ঢাকা রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫

সরকার বাংলাদেশকে একটি বর্বর, অসভ্য ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে : মির্জা ফখরুল


কামরুল হাসান, ঠাকুরগাঁও photo কামরুল হাসান, ঠাকুরগাঁও
প্রকাশিত: ১৫-৬-২০২২ দুপুর ৩:১৫
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তারা পাচার করা টাকাকে বৈধ করার প্রস্তাব দিয়েছে। এগুলো তো তারা করছেই। নিজেরাই বিদেশে টাকা পাচার করছে আবার সেই টাকা বৈধ করার জন্য আইন করছে। এই দেশ তো এখন আর কোনো সভ্য, গণতান্ত্রিক দেশ নেই। এটা একটা বর্বর, অসভ্য রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। যেটা সম্পূর্ণভাবে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। বুধবার (১৫ জুন) পৌর শহরের কালীবাড়িস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
 
মির্জা ফখরুল বলেন, তথ্যমন্ত্রীর কথা তো আর আইন না। আইনে স্পষ্টভাবে বলা আছে যে, নির্বাচনের দিন ওই এলাকায় কোনো সংসদ সদস্য থাকতে পারবেন না। এখানে মন্ত্রী সাহেব কী করেছেন সেগুলোর সঙ্গে আইন, সংবিধান, নীতি-নৈতিকতা তার কোনো সংযোগ নেই। তারা সমস্ত নির্বাচনে বরাবরই যে কাজটা করে আসছে, প্রভাব বিস্তার, নির্বাচনকে নিয়ন্ত্রণে নেয়া। সরকারের কারণেই আজকে সরকারি দলের এমপি কুমিল্লায় অবস্থান করছেন।
 
নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেয়ার পরও তিনি সেখান থেকে বের হননি। এটাতে গোটা ইলেকশন কমিশন তারা তাদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছে। সুতরাং এ ঘটনা থেকে প্রমাণিত হয়ে গেছে, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন শুধু নয়, সারা বাংলাদেশের যে নির্বাচন ব্যবস্থা সেটাকে সম্পূর্ণভাবে এই সরকার নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন যে একটা প্রতিষ্ঠান, সেটাকে তারা ধ্বংস করে ফেলেছে। আমাদের দাবি, যে কথাটা আমরা বারবার বলছি, আমরা শুধু নয়; সমস্ত বিরোধী দলই বলছে যে, নির্বাচনকালীন সময়ে যদি নিরপেক্ষ সরকার না থাকে তাহলে নির্বাচন কমিশনার যেই থাকুক তাকে নিয়ে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
 
তিনি আরো বলেন, এটা শুধু আমাদের কথা নয়। সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য মানুষদের নিয়ে তারা কয়েকদিন আগে একটি বৈঠক করেছেন। সেখানে সবাই বলেছেন দলীয় সরকারের অধীনে বাংলাদেশের যে নির্বাচনী সংস্কৃতি সেখানে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সুতরাং এখানে নির্বাচনকালীন সময়ে একটি নিরপেক্ষ সরকার খুব বেশি প্রয়োজন। বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। সেটার ফলাফল যাই হোক, আমরা যাব না। যে বিশ্বাস শুধু আমাদের নয়, সারা বাংলাদেশের মানুষের সেই বিশ্বাস নাই। নির্বাচন ব্যবস্থাটাকে তারা এমন জায়গায় নিয়ে গেছে, এখানে তো মানুষ ভোটই দিতে পারে না। ভোটকেন্দ্রে যেতেও পারে না। ভোটকেন্দ্রে যদি যেতে না পারে তাহলে আর কী করবে। ভোট দিতে পারলেও তা তাদের পক্ষে নিয়ে যায়।
 
তিনি বলেন, আমরা আপত্তি জানাচ্ছি, প্রতিবাদ করছি। আন্দোলন করছি। আমরা আরো যখন সময় আসবে বড় আন্দোলনে যাব। আমরা সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করছি। সবাই আমাদের সঙ্গে একমত যে, এই সরকারের অধীনে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
 
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাফরুল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক মামুন অর রশিদ, জেলা যুবদলের সভাপতি চৌধুরী মাহেবুল্লাহ আবু নুর, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদসহ বিএনপির বিভিন্ন সহযোগী ও অঙ্গসংগঠের নেতৃবৃন্দ।

এমএসএম / জামান

রাজবাড়ী-২ আসনে বিএনপির মনোনয়নে চমক

রাণীনগরে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যুবক নিহত

মাগুরায় কৃতি সন্তানদের সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে বিএনপি নেতার কবর জিয়ারতে দুই এমপি প্রার্থী

স্ত্রীর কাছে ‘চিরকুট’ লিখে স্বামীর আত্মহত্যা

বাঁশখালীতে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর স্মরণে দোয়া মাহফিল

ঝিনাইগাতীতে গারো পাহাড়ে বন্যহাতির আক্রমণসহ নানা সমস্যা নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর লিজকৃত পুকুর দখলচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন

চট্টগ্রাম ১৩ আসনে মনোনয়ন ঘোষণা'র পর কোণঠাসা বিএনপির তৃণমূল

জয়পুরহাটে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৪ সদস্য গ্রেফতার

আত্রাইয়ে বান্দাইখাড়া দারুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসার উদ্যোগে উন্নয়নমূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

বিনিয়োগ আনতে চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশী ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন : এম সাখাওয়াত হোসেন

আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী ওয়ানগালা ও লবান উৎসব উদযাপন