটে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

বিজয়নগরে আসামী গ্রেফতার করায় অতর্কিত হামলায় এএসআই শেখ সাদী আহত

টেকনাফে মাদক সাম্রাজ্য: কাদের নিয়ন্ত্রণে ভয়ংকর চোরাচালান চক্র

হিট প্রজেক্ট প্রাপ্ত যবিপ্রবির জীববিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের দুই শিক্ষককে সংবর্ধনা প্রদান

রাণীনগরের সেই শিক্ষক আনোয়ারকে সাময়িক বরখাস্ত

মাদারীপুরে ১৮০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ১৬ জন

টাঙ্গাইলে ৩৩১২ প্রার্থী থেকে যোগ্যতার ভিত্তিতে ১২০ টাকায় ৫০ জনের পুলিশে চাকরি

উত্তরবঙ্গ সেচ্ছাসেবী সংগঠনের অফিস উদ্বোধন

নতুন শপথের মাধ্যমে বরগুনায় বিএনপি'র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত