সার-কীটনাশকের মূল্য বৃদ্ধিতে ক্ষোভে ফুঁসছে কৃষক
কুড়িগ্রামের উলিপুরে কীটনাশকসহ সারের মূল্য বৃদ্ধিতে ক্ষোভে ফুলে উঠছে কৃষক। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর আমন চাষে মাঠে ফিরেছে উলিপুর উপজেলার চাষিরা। বর্ষার ভরা মৌসুমেও তেমন বৃষ্টিপাত না দেখায় আমন বাঁচাতে কৃষক হাতে নিয়েছে সম্পুরক সেচ। অপরদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তেল ও সারের দাম। এতে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি আমন চাষিরা। এ অবস্থায় নতুন করে দুশ্চিন্তায় ফেলেছে ডিজেল ও সারের দাম বৃদ্ধি।
হাল চাষ ও সেচ দিতে গুনতে হচ্ছে বাড়তি খরচ। বস্তা প্রতি ৩০০ টাকা বেড়েছে ইউরিয়া সারের দাম। বাজারে মিলছে না কীটনাশক টিএসপিসহ অন্যান্য সারও। কীটনাশক ওষুধের কার্টনপ্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত মুল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।উৎপাদন ব্যায়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে কৃষকদের। বছর ঘুরে আসতে না আসতেই আমন চাষে খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে দ্বিগুণের বেশী। এ অবস্থা চলতে থাকলে উৎপাদনে লোকশান গুনতে হবে চাষিদের।
সরেজমিনে উলিপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে জানা গেছে, প্রতি বছর আমন মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে চারা রোপন করে থাকে চাষিরা। এবছরের চিত্র উল্টো। কোথাও স্যালো ম্যাশিনের মাধ্যমে সেচ দেয়া হচ্ছে। আবার কোথাও সেচের অভাবে জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। আবার কোথাও সেচের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক যন্ত্রের ব্যবস্থা। কোন কোন জমিতে সার প্রয়োগের উপযুক্ত সময় হলেও বাজারে মিলছেনা সার। চড়া দামে সার কিনতে হিমশিম খাচ্ছে মধ্যবিত্ত আয়ের চাষিরা। আবার জমিতে পরিমাণ মত সার দিতে সাধ্যের বাহিরে চলে যাচ্ছে।
উলিপুর উপজেলা গুনাইগাছ ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়ি গ্রামের কৃষক সুশান্ত কুমার সরকার বলেন,৬ বিঘা জমিতে স্যালোর পানিতে আমনের চারা রোপন করা হয়েছে। এখন যে তেলের দাম। কিভাবে তেল কিনি। বাজারে গেলে সার পাওয়া যায় না। সব ধরনের সারের দাম বাড়ানো হয়েছে। বাজারে সারও পাওয়া গেলেও সংকট দেখা দিয়েছে। তবে যেভাবে খরচ হয়চ্ছে সেই ভাবে যদি ধানের দাম না পাওয়া যায়। অনেক লোকসান হবে আমাদের।
উপজেলার থেতরাই বাজারে বিএডিসি অনুমোদিত সার ও বীজ ডিলার মাহবুবুর রহমান বলেন, পূর্বের সার সংকট কেটে নতুন দামে সার সরবরাহ হওয়ায় কিছুটা চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়েছে। অন্যান্য সারের সরবরাহ একটু কম থাকায় কৃষকের চাহিদা বেশি থাকায় সারের দাম একটু বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন স্থানীয় ভাবে বিসিআইসি সার ডিলার না থাকায় খুচরা বিক্রেতা ও ক্রেতা ইউরিয়া সার পেতে হয়রানির স্বীকার হচ্ছে।
উপজেলার হারুনেফরা গ্রামের বর্গাচাষি আশরাফ আলী খন্দকার বলেন, জ্বালানি তেল ও সারের দাম বৃদ্ধিতে চরম অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। উৎপাদন ব্যায়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে। বছর ঘুরে আসতে না আসতেই আমন চাষে দ্বিগুণ খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে উৎপাদনে লোকশান গুনতে হবে। সব থেকে বেশি মার খাই আমরা বর্গা চাষিরা। কখনো উৎপাদনে মার খাই আবার কখনো দামে। সরকারের প্রণোদনা থেকে বঞ্চিত হতে হয়। যারা প্রকৃত কৃষক নয় তারা ভর্তুকি পায়, তারাই সরকারের বিভিন্ন প্রণোদনা পায়। কিন্তু আমরা কিছুই পাই না।
উলিপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানাযায়, এ মৌসুমে শুরু থেকে বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। আমরা চাষিদের উদ্বুদ্ধ করেছি সম্পূরক সেচের আওতায় আনতে। উলিপুর উপজেলা ২৪ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৯০ভাগ জমিতে বৃষ্টির পানি ও সম্পূরক সেচের মাধ্যমে আমনের চারা রোপন করা হয়েছে। বাকি জমিতেও আশা করছি আমনের চারা রোপন করা হবে। বর্তমানে সারের ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধিতে কৃষক কিছুটা হতাশ হয়েছে। আমরা ডিলারদের কাছে যাচ্ছি যাতে তারা সারের দাম বেশি নিতে না পারে। তাছাড়াও চাষিদের কপোষ্ট সার ব্যবহারের নির্দেশও দিচ্ছি। তাছাড়া অহেতুক চাষিরা রাসায়নিক সার প্রয়োগ করে জমি ফসল উৎপাদন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। সারের দাম বৃদ্ধিতে কৃষক কম করে রাসায়নিক সার ব্যবহার করলে ভালো হয়। এতে পূর্বের তুলনায় উৎপাদন বাড়বে বলে আমরা মনে করি।
এমএসএম / জামান
তানোরে বিএনপির রাজনীতিতে শীষ পরিবারের বিকল্প নেই
চন্দনাইশে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেন এডভোকেট নাজিম উদ্দিন চৌধুরী
একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট উপেক্ষা করেই- চলছিল কেরানী হাটের সেই বানিজ্য মেলা
জয়পুরহাট পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড জামায়াতের উদ্যোগে উঠান বৈঠক
তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিনে কুমিল্লা-৬ আসনের মসজিদগুলোতে দোয়া ও মিলাদ
পবিপ্রবিতে ১৫ বছর ধরে অচল দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র ভূ-কম্পন পরিমাপক যন্ত্র
জমে উঠছে কুমিল্লা-৫ আসনে জামায়াতে নির্বাচনী প্রচারনা
মান্দায় বিএনপি নেতা মতিনের পথসভা ও লিফলেট বিতরণে জনতার ঢল
এই বাংলায় কোনো বৈষম্য থাকবে না: ব্যারিস্টার ইউসুফ আলী
বাকপ্রতিবন্ধী দিনমজুর লালমন বিরল রোগে আক্রান্ত অর্থাভাবে মিলছে না উন্নত চিকিৎসা
কাউনিয়ায় ওভারব্রিজ পরিদর্শনে উপসচিব ফজলে এলাহী
রায়গঞ্জে ৭ মাসে ১০ মৃত্যু, স্থায়ী সমাধান চায় এলাকাবাসী