ঢাকা শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫

উলিপুরে ভিজিএফের চাল নিম্নমানের হওয়ায় আটকে দিলেন মেয়র


আবুল কালাম আজাদ, উলিপুর photo আবুল কালাম আজাদ, উলিপুর
প্রকাশিত: ৪-৭-২০২২ বিকাল ৫:৩৭
কুড়িগ্রামের উলিপুর পৌরসভায় সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে ভিজিএফের বরাদ্দকৃত দুর্ঘন্ধযুক্ত নিম্নমানের চাল সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পৌর মেয়র চাল গ্রহণ না করে তা আটকে দিয়ে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (৪ জুলাই) বিকেলে উলিপুর পৌরসভায়। 
 
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৩ হাজার ৮১ দরিদ্র ও অসচ্ছল পরিবারের মাঝে ভিজিএফের ১০ কেজি করে চাল বিতরণের বরাদ্দ পাওয়া যায়। সে হিসাবে ৩০ টন ৮১০ কেজি (৩০ হাজার ৮১০ কেজি) চাল সোমবার (৪ জুলাই) বিকেলে উলিপুর খাদ্যগুদাম থেকে সরবরাহ করা হয়। ওই চাল ট্রলিযোগে পৌরসভায় পৌঁছলে কিছু চালের বস্তা গুদামে তোলা হয়। এরমধ্যে দুর্গন্ধযুক্ত নিম্নমানের খাবার অযোগ্য চালের বিষয়টি চোখে পড়ে। তখন পৌরসভার কর্মচারীরা চালের বস্তা বাছাই করতে গিয়ে দেখেন বিভিন্ন ধরনের চাল সরবরাহ করা হয়েছে। কোনো বস্তার চালে ছাতা ধরা, কোনো বস্তায় দুর্গন্ধযুক্ত নিম্নমানের আবার কোনো বস্তায় খুদের গুঁড়া মেশানো চাল রয়েছে। এছাড়া চালের বস্তাগুলোর মুখের সেলাই দুই ধরনের ছিল। হাতের এবং মেশিনের সেলাই। এ অবস্থা দেখে পৌর মেয়র মামুন সরকার মিঠু খাদ্যগুদাম কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করেন। পরে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা শাহীনুর রহমান পৌরসভায় গিয়ে খারাপ চাল পরিবর্তন করে দিতে চান। কিন্তু মেয়র খারাপ চাল আটকে দিয়ে জানতে চান এই নিম্নমানের চাল কোথায় সরবরাহ করা হবে। ফলে চাল নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
 
পৌর মেয়র মামুন সরকার মিঠু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খাদ্যগুদাম থেকে নিম্নমানের পচা চাল সরবরাহ করা হয়েছে, যা খাওয়ার যোগ্য নয়। এ চাল গরিব মানুষের মাঝে বিতরণ করলে আমার বদনাম হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুনাম ক্ষুণ্ন হবে। কিভাবে পচা চাল সরকারি খাদ্যগুদামে এলো তা জানতে হবে। বিষয়টি আমি সবাইকে জানিয়েছি। নিম্নমানের চালগুলো পৌর চত্বরে রয়েছে। 
 
এ বিষয়ে উলিপুর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীনুর আলম জানান, ডিলাররা ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে চালগুলো দিয়েছেন। গুদামে চালের খামালের চারদিকে ওষুধ প্রয়োগের কারণে (আউটার লেয়ারে) চালগুলো সাদা হতে পারে। দুর্গন্ধের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ধান ছাঁইটাইয়ের সময় মিলাররা হাউজের পানি পরিবর্তন না করায় কিছুটা গন্ধ হতে পারে। আমি খারাপ চালের বস্তাগুলো পরিবর্তন করে দিতে চাইলেও মেয়র তা মানতে রাজি হননি। 
 
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল কুমার জানান, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। মেয়রের কাছে লিখিত অভিযোগ চাওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এমএসএম / জামান

তানোরে বিএনপির রাজনীতিতে শীষ পরিবারের বিকল্প নেই

চন্দনাইশে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেন এডভোকেট নাজিম উদ্দিন চৌধুরী

একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট উপেক্ষা করেই- চলছিল কেরানী হাটের সেই বানিজ্য মেলা

জয়পুরহাট পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড জামায়াতের উদ্যোগে উঠান বৈঠক

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিনে কুমিল্লা-৬ আসনের মসজিদগুলোতে দোয়া ও মিলাদ

পবিপ্রবিতে ১৫ বছর ধরে অচল দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র ভূ-কম্পন পরিমাপক যন্ত্র

জমে উঠছে কুমিল্লা-৫ আসনে জামায়াতে নির্বাচনী প্রচারনা

মান্দায় বিএনপি নেতা মতিনের পথসভা ও লিফলেট বিতরণে জনতার ঢল

এই বাংলায় কোনো বৈষম্য থাকবে না: ব্যারিস্টার ইউসুফ আলী

বাকপ্রতিবন্ধী দিনমজুর লালমন বিরল রোগে আক্রান্ত অর্থাভাবে মিলছে না উন্নত চিকিৎসা

কাউনিয়ায় ওভারব্রিজ পরিদর্শনে উপসচিব ফজলে এলাহী

রায়গঞ্জে ৭ মাসে ১০ মৃত্যু, স্থায়ী সমাধান চায় এলাকাবাসী

বোয়ালমারীতে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত