ভারত সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী কিছুই নিয়ে আসতে পারেননি : মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভারত সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী কিছুই নিয়ে আসতে পারেননি। সকলে আশা করেছিলাম তিনি সেখানে আমাদের প্রধান যে সমস্যা তিস্তার পানি, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনে যে সমস্যা, সীমান্তে হত্যার যে সমস্যা এ বিষয়গুলিকে নিয়ে তিনি উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। বরং দেখেছি তিনি প্রেস কনফারেন্সে সুস্পষ্টভাবে বলেননি তিনি কী কী নিয়ে এসেছেন ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশের মানুষের জন্য। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পৌর শহরের কালিবাড়িস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে উপরোক্ত কথা বলেন তিনি।
বিএনপির বর্তমানে কোন নেতা নেই ওবায়দুল কাদেরের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন উনি যদি এ কথা বলে থাকেন তাহলে তা তার অভিজ্ঞতা থেকে নয়। বিএনপির নেতা আছে বলেই তো তারা বিএনপিকে এত ভয় পাচ্ছে। নেতা আছে বলেই তো আজকে বিএনপি উঠে দাড়াচ্ছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি সু-সংগঠিত। বিএনপি এখন উঠে দাড়িয়েছে। আন্দোলন করছে এবং আগামীতে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের দাবিতে যে আন্দোলন হবে বিএনপি তারেক রহমানের নেতৃত্বেই সেই আন্দোলন সফল করবে। আমরা আগেই বলেছি আমাদের নেতা হচ্ছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তার অবর্তমানে তারেক রহমানের নেতৃত্বেই চলবে বিএনপি।
তিনি আরও বলেন, আ’লীগ সন্ত্রাসী দল, সন্ত্রাস করেই তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন এ সরকার আসার পর থেকে তারা নির্বাচন ব্যবস্থাটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
কোন নির্বাচনে তারা তাদের প্রতিদ্বন্দিকে দেখতে চায় না। কোন প্রতিদ্বন্দি যদি থাকেই থাকে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে তাকে কি করে পরাজয় করে টিকে থাকা যায় সে চেষ্টায় করে। আরেকটি জিনিস যুক্ত হয়েছে এখানে প্রতিদ্বন্দিই থাকছে না, বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় তারা নির্বাচিত হচ্ছে। আমরা আমাদের বক্তব্যে পরিস্কারভাবে বলেছি বর্তমান সরকারের অধিনে কোন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। এই সরকারের অধিনে আমরা কোন নির্বাচনে যাচ্ছি না। নির্বাচনকালীন সময়ে একটি নিরপেক্ষ তথা তত্তাবধায়ক সরকার ছাড়া এদেশের মানুষ কোন নির্বাচনে যাবে না। কারন তত্তাবধায়ক ছাড়া কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। নির্বাচন সম্পর্কে রোডম্যাপ নিয়ে তিনি বলেন, আমরা বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে মানি না, তাহলে রোডম্যাপ দিয়ে কি হবে। সারা দেশে আমরা কর্মসূচী দিয়েছি। ঢাকা মহানগরে জোনভিত্তিক শুরু হয়েছে। পরে দেশব্যাপী হবে।
এখনকার নির্বাচন সম্পর্কে কোন বক্তব্য নেই। যতক্ষণ না নির্বাচনকালীন সরকারের সিদ্ধান্ত না হয়। আসন্ন নির্বাচনের ব্যাপারে কে প্রার্থী দিল, কে প্রার্থী দিল না সে ব্যাপারে আমাদের কিছুই বলার নাই। তবে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলেছি।
মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর করিম, মমিনুল হক বাবু, ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক, জেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক মো: জাফরুল্লাহ, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রাশেদ আলম লাবুসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এমএসএম / জামান
ঢাকা জেলার ডিসি হলেন মোহাম্মদ শফিউল আলম
তানোরের গ্রাম অঞ্চল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে খেজুর গাছ
গজারিয়ায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে র্যালী
ভূরুঙ্গামারীতে মায়ের অভিযোগে নির্যাতনকারী দুই ছেলে গ্রেফতার
রাজবাড়ী-২ আসনে বিএনপির মনোনয়নে চমক
রাণীনগরে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যুবক নিহত
মাগুরায় কৃতি সন্তানদের সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
জয়পুরহাটে বিএনপি নেতার কবর জিয়ারতে দুই এমপি প্রার্থী
স্ত্রীর কাছে ‘চিরকুট’ লিখে স্বামীর আত্মহত্যা
বাঁশখালীতে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর স্মরণে দোয়া মাহফিল
ঝিনাইগাতীতে গারো পাহাড়ে বন্যহাতির আক্রমণসহ নানা সমস্যা নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর লিজকৃত পুকুর দখলচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন
চট্টগ্রাম ১৩ আসনে মনোনয়ন ঘোষণা'র পর কোণঠাসা বিএনপির তৃণমূল
Link Copied