ঢাকা শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫

বিয়ের প্রলোভনে প্রতিবন্ধী মেয়ের সাথে পুলিশ সদস্যের শারীরিক সম্পর্ক


মোখলেছুর রহমান, কোনাবাড়ী photo মোখলেছুর রহমান, কোনাবাড়ী
প্রকাশিত: ৭-৭-২০২২ সকাল ৯:৫২
আলিফ হোসেনের সাথে শারীরিক প্রতিবন্ধী সুমীর (ছদ্মনাম) পরিচয় ফেসবুকের মাধ্যমে।  পরিচয়ের পরই মেসেঞ্জারে তাদের কথাবার্তা।  সুমী তার জীবনের করুণ কাহিনী বলেন, আলিফ তা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং নিজের কথাও শোনান। কথা বলতে বলতে কখন যে রাত শেষ  হয়ে যেত বুজতেই পারতেন না তারা। এভাবেই চলে প্রায় দুই  বছর। পরে প্রথমেই ভালোবাসার প্রস্তাব দেন ওই পুলিশ কনস্টেবল। সুমী ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি জানতেন, এটা কখনো সম্ভব নয়। কারণ, সড়ক দুর্ঘটনায় তার ডান হাতটি কেটে ফেলতে হয়। কিন্তু আলিফ হোসেন স্বপ্ন দেখান কৃত্রিম হাত লাগিয়ে স্বাভাবিক করে তুলবেন তাকে। সব কষ্ট ভুলিয়ে দিয়ে তার পাশে থাকতে চান আলিফ। আলিফের এমন আবেগ ভরা কথা শুনে চোখে পানি আসে সুমীর। নতুন জীবনের স্বপ্নে বিভোর সুমী।
 
শারীরিক প্রতিবন্ধী সুমীর এই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন ওই পুলিশ কনস্টেবল। একপর্যায়ে মেয়েটি বিয়ের চাপ দিলে মৌলভীর মাধ্যমে বিয়ে করেন তাকে। তবে বিয়ের কিছুদিন পরে অস্বীকার করেন।
 
অভিযুক্ত ওই পুলিশ সদস্য পঞ্চগড় জেলার আটয়ারী থানার বড় মালিগা গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মো. আলিফ হোসেন (২৫)। তিনি বর্তমানে ঢাকা পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে কর্মরত। 
 
ভুক্তভোগী সুমীর বাড়ি দিনাজপুরের ফুলবাড়িয়ায়। তিনি গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে বাসা ভাড়া নিয়ে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন এবং ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজে বাংলা বিভাগের মাস্টার্সে পড়াশোনা করেন।  
 
ভুক্তভোগী সুমীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের দিকে ওই পুলিশ সদস্যের সাথে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় তার। পরিচয়ের পর থেকেই মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাব দিতে থাকেন ওই পুলিশ সদস্য। কিন্তু বারবারই মেয়েটি প্রতিবন্ধী ও তার যোগ্য নয় বলে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। এভাবে দুই বছর চলার পর মেয়েটি তার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েন। প্রেমের একপর্যায়ে বিয়ে করবেন বলে আশ্বাস দিলে মেয়েটি একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা। পরে মেয়েটি বিয়ে ছাড়া এই সম্পর্ক করতে বাধা প্রদান করে। একপর্যায়ে ওই পুলিশ সদস্য একজন মৌলভী ডেকে তাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর মেয়েটিকে গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে বাসা ভাড়া করে দেন ওই পুলিশ সদস্য। চাকরির কারণে ঢাকায় থাকায় মাসে কয়েকবার তিনি বাসায় আসতেন। এরপর মেয়েটির পেটে বাচ্চা এলে চাকরি থাকবে না বলে কোনাবাড়ী ইবনেসিনা হাসপাতালে নিয়ে বাচ্চাটি নষ্ট করে ফেলেন। সর্বশেষ গত ২৬ জুন ওই পুলিশ সদস্য ছুটিতে গ্রামের বাড়ি চলে যান। পরে মেয়েটি তার বাড়ী যেতে চাইলে তিনি নতুন বিয়ে করেছেন বলে জানান এবং যা কিছু হয়েছে সবকিছু ভুলে যেতে বলেন।
 
ভুক্তভোগী ওই প্রতিবন্ধী নারী বলেন, বিষয়টি জানার পর আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি। একপর্যায়ে আমি ঢাকা পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে একটি অভিযোগ দেই। পরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে আমাকে সঠিক বিচারের আশ্বাস দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বেলা ১১টায় আমাকে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে ডাকা হয়েছে।
 
ওই নারী আরো বলেন, অভিযোগ দেয়ার পর থেকে সে আমার সাথে মীমাংসা করার চেষ্টা করছে। এমনকি আমাকে বেশ কয়েক লাখ টাকাও অফার করেছে। 
 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই পুলিশ সদস্য আলিফ হোসেন বলেন, সবতো শুনেছেন ভাই। কিভাবে সমাধান করা যায় ব্যবস্থা করেন। ভুল তো করেই ফেলেছি। আপনাদের মিষ্টি খাওয়ার ব্যবস্থা করছি।
 
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি)  অতিরিক্ত কমিশনারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এমএসএম / এমএসএম

লোহাগড়ায় চুরি-ছিনতাই অভিযুক্ত হিজবুল্লাহ জামিনে মুক্ত; সাধারণ মানুষ আতঙ্কে

বেনাপোল সীমান্ত থেকে উইনকোরেক্স সিরাপ ও ফেন্সিডিল আটক

শাহজাদপুরে সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্যকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

হাটহাজারীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সম্প্রীতি সমাবেশ

বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে মাদকসহ ১ জন গ্রেপ্তার: ৭০০ পিস ট্যাপেন্টাডোল ট্যাবলেট উদ্ধার

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিজিবির অভিযানে ৩টি বিদেশী ওয়ান শুটার গান ও গুলি উদ্ধার

ম্যানগ্রোভ ইকো-ট্যুরিজম মডেল বাস্তবায়নে যৌথ চুক্তি স্বাক্ষর

মোহনগঞ্জে গাঁজাসহ তিন মাদককারবারি গ্রেফতার

প্রতারণার বিচার চাওয়ায় কুয়েত প্রবাসীকে প্রাণনাশের হুমকি, সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ

রেল শ্রমিকদের ৫ দফা দাবি মানতে হবে: লুৎফর রহমান

ছারছীনা দরবার শরীফে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী ১৩৫তম ঈছালে ছাওয়াব মাহফিল

চারঘাট-বাঘায় উন্নয়ন অঙ্গীকার ও নির্বাচন বার্তা দিলেন আবু সাঈদ চাঁদ

কল্যাণ বোর্ডকে আয়বর্ধক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে': মহাপরিচালক তাসলিমা কানিজ নাহিদা