বর্ধিত মেয়াদেই শেষ হবে আঞ্চলিক মহাসড়কের নির্মাণ কাজ

যশোর-চুকনগর ভায়া কেশবপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে । বর্ধিত মেয়াদের ৪মাস আগেই বাকি কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করেছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সরকারের নিজস্ব অর্থে ৩৬৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪০ কিলোমিটার রাস্তা ১০.৩ মিটার চওড়া করে এবং ১১ কিলোমিটার রাস্তা বন্যা মুক্ত করতে উচু করা সহ রাস্তার দুপাশে বিভিন্ন জায়গায় ড্রেন ও ফুটপাত রেখে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই রাস্তার নির্মাণ কাজ চলছে।
যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহি প্রকৌশলী আবুলকালাম আজাদ জানান, ২০ সালের জুনে শুরু হওয়া সড়কের নির্মাণ কাজ বিভিন্ন কারনে বিলম্বিত হয়। বিশেষ করে করোনা মহামারি ও রাস্তার নির্মাণ সামগ্রীর দুষ্প্রাপ্য বিদেশ থেকে পাথর না আসাসহ বিভিন্ন কারনে মাঝ পথে এসে কাজ বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে জনসাধারণ কে। মানববন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার পর যোগাযোগ মন্ত্রণালয় আগামী ২৩ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারীর কারনে বর্তমান দ্রুত গতিতে রাস্তার কাজ এগিয়ে চলেছে। রাস্তার কাজ শেষ হলে এ অঞ্চালের প্রায় ২০ লাখ মানুষের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে উপকার ভোগ করবেন। মন্ত্রণালয়ের সমিক্ষা অনুযায়ী এ অঞ্চলের মানুষের পণ্য পরিবহণ খরচ কমে আসবে, সড়ক প্রশস্ত কারনের কারনে সড়ক দূর্ঘটনা কমে আসবে, সড়ক ব্যবহার কারিদের সময় সাশ্রয় হবে, এ এলাকার পর্যটন খাতের বিকাশ ঘটবে। বিশেষ করে, কেশবপুরের সাগরদাঁড়ির মধূ পল্লী এবং মনিরামপুরের রাজগঞ্জের ভাসমান সেতু তে পর্যটকদের আগমন বৃদ্ধি পাবে। কাজের মান নিয়ে ব্যাপক অভিযোগ থাকার পরও নির্বাহি প্রকৌশলী আরো দাবি করেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের সঠিক ভাবে দ্বায়ীত্ব পালন করাই সরকারের প্রায় ১০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। যা অন্য প্রকল্পের মডেল হবে।
কেশবপুর শহরের বাসিন্দা এডভোকেট মফিজুর রহমান বলেন, সড়কের মূল ডিজাইন কে পাশ কাটিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে, বিশেষ করে কেশবপুরে শহরে প্রবেশ মুখের ব্রিজ টি মূল নকশা মানা হয়নি। যে কারনে ঐ এলাকা দূর্ঘটনা প্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হবে। রাস্তার কাজ সম্পন্ন হওয়ার আগেই সড়ক দূর্ঘটনায় ৩ জনের প্রাণ গেছে। জমি অধিগ্রহণ করার কথা থাকলেও আজ পর্যন্ত কোনো জমির মালিক তাদের ক্ষতিপূরন পাইনি।
অপর দিকে, সড়কের মনিরামপুর পৌরশহরের আংশিক অংশ প্রশস্ত করন না করতে পারাই সড়কের সুফল প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
এ বিষয়ে মনিরামপুর উপজেলা সুজনের সভাপতি প্রভাষক আব্বাস উদ্দিন বলেন, মনিরামপুর পৌরশহরের জামে মসজিদ থেকে ২৫০ মিটার রাস্তার দুপাশের কিছু ব্যবসায়ী ও জমির মালিক তাদের প্রভাব বিস্তর করে সড়কের প্রশস্ত করনে বাধাগ্রস্থ করাই সড়ক ও জনপথ বিভাগ ঐ অংশ সংকীর্ণ রেখেই রাস্তার কাজ শেষ করাই ঐ অংশে দূর্ঘটনা প্রবণ এলাকা হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের সহযোগীতা পেলে অল্প অর্থ ব্যয়ে জমি অধিগ্রহণ করে রাস্তার ডিজাইন অনুযায়ী কাজ শেষ করলে সরকারি অর্থের যথাযথ ব্যবহার হলে প্রকৃত সুফল ভোগ করতে পারবে।
এমএসএম / এমএসএম

সিডিএ'র কাজ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের বাধার মুখে ঠিকাদার

পটুয়াখালীতে কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের শত শত কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ

বেনাপোল বন্দরে পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞায় বাণিজ্যে স্থবিরতা

রাণীনগরে বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

অবসরে যাওয়া পুলিশ কনস্টেবলদের বিদায় সংবর্ধনা

সম্প্রীতি বিনিষ্টকারীদের ছাড় নেই: গোপালগঞ্জে সম্মেলনে ডিসি

পল্লী বিদ্যুতের খুঁটির টানায় শক লেগে ৫ শিশু হাসপাতালে

আমন চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে হাটহাজারীর কৃষকরা

রৌমারীতে আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ঘর সংস্কারের অভাবে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে

ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা মৃত্যুকে ভয় পায় না বলেই আন্দোলন মুছতে পারেনি : এটিএম আজহারুল

বোদায় ১৩৫০ টাকার সার ১৮০০ টাকায় বিক্রি, যৌথ বাহিনীর অভিযান

সমাজ উন্নয়নে শিক্ষার বিকল্প নেই : জহুরুল আলম
