তানোরে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারি প্রজ্ঞাপন মানছে না এনজিওগুলো
সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য সম্প্রতি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে যে, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো চলবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। কিন্তু সরকারি দপ্তরগুলো প্রজ্ঞাপন মানলেও কোনোভাবেই মানছে না বেসরকারি এনজিওগুলো। তারা আগের নিয়মেই রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত চালিয়ে যাচ্ছে কার্যক্রম বলে একাধিক মাঠকর্মী নিশ্চিন্ত করেছেন।
সারাদেশের মতো রাজশাহীর তানোর উপজেলায় আনাচে-কানাচে শতাধিক এনজিও রয়েছে। বেপরোয়াভাবে দিন-রাত সমানতালে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও কোনো নজরদারি নেই কর্তৃপক্ষের। ফলে এনজিওগুলোকে প্রজ্ঞাপন মানাতে হলে কঠোর অভিযানের প্রয়োজন বলেও মনে করছেন সচেতন মহল। নচেৎ সরকারের সদিচ্ছা ভেস্তে যাবে। কারণ, তানোরের মতো জায়গায় কত এনজিও রয়েছে, তার সঠিক হিসাব আছে কি-না সেটাও সন্দেহ।
জানা গেছে, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকট মোকাবেলা করতে ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য বর্তমান সরকার সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবারও ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। শুধু প্রজ্ঞাপন জারি নয়, বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়। এমন নির্দেশনা পেয়ে সরকারি দপ্তর বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সঠিক নিয়ম পালন করছে।
এই কঠিন সময়ে সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে যুগোপযোগী বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলছেন, তিনি অনেক কিছু চালানো বন্ধ করে দিয়েছেন এবং সবাইকে প্রজ্ঞাপন মানতে অনুরোধও করেছেন। যার কারণে সরকারি দপ্তরগুলো বিকেল ৩টার পর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মানছে না বেসরকারি এনজিওগুলো। তারা আগের নিয়মেই সব কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিন্ত করেছে।
বেশকিছু মাঠকর্মীরা জানান, এনজিও গুলোর কাছে কোন নিয়ম নেই। যারা মাঠকর্মী তারা প্রতিদিন যান কিস্তি তুলতে। কোন ছাড় নয়, এক সমিতিতে সদস্যের সংখ্যা ৩০ জন হলে সবার কাছ থেকে কিস্তি তুলে সন্ধ্যার দিকে অফিসে এসে হিসেব পাতি বুঝিয়ে দাও। একজন মাঠ কর্মীকে নিম্মে হলেও শতাধিক ব্যক্তির নিকট থেকে কিস্তি আদায় করতে হয় প্রতিদিন। এক দু’জন কিস্তি না দিলে যে ভাবেই হোক পুরুন করতেই হবে। কোনো0 ছাড় নেই। কিসের প্রজ্ঞাপন আর কিসের ছুটি। আবার প্রশাসনও কোনোকিছুই বলতে পারে না। প্রায় এনজিওগুলো আবাসিক ভবনে। এজন্য কোনোকিছুই হয় না সরকারি নিয়মে। সেখানেই থাকা খাওয়া ও কার্যক্রম চলে।
সিদিপ নামে এক এনজিওর ম্যানেজার শাহাবুল জানান, কিসের সরকারি প্রজ্ঞাপন, মাসের শেষ বকেয়া তুলতে হবে। সরকারকে প্রজ্ঞাপন দিতে হবে দিয়েছে। সরকারও জানে এনজিও কিভাবে চলে। মহামারী, জ্বালানি সংকটসহ নানা বিষয়ের কথা ভেবে এবং অর্থনৈতিক সমস্যা এজন্যই তো প্রজ্ঞাপন। আপনাদের কি উচিন নয় সরকারকে সহযোগিতা করা- প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, আমাদের চাকরি আগে তারপর অন্যকিছু। তিনি এক গ্রাহককে কিস্তির ব্যাপারে চাপ সৃষ্টি করেন।
শাপলা এনজিওর সমৃদ্ধি প্রজেক্টের সমন্বয়কারী আনিসুর রহমান জানান, আমাদের অফিসগুলো আবাসিক ভবনে। থাকা-খাওয়া সবই ভবনে। এজন্য সব সময় কাজ চলে। তাই বলে আপনারা কেন সরকারি প্রজ্ঞাপন মানবেন না- জানতে চাইলে তিনি জানান, অবশ্যই মানা দরকার। কিন্তু হাজারো চেষ্টা করলেও নিয়ম মেনে কাজ করা সম্ভব নয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পংকজ চন্দ্র দেবনাথের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে এনজিওর বিষয়ে অবহিত করা হলে তিনি জানান, প্রজ্ঞাপন সবাইকে মানতে হবে। না মানলে অতিশীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এমএসএম / জামান
আইন লঙ্ঘনে ভূঞাপুরে জামায়াত নেতাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা
সাটুরিয়ায় কোন নিরপরাধ ব্যক্তি হয়রানির শিকার হবেনা-ওসি নজরুল ইসলাম
চট্টগ্রাম-৪ আসনে মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন আসলাম চৌধুরী
খুলনায় এনসিপি নেতাকে প্রকাশ্যে গুলি
নওগাঁ-০৬ আসনে বিএনপির মনোনীত এমপি প্রার্থী রেজুর পক্ষে মনোনয়নপত্র উত্তোলন
’ম্যানেজে’ সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার
মৌলভীবাজার-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী মিঠুর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার: ক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা
মিরসরাইয়ে অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত বালু আদালতের নির্দেশে প্রতিস্থাপন করলো বন বিভাগ
মনপুরায় নির্বিচারে শিকার হচ্ছে পাঙ্গাসের পোনা, নীরব মৎস্য অফিস
কুমিল্লা-৯ ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ প্রার্থী মীর মোহাম্মদ আবু বাকার’র মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ
প্রবাসী বিএনপি নেতার বাড়ি দখলের অভিযোগ আওয়ামী লীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে
বগুড়া-৬ তারেক রহমান ও বগুড়া -৭ এ খালেদ জিয়ার মনোনয়ন উত্তলোন
বগুড়া-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
Link Copied