রাজনীতি জগতের এক নক্ষত্রের গল্প
নাম তার টিপু মুনশি। ২৫ আগস্ট ১৯৫০ সালে গোপালগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ১৯৬৪ সালে রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার র গুয়াবাড়ি গ্রামে সপরিবার আবাস গড়েন। তিনি ঢাকার তিতুমীর কলেজ (তৎকালীন সরকারি জিন্নাহ কলেজ) থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তার বাবা রমজান আলী ব্রিটিশ সৈনিক ছিলেন। মায়ের নাম রত্না মুনশি। তার স্ত্রী আইরীন মালবিকা মুনশি, তাদের ২ কন্যা সন্তান রয়েছেন। তিনি ১৯৬৬ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। ১৯৬৯ সালে ঢাকায় জোয়ারসাহারা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে অতুলনীয় ভুমিকা রাখেন।
তিনি তৎকালীন সরকারি জিন্নাহ কলেজ (বর্তমান তিতুমীর কলেজ) ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্ব দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে লড়াই করেন। ১৯৭৩ সালে তিনি ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের তেজগাঁও উত্তরাঞ্চলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ১৯৯২ সাল থেকে ২৪ বছর তিনি বৃহত্তর গুলশান আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতিও ছিলেন তিনি। ২০১৭ সালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯৮ সালে তিনি বিজিএমইএর সহসভাপতি, ২০০৫-২০০৬ মেয়াদে বিজিএমইএর সভাপতি ও বর্তমানে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন ফোরাম ও সম্মিলিত পরিষদের যৌথ কমিটির প্রেসিডেনশিয়াল সভাপতি। তিনি সিপাল গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও এপোলো হাসপাতাল ঢাকার হোল্ডিং সংস্থা এসটিএস গ্রুপের পরিচালক।
২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে রংপুর -৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নবম জাতীয় সংসদে তিনি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। ৭ জানুয়ারি ২০১৯ সাল থেকে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রী সভায় বাণিজ্য মন্ত্রী হিসেবে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং আদর্শবান রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি বর্তমান যুবক সমাজের কাছে আদর্শের উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে থাকবে।
এমএসএম / এমএসএম