শ্রীমঙ্গলে চা বাগানের শ্রমিকদের কর্মবিরতি, ধর্মঘট

৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে কর্মসূচির চতুর্থ দিনেও দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করছেন শ্রীমঙ্গলের ৪২টি চা বাগানের চা শ্রমিকরা। গতকাল শুক্রবার বিকেলের মধ্যে মালিক পক্ষের আশ্বাস না পেলে আজ থেকে কঠোর আন্দোলনে নামবে এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তারা।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি হয়।দেশের ২৩১ চা বাগানে এক যোগে প্রতিটি চা বাগানের বাগান পঞ্চায়েত সভাপতির নেতৃত্বে শ্রমিকদের স্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে চা বাগানগুলো।
চা বাগানের নারী শ্রমিক উমা হাজরা বলেন, আমরা ১২০ টাকা মজুরি পাই, এদিয়ে আমাদের চলেনা। আমরা অনেক কষ্ট করে জীবন কাটাই। খাওয়াদাওয়া ভালো হয় না, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা ভালো হয় না। সব কিছুর দাম বাড়ে আমাদের মজুরি বাড়েনা। আমরা কোন রকমে জীবন কাটাচ্ছি। চায়ের দাম ও উৎপাদন বাড়ে, আমাদের মজুরি কেন বাড়বে না। আমরা যদি বেচে না থাকি তাহলে চা বাগানে ধস নামবে।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বালিশিরা ভ্যালী সভাপতি বিজয় হাজরা বলেন, চা শ্রমিকদের একদিনের মজুরি দিয়ে ১ লিটার পেট্টল ও কেনা সম্ভব না। শ্রমিকরা কি নিদারুন কষ্টে রয়েছেন তা নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না। দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত উর্ধগতিতে ১২০ টাকা মজুরি দিয়ে কিচ্ছু হয় না। শ্রমিকরা ভালোমন্দ খেতে পারে না। মজুরি বৃদ্ধি না হলে শ্রমিকরা কঠিন পরিস্থিতিতে পরবে।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) নিপেন পাল বলেন, আমরা গত ১৯ মাস ধরে কত আন্দোলন, সংগ্রাম করছি। কিন্তু মালিকপক্ষের টালবাহানা কমছে না। বর্তমান সময়ে বাজার দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির কারণে আমাদের চা-শ্রমিকরা দৈনিক ১২০ টাকা মজুরি দিয়ে অনেক কষ্টে দিনযাপন করছেন। প্রতিটি পরিবারে খরচ বেড়েছে। আমরা বারবার বাগান মালিকদের সাথে বৈঠক করছি। কিন্তু তারা বারবার টালবাহানা করে মজুরি বৃদ্ধি করছেন না। এতে করে শ্রমিকরা ভিতরে ভিতরে ক্ষোভে ফেপে উঠছেন। দেশ-বিদেশে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি বিবেচনা করে নুন্যতম মানবাধিকার নিয়ে বেঁচে থাকার অধিকার দিতে হবে। চা শ্রমিকের হাজিরা ১২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় বৃদ্ধি করার দাবি অনেক দিনের। মালিকপক্ষ ইতিমধ্যে ১৪ টাকা বর্ধিত করার প্রস্তাব দিয়েছে। ১৪ টাকা বৃদ্ধি হলে একজন শ্রমিকের মজুরি হবে ১৩৪ টাকা। এই ১৩৪ টাকা দিয়ে কিভাবে একজন শ্রমিকের জীবন চলবে? সারাদিন পরিশ্রম করে এক লিটার পেট্রোলের দামও হবে না। ৪র্থ দিনও মালিকপক্ষ দাবি মানেনি। আমরা আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন করে যাব।
এদিকে চা শ্রমিকদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাতগাঁও চা বাগানের নাট মন্দিরে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান ভানু লাল রায়। তিনি বলেন বর্তমান সময়ে ১২০ টাকা মজুরিতে চলা মুশকিল। তিনি বলেন শ্রমিকদের মজুরি ৩০০ টাকা করার এই যৌক্তিক দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করা উচিত।
তিনি আরো বলেন, আমরা চা শিল্পের ক্ষতি চাই না। আমরা চাই চা শিল্প বেঁচে থাকুক। চা শিল্প বেঁচে থাকলে শ্রমিকরাও বাঁচবে। তাই চা শিল্প টিকিয়ে রাখতে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করে আগে তাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
এমএসএম / জামান

পিরোজপুরে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস ২০২৫ উদযাপন

বিএনপি সরকার গঠন করলে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় ডিজিটাল মন্দির নির্মাণ করা হবে — খন্দকার নাসিরুল ইসলাম

বকশীগঞ্জে গাছ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু

বাকেরগঞ্জে জাতীয় কন্যা শিশু দিবসে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

চাঁদপুরে ৪৫ হাজার জেলেকে খাদ্য সহায়তা প্রদান

গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫ জনের পরিবার পেল ২৫ লাখ টাকা

ঈশ্বরদীতে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত

সাটুরিয়ায় জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত

মেহেরপুরে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

পটুয়াখালীতে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আত্রাইয়ে গোয়ালঘরের তালা ভেঙে ৫ টি গরু চুরি

কুড়িগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও ডিজিটাল লার্নিং সেন্টার উদ্বোধন

কাপাসিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালিত
Link Copied