চন্দনাইশে কোরবানীর পশু নিয়ে চিন্তিত খামারিরা
সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রামের চন্দনাইশেও করোনা সংক্রমণের কারণে কঠোর লগডাউন বৃদ্ধি পাওয়ায় পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিক্রির জন্য কোরবানির পশু লালন-পালন করে চিন্তায় পড়েছেন স্থানীয় খামারিরা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, এবারে চন্দনাইশে বিক্রির জন্য প্রস্তুত কোরবানি পশুর মধ্যে রয়েছে ষাঁড় ২০ হাজার ৪৯টি, বলদ ৮ হাজার ১৫৮টি, মহিষ ১ হাজার ৭৫২টি, গাভী ৭৭৪টি, ছাগল ৮ হাজার ১৫৮টি, ভেড়া ৭৫৯টিসহ মোট ৩৯ হাজার ৬৫০টি।
লকডাউনের কারণে স্থানীয় হাট-বাজারগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতার আনাগোনা নেই বললেই চলে। এ কারণে খামারিরা যেভাবে গবাদিপশু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে ঠিক একই ভাবে হাটের ইজারাদাররাও ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তারা বলছেন, ২১ জুলাই পবিত্র ঈদুল আজহা। সে হিসাবে সময় রয়েছে আর মাত্র কয়েক দিন।
চন্দনাইশ উপজেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট বাগিচাহাটের ইজারাদার জিয়াউল হক লিটন জানান, লকডাউনের কারণে গত সপ্তাহে দুটি হাটে মাত্র তিনটি গবাদিপশু বিক্রি হয়েছে। এতে তার স্টাফ খরচও ওঠেনি। তিনি জানান, কঠোর লকডাউন থাকায় গবাদিপশুর ক্রেতা-বিক্রেতা না আসায় বাজার তেমন বসেনি।
চন্দনাইশে আল্লাহর দান খামারের মালিক আকতার হোসেন ও ছৈয়দাবাদের খামারি মোহাম্মদ আলমের সাথে কথা বলে জানা যায়, মোটাতাজাকরণ এবং পশুর খাদ্য ও শ্রমিকের খরচ আগের তুলনায় অনেক বেশি। সাথে সাথে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বিক্রির জন্য প্রস্তত গবাদিপশু বেশি হওয়ার কারণে দুচিন্তায় রয়েছেন তারা। চন্দনাইশে স্থায়ী পশুর হাট রয়েছে দুটি। কোরবানি উপলক্ষে অতিরিক্ত হাট বসে আরো ১২টি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আরিফউদ্দিন জানান, ইতোমধ্যে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ-২ অধিশাখা থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিভিন্ন দফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট বসানোর সরকারি সিদ্ধান্তে এখনো কোনো পরিবর্তন আসেনি। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাটে বেচা-কেনা চলবে। পশু বিক্রেতা এবং খামারিদের সহায়তার জন্য আমরা অনলাইন পেজও খুলেছি। আগ্রহী বিক্রেতারা যোগাযোগ করলে আমরা তাদের সহযোগিতা করব।
এমএসএম / জামান