মির্জাগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে দোকানঘর পুড়ে ছাই
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ৬টি দোকানঘর ভস্মীভূত হয়েছে। রোববার (৭ আগস্ট) সকালে ওই সব দোকান পরিদর্শন করেন মির্জাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান খান মো. আবু বকর সিদ্দিকী। এ সময় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।
গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের ভয়াং বাজারের এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রায় ২১ লাখ ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন মির্জাগঞ্জ ফায়র সার্ভিস। ভয়াং বাজারের মোঃ নসা হাওলাদারের হাওলাদার এন্টারপ্রাইজ নামক মোদি ও মনোহরির দোকান থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ব্যবসায়ীরা জানান, শনিবার রাতে হঠাৎ নসা হাওলাদারের দোকানে লাগা আগুনের লেলিহান শিখা মূহূর্তেই আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামবাসীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। খবর পেয়ে মির্জাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এলাকাবাসীর সহায়তায় প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন নিয়ন্ত্রণের আনার পূর্বেই নসা হাওলাদারের দোকান ও বিমল চন্দ্র হালদারের ভ্যারাইটিজ স্টোর সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয় এবং কবির মৃধার বৈশাখী সুইটস, ছগীর মৃধার হিজবুল্লাহ ষ্টোর, কবির মোল্লার সারের দোকান ও সুলতান খানের মুদি দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
মির্জাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক মো. ফারুক হোসেন হাওলাদার জানান, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই বাজারের ২টি দোকান ও দোকানের মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায় এবং চারটি দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে আনুমানিক ২১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে এবং ৩৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটেছে।
এমএসএম / জামান