গোবিন্দগঞ্জে এনজিওর বিরুদ্ধে কাজ না করেই দাতা সংস্থার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

বাংলাদেশে কত সংখ্যক এনজিও আছে তার সঠিক পরিসংখ্যান বলা খুবই দুঃসাধ্য। সব এনজিওর কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকায় নয়। এখানে নেই কোনো বিধিমালা, অনুন্নত গ্রামগুলোর মধ্যে তাদের পছন্দমতো কিছু গ্রামকে কর্ম এলাকা হিসেবে বেছে নেয় এনজিওগুলো। গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ভিতর কাটাবড়ী, শাপমারা ও কামদিয়া ইউনিয়ন আদিবাসী সাঁওতালদের বসবাস বেশি। অধিকাংশ এনজিওর-ই চোখ এই ইউনিয়নগুলোর দিকে। এখনো খোলা আকাশের নিচে ও কোনোমতে খড়-কুটো দিয়ে টয়লেট বানিয়ে মলমূত্র ত্যাগ ও গোসলসহ সংসারের নানা কাজ করে থাকে তারা।
তাদের এই পিছিয়ে পড়া অবস্থা প্রদর্শন করিয়ে এনজিওরা তৎপর রয়েছে বিদেশি অনুদান সংগ্রহে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, দুর্যোগ ও সামাজিক নিরাপত্তা প্রভুতি খাতে সরকারের ব্যর্থতার জন্যই এনজিওদের এসব কার্যপরিচালনার সুযোগ হয়। এমনি এক এনজিও প্রতিষ্ঠান অবলম্বন গত দুই বছরে দাতা সংস্থার কাছ থেকে দেড় কোটি টাকা গ্রহণ করে বর্তমানে ওই এনজিওর কর্ম এলাকায় তার অফিস লাপাত্তা।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী জানান, আমাদের গ্রামে এসে দল গঠন করে নাস্তা খাওয়ায়ে ব্যানার ধরে ছবি তুলে কোটি কোটি টাকা মেরে দিয়েছে অবলম্বন। এর সাথে গ্রাম উন্ন্য়ন কর্ম (গাক) নামে একটি এনজিও কাজ করছে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠি নিয়ে গোবিন্দগঞ্জে ৫০টি পরিবারের মাঝে ৫০টি টিউবয়েল দেয় কিন্ত যে উদ্দেশ্যে এগুলো দেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়ন হয়নি।
সুবিধাভোগীরা বলছেন, চৈত্র মাসে এ টিউবওয়েল থেকে পানি পাওয়া যাবে না কিন্তু এর বিপরীতে গাক খরচ করে পচিশ লাখ টাকা। তারা বলেন, আমাদের ভাগ্যের উন্নয়ন হচ্ছে না। ল্যাট্রিন, শিক্ষা উপকরণ, হাঁস-মুরগি, ছাগল, গরুসহ আর্থিক অনুদানের কথা বলে কিন্তু কথার সাথে কাজের কোনো মিল নেই।
জানা যায়, অনুদান হতে তাদের উচ্চ বেতন ধার্য করে একটা বড় অংশ তারা রেখে দেয়। ব্র্যাক, গাক, এসকেএস, পদক্ষেপ, উদ্দীপন প্রভৃতি এনজিও বিদেশি দাতাগোষ্ঠীর অনুদানের জন্য মুখিয়ে থাকে। অথচ এসব অনুদানের সিংহভাগই চলে যায় এনজিওর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন খাতে। এসব অনুদানের সমন্বিত কোনো পরিকল্পনা এবং মনিটরিং না থাকায় এভাবেই চলছে এনজিওগুলো।
শুধু প্রত্যয়নের মাধ্যমে বছর বছর কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা। সরকারকে বিভিন্নভাবে ভুল বুঝিয়ে, দারিদ্র্য দূর করার নামে মানুষকে সুদের জালের মধ্যে ঢোকানো হয়, যা থেকে সে কখনো বের হতে পারে না এবং উচ্চ হারে ঋণ দিয়ে সর্বস্বান্ত করছে তারা । এনজিওদের কার্যক্রম দেখার জন্য সক্রিয় কোনো মন্ত্রণালয় না থাকায় এভাবেই চলছে এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলো।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ হোসেন বলেন, কয়েকটি এনজিওর বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ঊর্ধ্বতনকে অবহিত করা হবে।
এমএসএম / জামান

সাজিদা ট্রেডিংয়ের প্রোপাইটর মোঃ লিয়াকত হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে মামলা

শান্তিগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নাফনদীর মোহনায় ট্রলার ডুবি, ৭জেলে উদ্ধার

বালিয়াকান্দিতে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

বাউফলে চেয়ারম্যান পরিবহন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

আদমদীঘিতে সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির কার্যক্রম স্থগিতের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান

দৌলতপুরে মুখ বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার

কমিউনিটি পুলিশিং সভা ও উদ্ধারকৃত মোবাইল-অর্থ হস্তান্তর: মেহেরপুর জেলা পুলিশের জনবান্ধব উদ্যোগ

ভূরুঙ্গামারীতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নবজাতক শিশুদের জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করছে উপজেলা প্রশাসন

পাবনায় ট্রিপল মার্ডারের রায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড

গলাচিপা সরকারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে জামায়াতের এমপি পদ প্রার্থীর মত বিনিময় সভা
