ঢাকা মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

শাহজাদপুরে শিক্ষার্থীদের বই না দিয়ে বিক্রি করলেন প্রধান শিক্ষক


মাহফুজুর রহমান মিলন, শাহজাদপুর photo মাহফুজুর রহমান মিলন, শাহজাদপুর
প্রকাশিত: ২৩-৮-২০২২ দুপুর ৩:৯

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের নরিনা ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নরিনা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শামসুল আলম ২০২২ সালের উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির কয়েক হাজার কপি বই গোপনে বিক্রি করে সব অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয় বন্ধ থাকার সুযোগ নিয়ে এবং সব টাকা একা আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে প্রধান শিক্ষক শিক্ষা অফিসের অনুমতিও নেননি। এমনকি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষকদের সাথে কোনো ধরনের আলাপ-আলোচনা না করেই সরকারি বিধি লংঘন করে গোডাউনে থাকা সব বই বিক্রি করে দিয়েছেন এই শিক্ষক।

এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক একজন সার্টিফিকেট বিক্রেতা, কিছু টাকা দিলেই ওনার কাছে পাওয়া যায় বিভিন্ন শ্রেণির প্রশংসাপত্র। এমনকি বিভিন্ন সময়ের শিক্ষার্থীদের নাম সংশোধন ও সার্টিফিকেট, মার্কশিট-এর সংশোধনের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে ব্যাংক ড্রাফটের অতিরিক্ত কয়েকগুণ অর্থ আদায় করে থাকেন। 

সরেজমিন জানা যায়, চলতি আগস্ট মাসে জাতীয় শোক দিবসসহ বেশ কয়েকটি সরকারি ছুটি থাকার সুযোগ নিয়ে নরিনা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নকর্মী রিপনের সহযোগিতায় ২০২২ সালের উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত প্রাপ্ত বই শিক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গভাবে না দিয়ে দীর্ঘদিন গোডাউনে রেখে নগদ অর্থে বিক্রি করে দিয়েছেন।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাইলে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অভিমান করে বলে, আমাদের সবগুলো বিষয়ের পাঠ্যবই এখনো স্কুল থেকে পাইনি। অথচ আমাদের পড়ার বই না দিয়ে গোডাউনে আটকে রেখে প্রধান শিক্ষক কী করে বিক্রি করতে পারলেন, বিষয়টি সত্যিই লজ্জাজনক। 

নরিনা উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক বলেন, কয়েক দিন স্কুল বন্ধ থাকার সুযোগ নিয়ে প্রধান শিক্ষক একক সিদ্ধান্তে বই বিক্রি করে দিয়েছেন। সত্যি বলতে, আমাদের সঙ্গে এবং শিক্ষা অফিস বা ম্যানেজিং কমিটির অগোচরেই কাজটি করেছেন তিনি।

নরিনা গ্রামের কয়েকজন প্রধান ও গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বললে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই প্রধান শিক্ষক স্কুলে এমন কোনো অপকর্ম নেই যা করে বেড়াচ্ছেন না। তিনি ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানটির সম্মানহানি করছেন বলেও অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। গোপনে বই বিক্রির বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর সাথে আলোচনা করে যে কোনো সময় মিছিল-মিটিং বা মানববন্ধনের মতো কর্মসূচি পালন করতে পারেন বলে তারা জানান। 

স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি দ্রুত রুম থেকে বিল্ডিংয়ের উপরে গিয়ে বাথরুমে দীর্ঘক্ষণ কাটান। সাংবাদিকদের অপেক্ষা করতে বলে দীর্ঘ সময় পর নিচে এসে ক্যামেরার সামনে কথা বলবেন না বলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শফিউল ইসলাম বলেন, সরকারি বই কোনোক্রমেই বিক্রি করতে পারেন না তিনি। যদি সত্যি তিনি এ ধরনের কাজ করে থাকেন, তাহলে তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

সরকারি বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে নরিনা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বই বিক্রি করায় এলাকাবাসী ফুঁসে উঠেছেন এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তারা প্রশাসনের নিকট আশু পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

 

এমএসএম / জামান

দিনমজুর হত্যা মামলার আসামি নজির আহমদ কাতারে পালিয়ে যেতে চাচ্ছে

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ওএমএস ডিলার পয়েন্ট বৃদ্ধির দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

দুই মহাসড়ক অবরোধ, দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার যান চলাচল বন্ধ

চাঁদপুরে মাদক কারবারি ইউপি সদস্যের স্ত্রীসহ আটক ২

ঝিনাইদহে মহিলা রোগীর গালে থাপ্পড় মারলেন ডাঃ দেবাশীষ বিশ্বাস; অন্তরালে যা ঘটেছিল

বড়লেখায় দুই সিএনজি-অটোরিক্সা চুর আটক, গণপিটুনিতে নিহত-১

সাতক্ষীরায় কথিত সাংবাদিকের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ সকলে

সাভারে ইউএনওর এক বছর পূর্তিতে উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা

নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির "ফল-২০২৫" ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত

নাচোলে রাতের আঁধারে আমের ডাল কর্তন ও চুরি ক্ষতি প্রায় ৮০ হাজার টাকা

রায়গঞ্জে এক অসহায় বৃদ্ধার পাশে দাঁড়ালো শিক্ষার্থী শেখ রিয়াদ

বাউবিতে প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান

নড়াইলে ইব্রাহিম মোল্যাকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়ার নাটকের অবসান : ভিকটিম উদ্ধার, নারীসহ গ্রেপ্তার ৪