ঢাকা সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০২৫

কেশবপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৭ সিলিং ফ্যানসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি


সোহেল পারভেজ, কেশবপুর photo সোহেল পারভেজ, কেশবপুর
প্রকাশিত: ১৯-৯-২০২২ দুপুর ৩:২১

যশোরের কেশবপুর উপজেলায় গত এক মাসে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সিলিং ফ্যানসহ বিভিন্ন মালামাল চুরির ঘটনা ঘটছে। ফলে বিদ্যালয়গুলোতে চোর আতঙ্ক বিরাজ করছে। দপ্তরি কাম প্রহরী না থাকায় এসব বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ বিষয়ে থানায় পৃথক লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। 

গত শনিবার রাতে উপজেলার গৌরিঘোনা ইউনিয়নের আগরহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০টি সিলিং ফ্যান চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। এ নিয়ে গত এক মাসে চোরেরা ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৪৭টি সিলিং ফ্যানসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করেছে।

সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাংবদিকদের জানায়, দপ্তরি কাম প্রহরী না থাকায় এসব বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে থানায় পৃথক লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনায় বিদ্যালয়গুলোতে চোর আতঙ্ক বিরাজ করছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ১৫৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে ৩৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম প্রহরী রয়েছে। বাকি ১১৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম প্রহরী না থাকায় রাতের অন্ধকারে ওই সব বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটছে।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, আগরহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে গত শনিবার রাতে ২০টি সিলিং ফ্যান, ২টি দেয়াল ঘড়ি ও নগদ ২৫০০ টাকা চুরি হয়েছে। এর আগে গত ২১ আগস্ট সন্ন্যাসগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ১০টি সিলিং ফ্যান, সোলার ব্যাটারি, পানির ট্যাপ, বৈদ্যুতিক বাল্ব ও নগদ টাকা এবং বেলকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ১৭টি সিলিং ফ্যান চুরি হয়। এসব বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম প্রহরী নিয়োগ দেয়া হয়নি, এমনকি ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) স্থাপন করতে পারেনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ কারণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় সহজেই চোরেরা রাতের অন্ধকারে বিদ্যালয় থেকে মালামাল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।

আগরহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন ও সন্ন্যাসগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রকাশ চন্দ্র বলেন, বিদ্যালয় থেকে সিলিং ফ্যানসহ বিভিন্ন মালামাল চুরির ঘটনায় কেশবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করাসহ প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে অবহিত করা হয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বলেন, উপজেলায় ১৫৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১১৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম প্রহরী নেই। এ কারণে ওই সব বিদ্যালয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় রাতের অন্ধকারে চুরির ঘটনা ঘটছে। এসব বিদ্যালয়ে চোর আতঙ্ক বিরাজ করছে।

কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দীন বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এসব চুরির ঘটনা তদন্তাধীন।

এমএসএম / জামান

সিডিএ'র কাজ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের বাধার মুখে ঠিকাদার

পটুয়াখালীতে কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের শত শত কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ

বেনাপোল বন্দরে পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞায় বাণিজ্যে স্থবিরতা

রাণীনগরে বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

অবসরে যাওয়া পুলিশ কনস্টেবলদের বিদায় সংবর্ধনা

সম্প্রীতি বিনিষ্টকারীদের ছাড় নেই: গোপালগঞ্জে সম্মেলনে ডিসি

পল্লী বিদ্যুতের খুঁটির টানায় শক লেগে ৫ শিশু হাসপাতালে

আমন চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে হাটহাজারীর কৃষকরা

রৌমারীতে আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ঘর সংস্কারের অভাবে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে

ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা মৃত্যুকে ভয় পায় না বলেই আন্দোলন মুছতে পারেনি : এটিএম আজহারুল

বোদায় ১৩৫০ টাকার সার ১৮০০ টাকায় বিক্রি, যৌথ বাহিনীর অভিযান

সমাজ উন্নয়নে শিক্ষার বিকল্প নেই : জহুরুল আলম

নেত্রকোনায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মোহাম্মদ বশির