তানোরে পানির দাবিতে ক্ষেতেই কৃষকদের প্রতীকী কর্মসূচি

জ্যৈষ্ঠের বৃষ্টিতে ধান রোপণ করে বিপাকে পড়েছেন রাজশাহীর তানোর উপজেলার কৃষকরা। অনাবৃষ্টির কারণে এখন সেই ধান বাঁচাতে দিশেহারা কৃষক। বৃষ্টির দেখা নেই, আবার গভীর নলকূপে ধরনা দিয়েও ধানের জন্য সম্পূরক সেচের পানি পাচ্ছেন না তারা। পানির সংকটে পড়ে প্ল্যাকার্ড হাতে মাঠে দাঁড়িয়ে পানির দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা। প্ল্যাকার্ডে বড় বড় হরফে লেখা রয়েছে- ‘আমরা কৃষক, আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী নই।’
আজ মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে তানোর উপজেলার মোহর গ্রামে এ দৃশ্য দেখা গেছে। স্থানীয় ‘মোহর স্বপ্ন আশার আলো’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে কৃষকরা মাঠে দাঁড়িয়ে এই প্রতীকী কর্মসূচির মাধ্যমে পানির দাবি জানান।
সংগঠনের পরিচালক আলমগীর হোসেন বলেন, তারা আলু চাষের জন্য আগাম আমন ধান রোপণ করে থাকেন। এবার জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষদিকে যখন একটু বৃষ্টি হয়েছিল, তখন তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে আমন ধান রোপণ করেছিলেন। ধান লাগানোর জমি চাষ দিয়ে রাখার পর বীজতলাও তৈরি করে নিয়েছিলেন। আশা ছিল ১৫-২০ দিন বয়সী চারা রোপণ করবেন। এদিকে, আস্তে আস্তে বীজতলার চারা বড় হলেও বৃষ্টির আর দেখা নেই। কোনো উপায় না পেয়ে আষাঢ় মাসের ১৮ তারিখ গভীর নলকূপে পানির সিরিয়াল দেয়ার জন্য নলকূপের চালকের কাছে ধরনা দিয়ে কোনোরকমে জমি তৈরি করে ধান রোপণের কাজ শেষ করেছেন তিনি। এরপর থেকে জমিতে আর পানি দেয়ার ব্যবস্থা হয়নি।
আলমগীর আরো বলেন, আশপাশের সব গ্রামের কৃষকের একই অবস্থা হয়েছে। সারাদিন গভীর নলকূপ চালু থাকলেও চাহিদার তুলনায় পানি পাওয়া যাচ্ছে না। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে এ সমস্যা হচ্ছে। স্থানীয় ‘মোহর স্বপ্ন আশার আলো’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল।
আলমগীর হোসেন নিজ গ্রামের যুবকদের নিয়ে এই সংগঠন পরিচালনা করেন। সংগঠনের মাধ্যমে গ্রামের যুবকদের নিয়ে বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে থাকেন। তাদের মনে হয়েছে, পানির সংকটের জন্য কৃষকরা কোনোভাবেই দায়ী নন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণেই বৃষ্টি হচ্ছে না। তাই তারা পানির দাবি জানিয়ে মাঠে দাঁড়িয়েছেন। তারা বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের নজরে আনতে চান।
কৃষাণি জমেলা বেগম (৪৫) বলেন, ‘আমি ধার-দেনা কইরি এক বিগি ভুঁইয়ে (এক বিঘা জমিতে) পানি সেচ দিয়ে ধান লাগাইছিলাম। আজ পানির অভাবে ধানগাছ শুইকি গিছে। চিন্তায় পড়িচি, ধান না হলে পরিবারের খাবার জোগাড় করব কী কইরি। তাই এই মাঠে ছুইটি আইচি। কাগজ ধইরি দাঁড়াইচি। আষাঢ় গেল, শাওন মাস চলছে। বৃষ্টির দেখা নাই। শাওন মাসেই আমার ধান পুইড়ি যাচ্ছে।’
জানতে চাইলে মোহর গ্রামের গভীর নলকূপের চালক মো. মকলেছুর রহমান বলেন, এই মৌসুমে আমাদের গভীর নলকূপ চালাতে হয় না। তবে এবার উল্টো হয়েছে। মৌসুমের শুরু থেকেই নিয়মিত ভূগর্ভস্থ পানি তুলতে হচ্ছে। কয়েক দিন ধরে দিন-রাত পানি তুলেও সব জমিতে পানি দেয়া যাচ্ছে না। পানিও আগের তুলনায় কম উঠছে।
এমএসএম / জামান

সাবেক চিফ হুইপ ফিরোজ, স্ত্রী ও পুত্রের বিরুদ্ধে দুদুকে মামলা,

জাকের পাটির কেন্দ্রীয় যুগ্ন মহাসচিব হলেন মুকসুদপুরের কৃতি সন্তান,সাজ্জাদ মিয়া

রেলের লীজে কবরস্থান–মসজিদ ! বাতিলের দাবিতে সিআরবি ঘেরাও

মিরসরাইয়ের ধানের শীষের পক্ষে শাহীদ চৌধুরীর মতবিনিময় ও গণসংযোগ।

শেরপুর ঝিনাইগাতীতে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১

টাঙ্গাইলে গণসংযোগ শেষে ফেরার পথে বিএনপি নেতা এমপি প্রার্থী হামিদুল হক মোহনের মৃত্যু

প্রেম করে বিয়ে, শেষমেষ বালিশচাপায় মৃত্যু

চাঁদপুরে নিবন্ধন সনদ না থাকায় ৪ খাবার তৈরি প্রতিষ্ঠান মালিককে জরিমানা

সীতাকুণ্ডে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হতো আইসক্রিম,ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা

পিরোজপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড

ত্রিশালে দুই বেকারিকে ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা

মনোহরদীতে খামারিদের মধ্যে মিল্কিং মেশিন বিতরণ

বাকেরগঞ্জে মাদ্রাসা পরিচালকের বিরুদ্ধে নারী হেনস্তা ও কুপ্রস্তাবের অভিযোগে এজাহার দায়ের
Link Copied