শাহজাদপুরে অবাধে চলছে ডিমওয়ালা মা ও পোনা মাছ নিধন
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় বর্ষার পানি আসার সাথে সাথেই দেশীয় প্রজাতির ডিমওয়ালা মা মাছ ও পোনা মাছ নিধনের মহোৎসব শুরু হয়েছে। উপজেলার যমুনা, করতোয়া, বড়াল, হুরাসাগর, ধলাই, চাকলাইসহ বিভিন্ন খাল-বিলে এ উৎসব চললেও প্রশাসন নীরব ভূমিকায় রয়েছে। তবে সচেতন মহল মনে করছেন, এ বিষয়ে প্রশাসনের নিয়মিত নজরদারি না থাকায় ভরা মৌসুমেও হাট-বাজারগুলোতে বড় মাছের আকাল দেখা দিয়েছে।
বর্ষার পানি নদ-নদীতে প্রবেশের সাথে সাথেই এক শ্রেণির অসাধু মৎস্য শিকারি সরকার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, মশারি, বাদাই জাল ও মাছ ধরার নানা উপকরণ দিয়ে অবাধে মা ও পোনা মাছ নিধন করছে। হাট-বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে অবৈধভাবে ধরা এসব দেশীয় প্রজাতির মা মাছ ও পোনা মাছ। আর প্রতি বছরের মতো এবারো নিশ্চুপ মৎস্য বিভাগ।
কয়েকটি এলাকা ঘুরে জানা যায়, গত কয়েক দিন হলো যমুনা, করতোয়া, বড়াল, হুরাসাগর, ধলাই, চাকলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, মশারি দিয়ে তৈরি নেট জাল, বেড় জাল, বাদাই জাল, খৈলশুনিসহ মাছ ধরার নানা উপকরণ দিয়ে মা মাছ ও পোনা মাছ নিধনযজ্ঞে মেতে উঠেছে এক শ্রেণির অসাধু মৎস্য শিকারি। বিশেষ করে শৈল ও টাকি মাছের পোনা মারতে মাতোয়ারা হয়ে উঠছে তারা। আর করোনাকালীন অলস সময় পার করতে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের মাছ শিকারের প্রবণতা আরো বেড়ে গেছে। এভাবে নদ-নদী থেকে নির্বিচারে পোনা ও ডিমওয়ালা মা মাছ নিধন অব্যাহত থাকলে মাছের বংশবৃদ্ধি নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অভিজ্ঞ মহল। প্রজননের ভরা মৌসুমে এসব নদীতে পোনা ও ডিমওয়ালা মা মাছ নির্বিচারে নিধন বন্ধ করা না গেলে অদূর ভবিষ্যতে নদীগুলোতে বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির মাছের তীব্র আকাল দেখা দেয়ার আশংকা করছেন বলে মনে করেন বিজ্ঞ মহল।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাথী রানী নিয়োগী বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। ইতোমধ্যে অভিযান চালিয়ে বেশকিছু কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আর মা মাছ ও পোনা মাছ নিধন রোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
এমএসএম / জামান