মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে বকশিস বাণিজ্যে অতিষ্ঠ রোগীরা

মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারসহ নানা বিভাগের নার্স, আয়া, ওয়ার্ডবয়, কর্মচারীদের বকশিস বাণিজ্যে অতিষ্ঠ ও চরম ভোগান্তিতে সাধারণ রোগীরা।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা ট্রলি, স্ট্রেচার ও হুইলচেয়ার ব্যবহার করলে টাকা দিতে হয় আয়া-ওয়ার্ড বয় ও নার্সদের। আর টাকা না দিলে সেগুলো ব্যবহার করতে দেয় না বলে অভিযোগ সাধারণ রোগীদের। দিনের পর দিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নীরব ভূমিকায় এভাবেই চলছে জোরপূর্বক বকশিস আদায়। এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বরাবর লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ জুলাই ঘিওর উপজেলার বাইলজুরি গ্রামের রিপন মিয়া তার স্ত্রী তানিয়া আক্তারকে নিয়ে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে আসেন। ওটিতে নিয়ে যাওয়ার পরেই শুরু হয় তার সঙ্গে নানা টালবাহানা। প্রথমে চাম্পা নামের এক পরিচ্ছন্ন কর্মী এসে তাকে বলেন আপনার স্ত্রীর সিজার করাতে ১০ হাজার টাকা লাগবে। পরদিন ২৮ জুলাই রিপনের স্ত্রীকে ডাক্তার ওটিতে পাঠানোর পর থেকে শুরু হয় টাকা খরচের পালা।
বর্তমান ওটি ইনচার্জ শামীমা সুলতানা ও ফাতেমা আক্তার সিজারের জন্য ৩ হাজার ১শ’ টাকার ওষুধের একটি তালিকা তৈরি করে রিপন মিয়াকে আনতে বলেন। কোনো উপায় না পেয়ে দিনমজুর রিপন তাদের লিখিত ওষুধগুলো এনে দেয়। সিজার শেষ হলে শুরু হয় বকশিস বাণিজ্য। ওটির আয়া, ওয়ার্ডবয়, পরিচ্ছন্ন কর্মী থেকে শুরু করে নাম না জানা আরও অনেককেই বকশিস দিতে হয় প্রায় ৩৯০০ টাকা। রিপনের শাশুড়ি নবজাতক নাতিকে কোলে নিতে গেলে স্বপন নামের এক ওয়ার্ডবয়কে দিতে হয় ৪৫০ টাকা। এভাবেই প্রতিদিন অপারেশন থিয়েটারে জোরপূর্বক বকশিস আদায় করছে নার্স, আয়া, ওয়ার্ডবয় ও কর্মচারীরা।
হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের দায়িত্বরত ইনচার্জ শামীমা সুলতানা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা সবাইকে সেবা দিচ্ছি। এর বিনিময়ে কোনো টাকা-পয়সা নেই না। ওষুধ হাসপাতাল থেকে দেয়া হয়। তবে যেসব ওষুধ হাসপাতালে সাপ্লাই নেই সেগুলো বাইরে থেকে আনতে হয়। আমরা কোনো বকশিস নেই না।
ভুক্তভোগী রোগীরা জানান, স্ট্রেচার, হুইলচেয়ার ও ট্রলি সেবা দিয়ে জোরপূবর্ক অর্থ আদায়ের মতো হয়রানি ও অনিয়ম হাসপাতালের নিত্যদিনের ঘটনা। এমনকি বাড়তি উপাজর্ন করতে অনেক নার্স, আয়া ও পরিচ্ছন্নকর্র্মী হুইলচেয়ার নিজের জিম্মায় রাখছে। মৃত ব্যক্তির মরদেহ বহনের ক্ষেত্রেও ছাড় দেন না কর্মরত কর্মচারীরা। হাসপাতালের কমর্চারী নেতাদের একটি সিন্ডিকেট এ ইনকামের সুযোগ করে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তাদের।
হাসপাতালে জরুরী বিভাগ থেকে ব্যথার রোগী, শ্বাস-কষ্টের রোগীসহ বিভিন্ন ধরনের রোগীদের ৮ তলা ভবনে বিভিন্ন ইউনিটে যেতে হুইল চেয়ারের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে আয়া ও ওয়ার্ড বয়দের সহায়তায় নেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবার ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে দিতে হচ্ছে। এই টাকা না দিলে রোগীকে ছুঁয়েও দেখে না তারা।
ভুক্তভোগী রিপন জানান, মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতালে আমার স্ত্রীর সিজার করার জন্য ৩ হাজার ১শ’ টাকার ওষুধ কিনে আনতে হয়েছে। আর সিজারের পর অপারেশন থিয়েটারের কর্মরত ওয়ার্ডবয় স্বপন বকশিসের নামে জোরপূর্বক নিয়েছে ৪৫০ টাকা, ওটিবয় তানজিম ২০০ টাকা ও ট্রলিম্যান নিয়েছে ১০০ টাকা। এছাড়া নাম না জানা আরও কয়েকজন মিলে ৩ হাজার ১৫০ টাকা বকশিস আদায় করেছে। সরকারি হাসপাতালে একটি সিজার করতে যদি ৭ হাজার টাকা খরচ হয় তবে সরকারি হাসপাতালে আসার দরকার কি? এই টাকা দিয়ে তো প্রাইভেট হাসপাতালেই সিজার করানো যায়। আমি এ বিষয়ে ৩১ জুলাই হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
এ বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. একেএম রাসেল জানান, হাসপাতালে বকশিসের নামে কোনো টাকা আদায়ের বিধান নেই। এ বিষয়ে আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বরাবর পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএসএম / এমএসএম

নির্বাচনে বানচাল করার জন্য পিআরের দাবীতে অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে : ফরহাদ হোসেন আজাদ

দূর্গম দুই গ্রামবাসী পেল বিশুদ্ধ পানি

জয়পুরহাটে স্বচ্ছতার নজির স্থাপন করলেন পুলিশ সুপার: ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলো ১৩ জন

মানিকগঞ্জে মাকে হত্যার অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে: ছেলে পলাতক

বালাগঞ্জে বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদের নতুন কমিটি গঠন

কেসিসির ৭১৯ কোটি টাকার বাজেট ঘোষনা

নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ইসলামী আন্দোলনের

কক্সবাজারের মহেশখালীতে ডাকাতলের গুলিতে ৩ পুলিশ সদস্য আহত, যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান শুরু

রায়গঞ্জে সরকারি পুকুর সাব-লিজ দিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

নরসিংদীতে নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৭, মোট শনাক্ত ৪১৬

ধলেশ্বরীর মাটি দিয়ে সরকারি পুকুর ভরাট, উঠছে প্রশ্ন”

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের আয়োজনে সুনামগঞ্জে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার জয়কুমোর গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে ঝুলছে তালা
Link Copied