ঢাকা সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০২৫

কেশবপুরের গড়ভাংঙ্গা-বাটবিলা গ্রামীণ রাস্তাটির বেহাল দশা


সোহেল পারভেজ, কেশবপুর photo সোহেল পারভেজ, কেশবপুর
প্রকাশিত: ১৬-১০-২০২২ দুপুর ১২:৩১

যশোরের কেশবপুর উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের গড়ভাংঙ্গা-বাটবিলা গ্রামীণ রাস্তাটির বেহাল দশা। সংস্কারের অভাবে জনোদুর্ভোগ দেখার কেউ নেই। পরিণত হয়েছে মরণফাঁদে। ইটের সলিং থাকলেও মাঝে মাঝে গর্ত হয়ে পড়েছে। ফলে রাস্তাটি যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দ্রুত সংস্কারের দাবি এলাকাবাসীর।

উপজেলার গড়ভাংঙ্গা-বাটবিলা গ্রামীণ রাস্তাটি অনেক জনবহুল। প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তটি দিয়ে ১৮টি গ্রামের মানুষ চলাচল করে থাকেন। চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় প্রায় ২৫ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে পার্শ্ববর্তী উপজেলা মনিরামপুর যেতে হয়।

রাস্তার দুই পাশ দিয়ে মাছের ঘের। রাস্তা ছাড়া উঁচু করে মৎস্য ঘেরের বেড়িবাঁধ। গড়ভাঙ্গা বাজার ঈদগাহ হতে বাটবিলা মোড় পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা দিয়ে (কেশবপুর- মনিরামপুর) দুই উপজেলার মানুষ চলাচল করে থাকেন। বর্ষা মৌসুমে এই রাস্তার উপরে ৪ থেকে ৫ ফুট পানি জমে বদ্ধ হয়ে পড়ে। দুই পাশে মৎস্য ঘেরের উঁচু বেড়িবাঁধের ফলে পানি সরার ব্যবস্থা নেই। নৌকায় করে পারাপার হতে হয়। রাস্তার ইটের সলিং উঠে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। 

রাস্তার পাশে বসবাসকারী অনেকে জানান, আমাদের রাস্তা চলাচলের উপযোগী নয় বলে আমাদের ছেলে-মেয়েদের ভালো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াতে পারছি না। নিকটেই যতটুকু পারে পড়ে। তরপর আর যেতে চায় না। সে কারণে আমরা যুগ হিসেব পিছিয়ে পড়েছি। আমাদের কেশবপুরের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমপি শাহীন চাকলাদারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করব, যদি তিনি তার সংসদীয় এলাকার এই অবহেলিত জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য রাস্তাটি সংস্কার করে দেন।

সাবেক স্থানীয় ইউপি সদস্য জিএম নুরুল ইসলাম (খোকন) বলেন, কয়েকবার রাস্তাটি মেপে গেছে কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। প্রায় দুই যুগ আগে রাস্তাটি সলিং করা, বর্তমানে রাস্তাটি যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। জনবহুল এলাকার স্বার্থে রাস্তাটির কার্পেটিং প্রয়োজন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

বর্তমান সরকার যেখানে গ্রামকে শহরে রুপান্তরিত করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে, সেই সময় গ্রামীণ এই জনপদের রাস্তাটি অবহেলিত। এজন্য কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করছেন এলাকাবাসী।

পত্রিকা বিক্রেতা অলোক বলেন, আমার বাড়ি এই এলাকায় কেশবপুর থেকে প্রতিদিন আমি জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকা নিয়ে এই এলাকায় বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করার পাশাপাশি মানুষের পত্রিকা পড়ার চাহিদা পূরণ করি। কিন্তু রাস্তার যে অবস্থা সকালে ঘুম থেকে উঠে মনে চায় না পত্রিকা আনতে কেশবপুরে যাই। আমরা চরম অবহেলিত। রাস্তাটি কার্পেটিং ও সংস্কার করার কোনো উদ্যোগ নেই। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার এক জনপ্রতিনিধি বলেন, স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি অনেকবার জানানোর পরও রাস্তাটি সংস্কার করা হয়নি। এলাকার অসুস্থ রোগী চিকিৎসকের কাছে নিতে হলে বিষেশ করে গর্ভবতী মহিলাদের নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়। এই রাস্তায় রোগী বহন করা গাড়ি আসতে চায় না। ফলে কিছু করার থাকে না। 
 
এ ব্যাপারে কেশবপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. সায়ফুল ইসলাম মোল্লা বলেন, গড়ভাংঙ্গা ঈদগাহ হতে বাটবিলা রাস্তাটি বেহাল অবস্থা আমি নিজে রাস্তা মেপে আসছি। রাস্তা কার্পেটিংয়ের জন্য স্কিমও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

এমএসএম / জামান

সিডিএ'র কাজ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের বাধার মুখে ঠিকাদার

পটুয়াখালীতে কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের শত শত কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ

বেনাপোল বন্দরে পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞায় বাণিজ্যে স্থবিরতা

রাণীনগরে বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

অবসরে যাওয়া পুলিশ কনস্টেবলদের বিদায় সংবর্ধনা

সম্প্রীতি বিনিষ্টকারীদের ছাড় নেই: গোপালগঞ্জে সম্মেলনে ডিসি

পল্লী বিদ্যুতের খুঁটির টানায় শক লেগে ৫ শিশু হাসপাতালে

আমন চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে হাটহাজারীর কৃষকরা

রৌমারীতে আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ঘর সংস্কারের অভাবে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে

ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা মৃত্যুকে ভয় পায় না বলেই আন্দোলন মুছতে পারেনি : এটিএম আজহারুল

বোদায় ১৩৫০ টাকার সার ১৮০০ টাকায় বিক্রি, যৌথ বাহিনীর অভিযান

সমাজ উন্নয়নে শিক্ষার বিকল্প নেই : জহুরুল আলম

নেত্রকোনায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মোহাম্মদ বশির