ঢাকা রবিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫

কুষ্টিয়ায় ট্রাফিক পুলিশের আটক স্লিপ বাণিজ্য


চাঁদ আলী, কুষ্টিয়া photo চাঁদ আলী, কুষ্টিয়া
প্রকাশিত: ১৪-৯-২০২২ দুপুর ৩:৫২
কোনো গাড়ি ট্রাফিক আইন অমান্য করলে কিংবা ডকুমেন্ট ফেল থাকলে অপরাধের ধরন অনুযায়ী ওই গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেন সার্জেন্ট। গাড়ির চালককে ধরিয়ে দেন আটক স্লিপ। আটক স্লিপে উল্লেখ থাকে অপরাধের ধরন নেই। নির্ধারিত সময় জরিমানা দিয়ে কাগজপত্র গাড়ি নিয়ে যেতে পারেন চালক অথবা মালিক। আবার রুট পারমিট বা গাড়ির ফিটনেস না থাকলে সেক্ষেত্রে গাড়ি আটক স্লিপ করা হয় ট্রাফিক অফিসে এসে গাড়ি নিয়ে যায় জরিমানা দিয়ে। এজন্য ধরিয়ে দেয়া হয় আটক স্লিপ।
 
অনলাইনে মামলা হলে জরিমানা দিয়ে গাড়ি ছাড়িয়ে নেয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু কুষ্টিয়ার ট্রাফিক বিভাগে এই দু’টি পদ্ধতিরই ভয়াবহ অপব্যবহার চলছে। ট্রাফিক সার্জেন্টরা অবতীর্ণ হয়েছেন কেস স্লিপ ও আটক স্লিপি বাণিজ্যে। সরকারি কোষাগারে এই দুটি খাত থেকে তেমন একটি অর্থ না গেলেও ট্রাফিক পুলিশ ও তাদের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের অসাধু কর্মকর্তাদের পকেটে যাচ্ছে প্রতিদিন হাজার হাজার  টাকা। পক্ষান্তরে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন গাড়ির মালিকরা।
 
অভিযোগ রয়েছে, কুষ্টিয়ার প্রত্যেক সার্জেন্টকে প্রতিদিন গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা প্রদান ও আটক স্লিপ করার জন্য অঘোষিত নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই নির্দেশনার কারণে সার্জেন্টরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট প্রসিকিউশন ও প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা এ বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করছেন।
 
সূত্র জানায়, মোটরযান আইন (সংশোধনী) ১৯৮৩ মোতাবেক ১৫৯ ধারায় জরিমানা করে ট্রাফিক বিভাগ। এই ধারায় নিষিদ্ধ হর্ন কিংবা উচ্চ শব্দ উৎপাদনকারী যন্ত্র ব্যবহার, নিষিদ্ধ পার্কিং, আদেশ অমান্য তথ্য প্রদানে অস্বীকৃতি বা ভুল তথ্য প্রদান, অমান্য করে গাড়ি চালানো, কালো ধোঁয়া বের হওয়া, রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস সার্টিফিকেট ও রুটপারমিটবিহীন গাড়ি চালানোসহ অন্তত ১৫টি অপরাধে জরিমানা করা যায়। এ ধরনের অপরাধের জন্য রাস্তায় দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক সার্জেন্টরা অভিযুক্ত গাড়িকে আটক স্লিপ ধরিয়ে দেন। পরে অফিসে গিয়ে জরিমানা দিয়ে সেই গাড়ি ছাড়িয়ে আনেন মালিক।
 
একটি আটক স্লিপের কপি দৈনিক সকালের সময় হাতে আছে। এক সময় টোকেন দিয়ে গাড়ি চালানোর ব্যবস্থা করে দিলেও নতুন সংস্করণ হিসেবে ট্রাফিক বিভাগে যুক্ত হয় আটক স্লিপ বাণিজ্য।তবে এই খাত থেকে আদায় করা টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয় না। যা তারা ভাগ-বাটোয়ারা করেন।
 
এদিকে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখা যায় টিএসআই শহীদ মল্লিক রাস্তায় দাঁড়িয়ে মোটরসাইকেল থামিয়ে আটক স্লিপ ধরিয়ে দেন এবং বলে ৩ হাজার ৬০ টাকা অফিসে জমা দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাবেন আটক স্লিপ কোন মামলা না বলেন তিনি। ট্রাফিক কনস্টেবল জামিরুল তিনি অফিসের ক্যাশিয়ার বলে দাবি করে খাজানগর, বাইপাস, লাহিনী, বড়বাজার, চৌড়হাঁস সহ বিভিন্ন জায়গায় অটোরিকশা যোগে মাসিক চাঁদা আদায় করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
 
প্রতিদিন প্রত্যেক সার্জেন্ট আটক স্লিপ দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়ার টিআই শাহ আলম সকালের সময়কে বলেন,
মামলা ও আটক স্লিপ জরিমান সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়।
 
 কেস স্লিপ ও আটক স্লিপ বাণিজ্য প্রসঙ্গে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, যেসব কেস স্লিপের বিপরীতে অভিযুক্তরা জরিমানা দেন না তখন সেসব স্লিপ কোর্টে পাঠিয়ে দেয়া হয় পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। পস মেশিন আসার পর থেকে জরিমানা আদায়ের হার অনেক কমেছে বলে জানান তিনি।

এমএসএম / জামান

জুড়ীতে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সংবর্ধনা

কচুয়ায় ছেলের দায়ের কোপে বাবার মৃত্যু

আওয়ামী লীগ নেতার দুর্নীতি ঢাকতে সাংবাদিককে দেখে নেয়ার হুমকি দিল ঝিনাইদহের নব্য হিরণ মুসা মেম্বার

টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভবন থাকলেও পর্যাপ্ত জনবল নেই,ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা

নবীনগরে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট এম. এ. মান্নানের নির্বাচনী জনসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত

কুমিল্লায় ইমাম–খতীব সম্মেলন রোববার,প্রধান অতিথি ধর্ম উপদেষ্টা

নন্দীগ্রামে ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজের উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া প্রতিহতের আহ্বান সাংবাদিকদের

লাকসামে জামায়াত প্রার্থী সরওয়ারের বিশাল হোন্ডা র‌্যালী

মনপুরায় সফরকালে সুধীবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা করেন জেলা প্রশাসক

দুমকীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান

এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়নি-নেত্রকোনায়-জামায়াত নেতা মতিউর রহমান আকন্দ

ফাঁদে ফেলে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক গ্রেপ্তার