ঢাকা রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫

প্রয়োজনীয় পানির অভাবে পাট নষ্ট হওয়ার আশংকা ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকদের


কামরুল হাসান, ঠাকুরগাঁও photo কামরুল হাসান, ঠাকুরগাঁও
প্রকাশিত: ৩১-৭-২০২২ বিকাল ৫:৪

ঠাকুরগাঁওয়ে সর্বত্রই এখন পাট কাটা ও জাগ দেয়ার দৃশ্য চোখে পড়ে। তবে বর্ষার ভো মৌসুম হওয়ায় প্রয়োজনমতো বৃষ্টির পানি না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। প্রাকৃতিক নিয়ম অনুযায়ী বর্ষার এ সময়টায় ছোট ছোট খাল-বিল, পুকুর, নদী-নালায় পানি থাকে ভরপুর। কিন্তু এ বছর পানি খুবই কম হচ্ছে। এতে কাঁচা পাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পাটচাষিরা।

সদর উপজেলার জামালপুর, রহিমানপুর, আউলিয়াপুর, আখানগর, গড়েয়া, রুহিয়া, চিলারংসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের অধিকাংশ পাট চাষি প্রয়োজনীয় পানির অভাবে ঠিকমত পাট জাঁক দিতে পারছেন না। আবার অনেকে ছোট খাটো খালবিল ও পুকুরে পানি ঢুকিয়ে পাট জাঁক দেওয়ার চেষ্টা করলেও পানি ২-১ দিনের বেশি থাকছে না, শুকিয়ে যাচ্ছে। একই অবস্থা সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ও জেলার প্রায় সর্বত্রই। এ অবস্থাতে কিছু পাট নষ্ট হওয়ার আশংকায় রয়েছেন তারা।

সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের আরাজী ঝাড়গাঁও গ্রামের আজাদ জানান, ২ বিঘা (১০০ শতক) জমিতে প্রতি বছরের ন্যয় এ বছরও পাট চাষ করেছেন। পাট জমি থেকে কেটে রাস্তার ধারে স্তূপ করে রেখেছেন। তবে পানি কম থাকায় কিভাবে তা জাগ দেবেন সেই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। তার সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রত্যেক বছর এ সময়টাতে বর্ষার পানিতে খালবিল সব পরিপূর্ণ থাকে, তবে এ বছর বৃষ্টি হচ্ছে না বললেই চলে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের গিলাবাড়ী মুন্সিপাড়া গ্রামের কৃষক মোমিনুল ইসলাম বলেন, গম কাটার পর ওই জমিতে পাটের আবাদ করেছি। কাঁচা পাট প্রক্রিয়াজাত করার জন্য প্রধান উৎস হচ্ছে পানি। সাধারণত খালের পানিতে অথবা পুকুরের পানিতে পাট ডুবিয়ে রাখতে হয় ১২-১৫ দিন বা তার থেকে কয়েক দিন বেশি। কিন্তু এ বছর বৃষ্টির পানি প্রয়োজনমতো না হওয়ায় কিছুটা সমস্যায় পড়েছি।  

সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের সেন্টারহাট গ্রামের পাটচাষি মো. সোহেল রানা বলেন, পাট চাষ করতে অনেক শ্রমিক খরচ হয়েছে। প্রয়োজনীয় পানির অভাবে পাট নষ্ট হচ্ছে এতে লোকশানে পরতে হবে। প্রয়োজনমতো বর্ষার পানি না পেলে গভীর নলকূপগুলো কয়েকদিনের জন্য ফ্রি করে দেওয়া হলে আমাদের মতো কৃষকদের উপকার হতো।

জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলায় এ বছর ৭২৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। এতে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ হাজার ২৮০ হেক্টর জমি। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৬১ হাজার ১৫ মেট্রিক টন। যা গত বছরে আবাদ হয়েছিল ৬ হাজার ৮১৭ হেক্টর জমি। এতে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬ হাজার ২৯২ হেক্টর জমি। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫৯ হাজার ৪২৫ মেট্রিক টন।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন জানান, পাট চাষের জন্য ঠাকুরগাঁও একটি আদর্শ জেলা। জেলায় পাটের আবাদ বেড়েছে। উৎপাদনও ভাল হয়েছে। তবে কিছু উঁচু এলাকায় পানি কমে যাওয়ায় পাটচাষিরা কিছুটা সমস্যায় পড়ছেন। আশা করি বৃষ্টি হলে চাষিদের পাট পঁচানোর কাজটি সহজ হলে তাদের সমস্যার সমাধান হবে। এছাড়াও কৃষকরা তাদের বাড়ির আশপাশের ছোট ডোবা, খাল-বিলে বৃষ্টি বা অন্যান্য উপায়ে পানি সংরক্ষণ করে পাট জাগ দিলে উপকৃত হবেন। এ বছরও চাষিরা পাটের ভালো দাম পাবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

এমএসএম / জামান

রাজবাড়ী-২ আসনে বিএনপির মনোনয়নে চমক

রাণীনগরে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যুবক নিহত

মাগুরায় কৃতি সন্তানদের সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে বিএনপি নেতার কবর জিয়ারতে দুই এমপি প্রার্থী

স্ত্রীর কাছে ‘চিরকুট’ লিখে স্বামীর আত্মহত্যা

বাঁশখালীতে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর স্মরণে দোয়া মাহফিল

ঝিনাইগাতীতে গারো পাহাড়ে বন্যহাতির আক্রমণসহ নানা সমস্যা নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর লিজকৃত পুকুর দখলচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন

চট্টগ্রাম ১৩ আসনে মনোনয়ন ঘোষণা'র পর কোণঠাসা বিএনপির তৃণমূল

জয়পুরহাটে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৪ সদস্য গ্রেফতার

আত্রাইয়ে বান্দাইখাড়া দারুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসার উদ্যোগে উন্নয়নমূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

বিনিয়োগ আনতে চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশী ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন : এম সাখাওয়াত হোসেন

আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী ওয়ানগালা ও লবান উৎসব উদযাপন