উলিপুরে তিস্তার তান্ডবে মসজিদ, কমিউনিটি ক্লিনিক সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নদী গর্ভে

কুড়িগ্রামের উলিপুরে উপজেলার বজরা ইউনিয়নের বজরা পশ্চিম পাড়ায় তিস্তার তান্ডবে কমিউনিটি ক্লিনিক, ঈদগাহ মাঠ, মসজিদ ও মন্দির সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সহ বসত ভিটা তিস্তার ভাঙ্গন রোধ থেকে ঠেকাতে পারল না এলাকাবাসী সহ পানি উন্নয়ন বোর্ড। ভাঙন চলছে আরও বেশ কয়েকটি গ্রামে। এবছরই প্রায় পাঁচ শতাধিকের ও বেশি বসতভিটা এরই মধ্যে চলে গেছে নদীগর্ভে। ভাঙ্গনে ঝুঁকিতে ছিলো কমিউনিটি ক্লিনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় মাদ্রাসা মসজিদ মন্দির ঈদগাহ মাঠ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। নিমিষেই বিলিন হয়ে গেলো কমিউনিটি ক্লিনিক সহ বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা ও অনেক জায়গা জমি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, নদীর তিব্র স্রোত থেমে থেমে তিস্তার পাড় ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এমনকি বজরা ইউনিয়নের পশ্চিম বজরার ঐতিয্যবাহী ঈদগাহ মাঠ, জামে মসজীদ, মন্দির ও কমিউনিটি ক্লিনিক সহ বিভিন্নধরনের স্থাপনা তিস্তা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। যে কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রতিদিন অনেক অসহায় দারিদ্র পরিবার বিনা পয়সায় চিকিৎসা সেবা পেত। সেই ক্লিনিকটিও রাতেই নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। যা এখন শুধু স্বপ্ন। এমনকি বজরা পশ্চিম পাড়া বেসরকারি মাদ্রাসা সরিয়ে নেয়া হচ্ছে অন্যত্রে। ভাঙ্গনকবলিত জনগণ তাদের বাড়িটা অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। বজরা সাদুয়া দামার হাট, সাতালস্কর ও পশ্চিম বজরা গ্রামে চার কিঃ মিটার এলাকা জুড়ে তিস্তার ভয়াবহ ভাঙ্গনে দিশেহারা ওই এলাকার মানুষ। বসতভিটা হারিয়ে তাদের আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। কোথায় যাবেন কি খাবেন সে চিন্তায় তাদের ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছে। তারা কোন উপায় না পেয়ে খোলা আকাশের নিচে জীবন যাপন করছেন।
বজরা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এনামুল হক জানান,গত সাত দিনে এখানে প্রায় ২০০ বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে একটি মসজিদ, কমিউনিটি ক্লিনিক, মন্দির, ঈদগাহ মাঠ সহ বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা। ভাঙ্গন শুরু হয়েছে বজরা পশ্চিম পাড়া দাখিল মাদ্রাসায়। মাদ্রাসাটির ভবনের টিন অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এখানে ভাঙ্গনকবলিত মানুষেরা খুবই অসহায় অবস্থায় রয়েছে। ভাঙ্গন রোধে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নাই।
বজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম সরদার বলেন, আমার ইউনিয়ন নদী ভাঙন কবলিত একটি ইউনিয়ন। প্রতি বছর ভাঙনে নিঃস্ব হচ্ছে জনগণ। বজরা পশ্চিম পাড়ায় মসজিদ, মন্দির, কমিউনিটি ক্লিনিক, ঈদগাহ মাঠ সহ বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা রক্ষা করতে পারলাম না। অনেক কথা বলার পরেও এখানে ভাঙন রোধে তেমন কোন কাজ করা হয় নাই। অবহেলিত রয়ে গেছে। আমরা চাই এখানে নদী ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্হা নেয়া হোক। যাতে আমরা অন্তত শান্তিতে নিজের বাড়িতে ঘুমাইতে পারি।
তিস্তা নদী ভাঙ্গন রোধে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-প্রকৌশলী জনাব নজরুল ইসলাম বলেন, তিস্তার খরা স্রোতে তিস্তার পাড় হুমকির মুখে পড়েছে। এমনকি কমিউনিটি ক্লিনিক, মাঠ, মসজিদ ও মাদ্রাসা হুমকির মধ্যে ছিলো। কমিউনিটি ক্লিনিক নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন তিস্তার পাড় ভাঙ্গন কাছা কাছি থাকতে আমাদেরকে জানালে হয়তো একটু চেষ্টা করে দেখা যেত। তার পরেও আজ বুধবার থেকে ভাঙ্গন রোধের কাজ করবে বলে তিনি জানান।
এমএসএম / এমএসএম

মিরসরাইয়ে দাড়িয়ে থাকা কাভার্ড ভ্যানের পেছনে বাসের ধাক্কায় নিহত হেলপার

জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে কুষ্টিয়ায় মাসিক রাজস্ব সভা অনুষ্ঠিত

রায়পুরে সরকারি খাস জমিতে অবৈধ স্থাপনা, উচ্ছেদে ধীরগতি

জমির জন্য বৃদ্ধ দম্পতিকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ

শ্রীপুর পৌর শহরে পরিচ্ছন্নতা অভিযান

আত্রাইয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অপসারণ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

জয়পুরহাটে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

মেহেরপুরে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

হাটহাজারী সাব রেজিস্টার অফিসে মূল দলিলের পাতা গায়েব করে ভুয়া পাতা সংযুক্ত

আগামী নির্বাচনে তারেক রহমানকে সংসদীয় ৫ আসনে উপহার দিতে মীর হেলাল উদ্দিনের বিকল্প নাই -গিয়াস উদ্দীন

১৪৫ কোটি টাকার ফেরিঘাটে নেই ফেরি, সরকারের নতুন চিন্তা

জলবায়ু পরিবর্তনের ছোবল: স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় সন্দ্বীপে কর্মশালা
