ঢাকা শনিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৫

বিদ্যুৎ চুরির কারণে সরকার পাচ্ছে না রাজস্ব


আরিফুর রহমান photo আরিফুর রহমান
প্রকাশিত: ২৪-৭-২০২২ দুপুর ১২:১২

জেলা শহরগুলোতে বিদ্যুৎ চুরির অন্যতম প্রধান কারণ নিষিদ্ধ ইজিবাইক বা অটোরিকসা। এগুলো বন্ধ করা উচিত বলে মনে করছেন খুলনার সচেতন নাগরিক কমিটি ও সাধারণ মানুষ। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকার নানা ধরনের সিদ্ধান্ত নিলেও তা বর্তমানে কার্যকর করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।এসকল ইজিবাইকের কারনে বিদ্যুতের চোরাই লাইন বেড়েছে এবং বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে। সরকার পাচ্ছে না রাজস্ব।

খুলনা জেলা প্রশাসন বা ট্রাফিক বিভাগের কাছে ইজিবাইক সংখ্যার কোনো পরিসংখ্যান না থাকলেও ধারণা করা হয় পুরো খুলনা জেলার ৯টি উপজেলায় বর্তমানে কমপক্ষে ৫০ হাজারের বেশি ইজিবাইক চলাচল করছে। বিশেষ করে খুলনা মহানগরীর মধ্যেই চলাচল করে প্রায় ২৫ হাজার ইজিবাইক। 

জানা গেছে, ৮০ শতাংশ গ্যারেজেই নিষিদ্ধ। এসব অটো বাইকের ব্যাটারি চার্জ করতে ব্যবহার করা হচ্ছে অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন। অনেক স্থানে চলছে মিটার টেম্পারিং এর মতো ঘটনা। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন করে ইজিবাইক আমদানি বন্ধ ও পুরানোগুলো পর্যায়ক্রমে তুলে নেওয়ার কথা থাকলেও তা কার্যকর হয়নি গত কয়েক বছরেও। এমনকি মহাসড়কগুলোতে এই যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।

অনুসন্ধান ও পর্যবেক্ষনে জানা গেছে, সাধারণত একটি ইজিবাইকের জন্য চার থেকে পাঁচটি ১২ ভোল্টের ব্যাটারি প্রয়োজন। আর প্রতি সেট ব্যাটারি চার্জের জন্য গড়ে ৯০০ থেকে ১১০০ ওয়াট হিসেবে পাঁচ থেকে ছয় ইউনিট ৫ থেকে ৬ ঘন্টায় বিদ্যুৎ খরচ হয়। সে হিসেবে জেলার প্রায় ৫০ হাজার ইজি বাইক বা ব্যাটারিচালিত রিকশা চার্জের জন্য জাতীয় গ্রিড থেকে প্রতিদিন অন্তত ৫৫ মেগাওয়াট এবং মাসে ১৬৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হওয়ার কথা। কিন্তু ৮০ ভাগ গ্যারেজে চুরি করে ও লুকিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে এসব ব্যাটারি রিচার্জ করায় সরকার প্রায় ১৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

অন্যদিকে অন্যান্য যানের চেয়ে ভাড়া তুলনামূলক কম হওয়ার কারণে যাত্রীদের প্রধান বাহনে পরিণত হয়েছে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও রিকশা। এই গাড়িগুলোর ড্রাইভাররা যে গ্যারেজে রাখেন সে জায়গা থেকেই রাতভর একটি গাড়ির শুধুমাত্র চার্জের জন্য গ্যারেজ মালিককে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা দিতে হয়।

খুলনা সদরের কয়েকটি এলাকার অটোরিকসা গ্যারেজে ঘুরে জানা গেছে, এসব গ্যারেজে ব্যাটারি চার্জ দিতে গিয়ে অনেক বিদ্যুৎ বিল দিতে হয়। যে কারণে গ্যারেজ মালিকরা খরচ কমিয়ে বাড়তি টাকা আয়ের জন্য অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে থাকে। তবে এসব অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়ার পেছনে রয়েছেন বিদ্যুৎ বিভাগের অসাধু লোক।

এ ব্যাপারে ওজোপাডিকো খুলনা জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আজহারুল ইসলাম জানান, আমরা প্রায় সময়ই অবৈধ লাইনের সন্ধান পেলে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি। এ অভিযান চলমান থাকবে।

সচেতন নাগরিক কমিটির মতে, যেখানে বিদ্যুতের ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে সেখানে এই যানগুলোতে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার বিদ্যুতের অপচয় ছাড়া আর কিছুই না। বিদ্যুৎ বিভাগের উচিত স্পেশাল টাস্কফোর্সের মাধ্যমে এসব বিদ্যুৎ চুরি বন্ধ করা অথবা সরকারের বিশেষ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অটোরিকসার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা।

এমএসএম / জামান

৩১ দফা বাস্তবায়ন হলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ জন্ম হবে না: শওকত হোসেন সরকার

পাটগ্রামে বিশ্ব দৃষ্টি দিবস পালন

টাঙ্গাইলে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে টাইফয়েড টিকাদান বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন, হাইজিন শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

কুষ্টিয়ায় সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম কালভীর উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

বাউফলে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

পটুয়াখালীতে বাজারের ইজারা নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সন্ত্রাসী হামলায় ৫ পুলিশসহ আহত ৬, গ্রেপ্তার ৩

নওগাঁয় মামলা তদন্তে অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

টিএইচই র‌্যাঙ্কিংয়ে আবারও শীর্ষে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

‎আনোয়ারায় মোবাইল কোর্ট অভিযান,তিন মামলায় ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা

ঠাকুরগাঁওয়ে টাইফয়েড টিকা দান ক্যাম্পেইন ও সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশন

রাজশাহী সড়ক-জনপথে কর্মচারীদের জনসংযোগ

শাহজাদপুরে বিশ্ব দৃষ্টি দিবস উদযাপন