২০১৪ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত বাঁশখালীতে আট বছরে ১৯ বন্যহাতির মৃত্যু
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ১৭ দিন পর মাটি চাপা অবস্থায় ১ বন্যহাতির মৃতদেহ উদ্ধার।ঘটনাটি ঘটেছে বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের জঙ্গল পুঁইছড়ি পাহাড়ি অঞ্চলে।স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে,পুঁইছড়ি ইউপিস্থ জঙ্গল পুঁইছড়ি পাহাড়ি অঞ্চলের বান্দরমারা এলাকায় মাটি চাপা অবস্থায় ১টি বন্যহাতির মৃতদেহের সন্ধান পাওয়া গেছে।বাঁশখালীতে একের পর এক বন্যহাতি হত্যা করা হলেও বন বিভাগ রেইঞ্জার কর্মকর্তাদের অবহেলায় রোধ হচ্ছে না হাতি হত্যাকণ্ড।
সচেতন মহলের দাবি,বাঁশখালীতে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট চক্র সদস্যরা বন কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজশে রাতের আঁধারে দামি দামী গর্জন, সেগুন সহ বিভিন্ন জাতের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে।বিভিন্ন করাত কলে তারা ওইসব গাছ গুলো নিয়ে স্তুপ করতে দেখা যায়।আবার অনেক সময় বড় বড় ট্রাকে করে বিভিন্ন জায়গায় সাপ্লাই করতেও দেখা গেছে।তাছাড়া রাতদিন পাহাড় থেকে মাটি কেটে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে কোটি টাকা অবৈধ ভাবে উপার্জন করে যাচ্ছে সিন্ডিকেট সদস্যরা।পাহাড় সমতল করে স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে অবৈধ দখল করে নিচ্ছে সরকারি পাহাড়ি অঞ্চল।সিন্ডিকেট চক্রের সাথে আঁতাত করে
এতে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে বন কর্মকর্তারাও।
পাহাড়ি এলাকায় সিন্ডিকেট চক্রের আগ্রাসনের ফলে পাহাড়ি বনাঞ্চল ছেড়ে ইদানীং লোকালয়ে ঢুকে পড়ে বন্যহাতি গলো।পাহাড় ও বন খেকোদের চলাচল পথ সুগম ও নিরাপদ করতে প্রতিনিয়ত বন্যহাতি হত্যা করে যাচ্ছে দুষ্কৃতকারীরা এমন দাবি সচেতন মহলের। এব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আরিফ উদ্দিন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,২৬ সেপ্টেম্বর(সোমবার)দুপুরে পুঁইছড়ির জঙ্গল পুঁইছড়ি পাহাড়ি এলাকায় মাটি চাপা অবস্থায় একটি বন্যহাতির সন্ধান পাওয়া গেছে বলে রেইঞ্জার সুত্রে জানতে পেরেছি।সেখানে গিয়ে দেখা যায় যে,হাতিটির মৃতদেহের দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে।প্রচুর পরিমাণে পোকার সৃষ্টি হয়েছে হাতির মৃতদেহে।হাতিটি ১০/১১ দিন আগে মারা গেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।গত ২০ সেপ্টেম্বর হাতির বিষয়ে থানায় রেইঞ্জ কতৃপক্ষ একটি জিডি করেছে বলে জানতে পেরেছি ময়না তদন্তের জন্যে পাঠানো হয়েছে।
এমএসএম / এমএসএম