ঢাকা সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫

মৃত হয়েও জীবিত না-কি জীবিত থেকেও মৃত


মো. ইমন photo মো. ইমন
প্রকাশিত: ৪-৭-২০২১ দুপুর ৩:২৭

মৃত্যুর পর কোনো মানুষ পুনরায় দুনিয়ায় আগমন করে না। এটা সম্ভবও নয়। মৃত্যুর পর পুনর্জন্ম ও জন্মান্তরের বিশ্বাস হিন্দু ও বৌদ্ধদের বিশ্বাস। তাদের ধারণামতে, মানুষ পৃথিবীতে সৎ কর্মশীল হলে মৃত্যুর পর তারা সৎ মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে পুনর্জন্ম লাভ করে ফিরে আসে। আর অসৎ মানুষ কুকুর, বিড়াল, শূকরসহ বিভিন্ন পশু ও কীটপতঙ্গের সুরতে পুনর্জন্ম লাভ করে। কারো কারো মতে, অসৎ মানুষ পৃথিবীতে অন্ধ, বধির, খোঁড়া হিসেবে পুনর্জন্ম লাভ করে। এসব তাদের পাপের প্রায়শ্চিত্তস্বরূপ। এসব বিশ্বাস যে অযৌক্তিক ও অবাস্তব, তা দলিল-প্রমাণে সাব্যস্ত করার প্রয়োজন নেই। কোনো মুসলমান এ ধরনের অলীক ও কল্পনাপ্রসূত বিশ্বাস রাখতে পারে না।

তবে আমাদের দেশে কাগজপত্রে ঝামেলা মাঝেমধ্যেই দেখা যায়। একই পরিবারে জীবিত-মৃতের গোলকধাঁধা খুবই আশ্চর্যের বিষয়। কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার দড়িকান্দি গ্রামের মৃত মো. আবদুল হক সরকারের পাঁচ ছেলে ও চার মেয়ের মধ্যে ছেলে নিজামুল হক সরকার অসুস্থ হয়ে রাজধানীর গ্রীন লাইফ হাসপাতালে ২০০৬ সালের ১৬ জুন মারা যান। নিজামুল মারা যাওয়ার পর তার ভাই জিয়াউল হক সরকার সব জায়গায় নিজামুল হক সরকার নাম ব্যবহার করে আসছেন। 

অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার দড়িকান্দি গ্রামে হলেও রাজধানীর চকবাজারে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছে এই সরকার পরিবার। ২০০৬ সালে সরকার পরিবারের এক ছেলে অর্থাৎ নিজামুল হক সরকার অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়ার পর আরেক ছেলে জিয়াউল হক সরকার ওরফে বাচ্চু প্রতারণা করে নিজের নাম ওই মৃত ভাইয়ের নামে বদলে নেন। বর্তমানে জিয়াউল হক সরকার ওরফে বাচ্চু মৃত ভাই নিজামুল হক সরকারের নামেই চলছেন। মৃত নিজামুল হক সরকারের নামে বানিয়েছেন জাতীয় পরিচয়পত্র, বানিয়েছেন পাসপোর্ট। সেই পাসপোর্ট দিয়ে দীর্ঘ সময় প্রবাসে কাটিয়ে দেশে ফিরেছেন।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত গ্রীন লাইফ হাসপাতালের দেয়া একটি মৃত্যু সনদে বলা হয়েছে, নিজামুল হক সরকার ২০০৬ সালের ১৬ জুন তাদের হাসপাতালে মারা যান। এরপর ২০১৩ সালের ১৭ জানুয়ারি তাদের পিতা মো. আবদুল হক সরকারের মৃত্যু হলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ২৯ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী মো. জাহাঙ্গীর আলম বাবুলের দেয়া ওয়ারিশ সনদপত্রে দেখা যায় নিজামুল হক সরকার মৃত। আবার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার ৬নং গোবিন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের দেয়া ওয়ারিশ সনদপত্রেও মৃত নিজামুল হক সরকার উল্লেখ করা হয়। 

মৃত নিজামুল হক সরকারের পরিচয়ে থাকা ব্যক্তি ও যাকে লোকজন জিয়াউল হক সরকার ওরফে বাচ্চু নামেই চেনেন তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমিই নিজামুল হক সরকার। আমার যে ভাই মারা গেছেন তার নাম রিপন ছিল। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

ওয়ারিশ সনদপত্র দেয়ার বিষয়ে ৬নং গোবিন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুল গফুরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিস্তারিত তথ্য পরে দেবেন কিন্তু পরবর্তীতে তার সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে মৃত নিজামুল হক সরকারের বড় বোন মাহমুদা বেগম জানান, নিজামুল হক সরকার রিপন মারা গেলে তার ভাই বাচ্চু নিজের নাম নিজামুল হক সরকার করে ভোটার আইডি কার্ড বানিয়ে ব্যবহার করছে। তাদের বোনদের সাথেও জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর জিয়াউল হক সরকার ওরফে বাচ্চু তার ছোট ভাই মৃত নিজামুল হক সরকারের নামে বাদী হয়ে আদালতে একটি বাটোয়ারা মামলা করেন বনোদের বিরুদ্ধে। ওই মামলার বাদী তাদের মৃত ভাই নিজামুল হক সরকারের নাম দেখে বিব্রত হর বোনরা। এরপরই আলোচনায় আসে বিষয়টি।

এমএসএম / জামান

শান্তিগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নাফনদীর মোহনায় ট্রলার ডুবি, ৭জেলে উদ্ধার

বালিয়াকান্দিতে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

বাউফলে চেয়ারম্যান পরিবহন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

আদমদীঘিতে সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির কার্যক্রম স্থগিতের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান

দৌলতপুরে মুখ বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার

কমিউনিটি পুলিশিং সভা ও উদ্ধারকৃত মোবাইল-অর্থ হস্তান্তর: মেহেরপুর জেলা পুলিশের জনবান্ধব উদ্যোগ

ভূরুঙ্গামারীতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নবজাতক শিশুদের জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করছে উপজেলা প্রশাসন

পাবনায় ট্রিপল মার্ডারের রায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড

গলাচিপা সরকারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে জামায়াতের এমপি পদ প্রার্থীর মত বিনিময় সভা

ত্রিশালে মসজিদে চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত

চৌগাছা সরকারী হাসপাতালে ডাক্তার সংকট, চিকিৎসা সেবা ব্যহত